শিলিগুড়ি, 24 অগস্ট : এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের (Bengal Recruitment Scam) তদন্তে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University) হানা দিল সিবিআই (CBI) । বুধবার সকাল 10টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হানা দেয় সিবিআইয়ের 10 থেকে 12 জনের একটি বিশেষ দল ।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসির (SSC) চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে । অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের রিপোর্টে সুবীরেশ ভট্টাচার্যর নাম ছিল ৷ সেই অভিযোগের তদন্তেই এদিন হানা দেয় সিবিআই । সিবিআইয়ের দলটি দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ও আরেকটি উপাচার্যের আবাসনে হানা দেয় ।
প্রসঙ্গত, সুবীরেশ ভট্টাচার্য দেড় মাসের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন ৷ তার পর তিনি কলকাতায় ক্যাম্প অফিসে কাজে যোগ দেন ৷ সম্প্রতি তিনি শিলিগুড়ি ফিরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন ৷
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসসিতে 381 জনকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তার মধ্যে 222 জনের পার্সোনালিটি টেস্ট দেয়নি। কারণ, তাঁরা লেখা পরীক্ষায় পাস করেননি। বাকি 160 জন লেখা পরীক্ষায় পাস করলেও র্যাঙ্ক অনেক পিছনে ছিল। গোটা ঘটনায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই৷
আজ, বুধবার তাঁর অফিসে যান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ৷ সেখানে তাঁর থেকে ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷ সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে শিলিগুড়িতে উপাচার্যের আবাসনেও তল্লাশি চলছে ৷ তল্লাশি হয়েছে কলকাতায় উপাচার্যের বাঁশদ্রোণীর বাড়িতেও ৷ সেই বাড়িটি ইতিমধ্যেই সিল করেছে সিবিআই ৷
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পিএইচডি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকনমিক্সে পিএইচডি করেন । তখন তাঁর গাইড ছিলেন অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি । অভিযোগ, পিএইচডি কোর্স করতে ন্যুনতম দু'বছরের সময় প্রয়োজন হয় । থিসিস নিয়ে ওই সময়ের প্রয়োজন হয় । কিন্তু গোটা কোর্সটাই মাত্র এক বছরে শেষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । আর তা নিয়েই এখন জলঘোলা হতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই ।
প্রায় পঞ্চাশ জন প্রাক্তন পড়ুয়ারা একটি গণ স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দিয়েছেন উপাচার্যকে । তার মধ্যে রয়েছেন 1964 সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে উত্তীর্ণ অধ্যাপক । যদিও ওই বিষয়ে কোনভাবেই মুখ খুলতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । যদিও অনিল ভুঁইমালির দাবি, নিয়ম মেনেই সব হয়েছে ।
আরও পড়ুন : কেউ ছাড়া পাবে না, সব প্রমাণ হবে, বিস্ফোরক পার্থ