ETV Bharat / city

বিধান মার্কেটে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে চাপানউতোর মন্ত্রী ও তৃণমূল কাউন্সিলরের, আসরে কংগ্রেসও

বিধান মার্কেটে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হন মন্ত্রী গৌতম দেব । চাপানউতোর মন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে । স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল মার্কেট চত্বরে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি বসানোর প্রস্তাব দিলে বিরোধিতা করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শংকর মালাকার । আজ মিছিল করে নির্মাণস্থানে যান তিনি । সেখানে লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে দেন ।

বিধান মার্কেট
author img

By

Published : Jul 16, 2019, 10:32 PM IST

Updated : Jul 16, 2019, 11:25 PM IST

শিলিগুড়ি , 16 জুলাই : শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে পুড়ে যাওয়া সাতটি দোকানের পুনর্নির্মাণের নামে রাতারাতি 22টি দোকান তৈরি করে কোটি কোটি টাকায় বিক্রির চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মন্ত্রী গৌতম দেব । যদিও তাঁর দলেরই দু'কাউন্সিলরের দাবি, মন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন । এই ইশুতে আসরে নেমেছে কংগ্রেসও ।

প্রায় মাস খানেক আগে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে আগুন লাগে । ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মার্কেটের সাতটি দোকান । সম্প্রতি সেই দোকানঘরগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে SJDA-এর আধিকারিকদের নিয়ে বিধান মার্কেট পরিদর্শনে যান গৌতমবাবু । তিনি অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের মদতে কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে দোকানঘর তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে । বলেন, "এসব প্রশ্রয় দেওয়া হবে না । অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে । কেউ যদি এই কাজে বাধা দেয় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে ।" এরপরই গৌতমবাবু আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে নোটিশ জারি করার । যদিও মন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হয় ব্যবসায়ীরা । তবে গৌতমবাবু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন । জারি করেন নোটিশ । পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দেন । পরে এবিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকেন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক । ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রের খবর, মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা অনৈতিক । এর প্রতিবাদে প্রয়োজনে আগামীতে শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে ।

আরও পড়ুন : বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে নোটিশ SJDA-র

আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌতমবাবু বলেন,"ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেছি । শহরকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা মানব না । কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর এসব কাণ্ড আইনের মাধ্যমে আটকে দেব । ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি চাই না । শহর রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর । নদীর চর দখল, বেআইনি নির্মাণ, সরকারি জমিতে বেআইনি দখল কিছুই আর মানব না । কারণ শহর যদি প্রাণ হারায় তাহলে আর কীসের ভোট, কীসের ভোটব্যাঙ্ক । তাই উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে এসব রুখবই ।"

তবে আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী পাল ও তাঁর স্বামী নান্টু পাল । নান্টুবাবু পৃথক সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন । বলেন," আমরা স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর । আমাদের এলাকাতেই অধিকাংশ মার্কেট অবস্থিত । মন্ত্রী সাতটি দোকান পুড়ে যাওয়ার পর 22টি দোকান বানিয়ে বিক্রির যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয় । দোকান পুনর্নির্মাণে অতিরিক্ত দোকান তৈরী হয়নি । মন্ত্রী আসলে এলাকায় থাকেন না । আমরা দুই কাউন্সিলর বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নই ।" তিনি আরও বলেন, "আমি প্রস্তাব দিয়েছি ওই নির্মাণস্থানে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি বসানো হোক । পাশাপাশি তৈরি করা হোক জলাধার । আগুন লাগলে তা মোকাবিলায় ওই জলাধার সাহায্য করবে । "

এদিকে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি বসানোর প্রস্তাব শুনে আসরে নেমেছে কংগ্রেস । জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শংকর মালাকার মিছিল করে এলাকায় গিয়ে নির্মাণস্থানে লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে দেন । বলেন, "বেআইনি নির্মাণ ঢাকতে এখন বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি বসানোর কথা মনে পড়েছে । 1962 সালে বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে এই মার্কেট তৈরি হলেও এতদিন কেউ তাঁর মূর্তি বসায়নি । আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হচ্ছে । কারা কোটি কোটি টাকার এই নির্মাণ করলেন ও বিক্রির চেষ্টা করলেন তা সামনে আসুক । স্থানীয় কাউন্সিলরের মদত ছাড়া এসব সম্ভব না ।"

শিলিগুড়ি , 16 জুলাই : শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে পুড়ে যাওয়া সাতটি দোকানের পুনর্নির্মাণের নামে রাতারাতি 22টি দোকান তৈরি করে কোটি কোটি টাকায় বিক্রির চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মন্ত্রী গৌতম দেব । যদিও তাঁর দলেরই দু'কাউন্সিলরের দাবি, মন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন । এই ইশুতে আসরে নেমেছে কংগ্রেসও ।

প্রায় মাস খানেক আগে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে আগুন লাগে । ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মার্কেটের সাতটি দোকান । সম্প্রতি সেই দোকানঘরগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে SJDA-এর আধিকারিকদের নিয়ে বিধান মার্কেট পরিদর্শনে যান গৌতমবাবু । তিনি অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের মদতে কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে দোকানঘর তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে । বলেন, "এসব প্রশ্রয় দেওয়া হবে না । অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে । কেউ যদি এই কাজে বাধা দেয় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে ।" এরপরই গৌতমবাবু আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে নোটিশ জারি করার । যদিও মন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হয় ব্যবসায়ীরা । তবে গৌতমবাবু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন । জারি করেন নোটিশ । পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দেন । পরে এবিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকেন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক । ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রের খবর, মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা অনৈতিক । এর প্রতিবাদে প্রয়োজনে আগামীতে শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে ।

আরও পড়ুন : বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে নোটিশ SJDA-র

আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌতমবাবু বলেন,"ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেছি । শহরকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা মানব না । কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর এসব কাণ্ড আইনের মাধ্যমে আটকে দেব । ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি চাই না । শহর রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর । নদীর চর দখল, বেআইনি নির্মাণ, সরকারি জমিতে বেআইনি দখল কিছুই আর মানব না । কারণ শহর যদি প্রাণ হারায় তাহলে আর কীসের ভোট, কীসের ভোটব্যাঙ্ক । তাই উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে এসব রুখবই ।"

তবে আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী পাল ও তাঁর স্বামী নান্টু পাল । নান্টুবাবু পৃথক সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন । বলেন," আমরা স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর । আমাদের এলাকাতেই অধিকাংশ মার্কেট অবস্থিত । মন্ত্রী সাতটি দোকান পুড়ে যাওয়ার পর 22টি দোকান বানিয়ে বিক্রির যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয় । দোকান পুনর্নির্মাণে অতিরিক্ত দোকান তৈরী হয়নি । মন্ত্রী আসলে এলাকায় থাকেন না । আমরা দুই কাউন্সিলর বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নই ।" তিনি আরও বলেন, "আমি প্রস্তাব দিয়েছি ওই নির্মাণস্থানে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি বসানো হোক । পাশাপাশি তৈরি করা হোক জলাধার । আগুন লাগলে তা মোকাবিলায় ওই জলাধার সাহায্য করবে । "

এদিকে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি বসানোর প্রস্তাব শুনে আসরে নেমেছে কংগ্রেস । জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শংকর মালাকার মিছিল করে এলাকায় গিয়ে নির্মাণস্থানে লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে দেন । বলেন, "বেআইনি নির্মাণ ঢাকতে এখন বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি বসানোর কথা মনে পড়েছে । 1962 সালে বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে এই মার্কেট তৈরি হলেও এতদিন কেউ তাঁর মূর্তি বসায়নি । আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হচ্ছে । কারা কোটি কোটি টাকার এই নির্মাণ করলেন ও বিক্রির চেষ্টা করলেন তা সামনে আসুক । স্থানীয় কাউন্সিলরের মদত ছাড়া এসব সম্ভব না ।"

Intro:শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে সরকারি জমিতে নির্মিয়মান দোকান নিয়ে এখন সরগরম শিলিগুড়ি। দিনকয়েক আগেই মন্ত্রী গৌতম দেব এলাকায় গিয়ে বলেন সাতটি দোকান পুড়ে যাওয়ার পর তা পুন নির্মাণের নামে 22টি দোকান তৈরি করে সেগুলি কোটি টাকার বিক্রি হচ্ছে। এসব মানব না। এরপর গতকালই দোকান নির্মাণকারী ব্যবসায়ীদের নোটিশ করা হয়েছে এসজেডিএ এর তরফে। আজ এ নিয়ে ফের বৈঠক করেন মন্ত্রী।
অন্যদিকে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল বলেন পাশাপাশি দুটি ওয়ার্ডে আমরা স্বামী স্ত্রী তৃণমূলের কাউন্সিলর। এলাকায় আমরা থাকি। বাড়তি দোকান তৈরি হয় নি। মন্ত্রী এলাকায় গিয়ে দেখুন।



Body:.আজ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পালকে বাদ দিয়ে দলের অন্য দুই কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি জানান, দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। শহরকে সুস্থ্য রাখতে চাই। তাই জমি দখল, সরকারি জমিতে নির্মান, নদীর চর বিক্রি মানব না। রাজনীতি করতে চাই না। শহরকে সুস্থ্য করতে এবার করা দাওয়াই দিতেই হবে। আইন মেনে নির্মাণ না হলে আইনেই ব্যবস্থা নেব। কনভেনশন করে মানুষের মত নেব। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই বেআইনী নির্মাণ করে কোটিটাকা কমাবেন। এসব বরদাস্ত করব না।

তৃণমূলের নান্টু পাল এদিন বৈঠকেই ছিলেন না। মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন কাউন্সিলরদের দলনেতা ও এক সিনিয়র কাউন্সিলর কে বৈঠকে রেখেছিলাম। দলের কড়া অবস্থানের বার্তা দিতে তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পালের ওয়ার্ডে আরো একটি বেআইনি নির্মাণ দ্রুত ভাঙ্গতে আজই পৌরসভায় শ্বারকলিপিও দেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় দিন কয়েক আগে সেখানে বে আইনি নির্মাণ ভাঙ্গতে পৌরসভার টিম গেলেও কাউন্সিলর নান্টু পাল ওই বাড়ির মালিককে সাত দিন সময় পাইয়ে দিয়েছিলেন। তা দল ভালোভাবে নেয় নি। এসব নিয়ে আজ নান্টু পাল বলেন আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে পাশাপাশি দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ওখানে বাড়তি দোকান তৈরিই হয় নি। তবে দ্বিতল তৈরি হয়েছিল। তা ভেঙে ফেলা হোক। কিন্তু মন্ত্রী যে 22টি দোকান বিক্রির কথা বলছেন তা ঠিক নয়।


Conclusion:কাউন্সিলরের প্রস্তাব মেনে ওই ভবনটিতে ব্যবসায়ীরা এদিন একটি পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। তাতে লেখা হয় সেখানে জলাধার ও বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তি নির্মাণ করা হবে। তা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভাপতি মিছিল করে এলাকায় গিয়ে ওই পোস্টের ছিরে দেন। শংকর মালাকার বলেন 1962 সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় এই মার্কেট বানিয়েছিলেন। এতদিন তা কারো মনে পড়ে নি। এখন বে আইনি নির্মাণ বাঁচাতে বিধান রায়ের মূর্তি বসানোর প্রস্তাব মানব না।
Last Updated : Jul 16, 2019, 11:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.