শিলিগুড়ি, 11 অগস্ট : সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্য়মে এক বছরের শিশুর খাদ্যনালীতে আটকে যাওয়া সেফটিপিন বের করল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (North Bengal Medical College and Hospital) ৷ জানা গিয়েছে, খেলতে খেলতে সেফটিপিনটি গিলে ফেলে সে ৷ এর পর সেটি খাদ্যনালীতে আটকে যায় ৷ মঙ্গলবার তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ সেখানেই জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করে আটকে থাকা সেফটিপিনটি বের করেন চিকিৎসকরা ৷
জটিল ওই অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলে বুধবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে ৷ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির বাসিন্দা ওই শিশুর নাম অঙ্কন সরকার ৷ গত 6 অগস্ট বড়দের চোখ এড়িয়ে সেফটিপিন নিয়ে খেলতে শুরু করেছিল সে ৷ আর খেলতে খেলতে সেফটিপিনটি গিলে ফেলে অঙ্কন ৷ খেলতে গিয়ে গলায় সেফটিপিন আটকে ফেলে। ওইদিন তাকে জলপাইগুড়ির জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় বাড়ির লোকজন ৷ এক্স-রে করার পর দেখা যায় খাদ্যনালীতে সেফটিপিন আটকে রয়েছে ৷ হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় অস্ত্রোপচার করতে হবে ৷ তারপর সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয় ওই অঙ্কন সরকারকে ৷
হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে অঙ্কন সরকারের অস্ত্রোপচারের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমেন্দু ভৌমিক, অরিজিৎ দাস, শুভম গুপ্ত, মণিদীপা সরকার এবং অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের ওয়াসিম মোল্লা, আমোশ তামাং ও সূর্যকান্ত দাসকে নিয়ে ওই বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয় ৷ মঙ্গলবার ওই শিশুর গলা থেকে অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় ৷
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে ব্ল্যাক ফাংগাস চিকিৎসার রিজিওনাল হাব ঘোষণা স্বাস্থ্য দফতরের
অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে চিকিৎসক নীতীশ কুমারের তত্ত্বাবধানে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার উইনিটে রাখা হয়েছে শিশুটিকে ৷ আজ থেকে তাকে মুখ দিয়ে খাওয়ানোর অনুমতি দিয়েছেন চিকিৎসকরা । খুব তাড়াতাড়ি অঙ্কন বাড়ি ফিরতে পারবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি অঙ্কনের মা কল্পনা মণ্ডল ৷ তাঁর বাবা সুবল সরকার বলেন, ‘‘চিকিৎসকরা দ্রুত পদক্ষেপ করায় আমার বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে ৷ তাঁদের ধন্যবাদ জানাই ৷’’