শিলিগুড়ি, 1 অক্টোবর: ফের বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের ছক বানচাল করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ। দু‘টি পৃথক অভিযানে উদ্ধার প্রায় উদ্ধার হয়েছে 23 কেজি সোনা (Gold Smuggling Case)। যার বাজার মূল্য 13 কোটি টাকা । ঘটনায় মোট 6 জনকে গ্রেফতার করেছে ডিআরআই ৷ তেলের ট্যাঙ্কারের ভিতরে এবং জুতোর মধ্যে লুকিয়ে সোনা পাচার করতে গিয়েই ধরা পড়ে পাচারকারীরা ৷ শুক্রবার শিলিগুড়ি এলাকার ঘটনা ৷ ইমানুয়েল দাওনসুয়ানখাইয়া, এস পোলামথাঙ্গা, গোসুয়ানলিয়ানা, লালচুয়ানথাঙ্গা। ধৃতরা সকলেই মিজোরামের আইজলের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, ইন্দো-মায়ানমার সীমান্ত পার করে সোনা অসম পৌঁছয়। সেখানে হাতবদল হয়। দুটি পৃথক চারচাকা গাড়িতে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই চারজন। এদিকে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে, মালবাজার থেকে ওই চার পাচারকারীদের পিছু নেয় ডিআরআই। এরপর তারা শিলিগুড়ির সালুগাড়া চেকপোস্টে পৌঁছতেই তাদের আটক করে ডিআরআই । তল্লাশি চালালে তেলের ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় 21টি সোনার বাট। একটি গাড়িতে 13টি ও আরেকটি গাড়িতে 8টি সোনার বাট উদ্ধার হয়েছে । উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য 11কোটি ও 75 লক্ষ টাকা। ধৃতরা ওই সোনা পাচারের জন্য কলকাতা নিয়ে যাচ্ছিল । ধৃতদের শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে ডিআরআই।
আরও পড়ুন: সোনা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ, চাবি না পেয়ে বাক্সের তালা ভাঙার নির্দেশ বিচারপতির
অন্যদিকে, শুক্রবার গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালায় ডিআরআই । নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকতেই অভিযান চালান ডিআরআই আধিকারিকরা । সন্দেহভাজন ভানলাভুয়ানা ও মালসল্টলুয়াঙ্গা নামে দু’জনকে আটক করে। তাদের জুতোর মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় দু’কেজি সোনা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় 1 কোটি 24 হাজার টাকা। ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।