ETV Bharat / city

Koshi River নিরাপদ আস্তানার খোঁজে আতঙ্কে ঘর ছাড়ছে কোশিপাড়ের বাসিন্দারা - আতঙ্কে ঘর ছাড়ছে কোশিপাড়ের বাসিন্দারা

তলিয়ে গিয়েছে কয়েকটি বাড়ি । অনেক বাড়ির উঠোনে ফাটল ধরেছে । ঘর ছাড়ছে কোশি নদীর পাড়ের বাসিন্দারা (Koshi River) । তবে সরকারের কাছে পুনর্বাসনের আবেদন জানাচ্ছে তারা ৷

villagers leaving homes due to Koshi River erosion
Koshi River
author img

By

Published : Aug 25, 2022, 9:55 PM IST

Updated : Aug 25, 2022, 10:45 PM IST

মালদা, 25 অগস্ট: "বাতাস বইতেই আছে, গাং কাটতেই আছে । আর এখানে থাকা যায় না । এবার বাঁধে চললাম ।" ঘরে যা কিছু ছিল, গোছাতে গোছাতে বললেন নুরেশা বিবি । পেটের দায়ে আজও স্বামীকে কাজে বেরোতে হয়েছে । এদিকে কোশির ভাবগতিক সুবিধের ঠেকছে না । তাই চার ছেলেকে নিয়ে ঘরের যাবতীয় সামগ্রী বাঁধাছাঁদা করছেন তিনি । সন্ধের আগেই বাঁধে জায়গা নিতে হবে । নইলে সেখানেও মাথা গোঁজার জায়গা পাওয়া যাবে না (villagers leaving homes due to Koshi River erosion) ।

villagers leaving homes due to Koshi River erosion
অনেক বাড়ির উঠোনে ফাটল ধরেছে

এই মুহূর্তে কোশিই মাথাব্যথার কারণ রতুয়া-1 নম্বর ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের । 7-8টি গ্রাম যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে নদীতে । দিন সাতেক ধরেই নদীর জলস্তর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । গত 24 ঘণ্টাতেও তার কোনও বদল হয়নি । স্রোত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে নদীর পাড় । সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি খাসমহল আর জঞ্জালিটোলা গ্রামে । ইতিমধ্যে খাসমহল গ্রামে নদীর ধারে থাকা কয়েকটি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে । বেশ কিছু বাড়ির উঠোনে ফাটল দেখা দিয়েছে । তাই দুই গ্রামের মানুষ এখন নিরাপদ জায়গার খোঁজে ।

villagers leaving homes due to Koshi River erosion
তলিয়ে গিয়েছে কয়েকটি বাড়ি

খাসমহল গ্রামের আফজাল হোসেন বলছেন, "কোশির ভাঙনে আমাদের বাড়িঘর, গাছপালা নদীতে তলিয়ে গিয়েছে । গোটা গ্রামের মানুষ খুব সমস্যায় পড়েছে । আপাতত আমরা বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছি । নদী যেভাবে পাড় কাটছে, তাতে খাসমহল আর থাকবে না । বাঁধেও আমরা কতদিন নিরাপদে থাকতে পারব জানি না । তাই সরকারের কাছে আমরা পুনর্বাসনের আবেদন জানাচ্ছি ।"

আজও এলাকায় পূবালি আর পশ্চিমা বাতাসের ঘুর্ণিপাক চলছে । নদীপাড়ের মানুষ খুব ভালো করেই জানেন, এই বাতাসে ভাঙন আরও বাড়বে । তাই কারও হাতে এখন সময় নেই । সবাই নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত । তারই মধ্যে নুরেশা বিবি জানালেন, "জল বাড়তেই আছে । আমাদের কোনও জায়গা জমি নেই । ভেস্ট জায়গায় থাকি । প্রাণ বাঁচাতে এখন বাঁধে যাচ্ছি । কিন্তু সেখানেই বা কতদিন থাকব? সরকারের কাছে আমার আর্জি, আমাদের থাকার জন্য জায়গা দাও ।"

ঘর ছাড়ছে কোশিপাড়ের বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: কোশির দাপটে বিপন্ন একাধিক গ্রাম, ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের

রতুয়া-1 নম্বর ব্লকের বিডিও (BDO) রাকেশ টোপ্পোকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, "এখনও পর্যন্ত জেলার কোনও নদীর জলস্তর বিপদসীমা পেরোয়নি বলেই খবর রয়েছে । কোশি নদীর ধারে কিছুটা ভাঙন হচ্ছে । তবে সেটা নদীর ধারেই হচ্ছে । গ্রামে এখনও জল ঢোকেনি । গ্রামে জল ঢুকলে কিংবা বাড়িঘর নদীতে পড়ে গেলে আমাদের বিপর্যয় মোকাবিলা টিম তৈরি রয়েছে । পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুত রয়েছে ।"

মালদা, 25 অগস্ট: "বাতাস বইতেই আছে, গাং কাটতেই আছে । আর এখানে থাকা যায় না । এবার বাঁধে চললাম ।" ঘরে যা কিছু ছিল, গোছাতে গোছাতে বললেন নুরেশা বিবি । পেটের দায়ে আজও স্বামীকে কাজে বেরোতে হয়েছে । এদিকে কোশির ভাবগতিক সুবিধের ঠেকছে না । তাই চার ছেলেকে নিয়ে ঘরের যাবতীয় সামগ্রী বাঁধাছাঁদা করছেন তিনি । সন্ধের আগেই বাঁধে জায়গা নিতে হবে । নইলে সেখানেও মাথা গোঁজার জায়গা পাওয়া যাবে না (villagers leaving homes due to Koshi River erosion) ।

villagers leaving homes due to Koshi River erosion
অনেক বাড়ির উঠোনে ফাটল ধরেছে

এই মুহূর্তে কোশিই মাথাব্যথার কারণ রতুয়া-1 নম্বর ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের । 7-8টি গ্রাম যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে নদীতে । দিন সাতেক ধরেই নদীর জলস্তর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । গত 24 ঘণ্টাতেও তার কোনও বদল হয়নি । স্রোত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে নদীর পাড় । সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি খাসমহল আর জঞ্জালিটোলা গ্রামে । ইতিমধ্যে খাসমহল গ্রামে নদীর ধারে থাকা কয়েকটি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে । বেশ কিছু বাড়ির উঠোনে ফাটল দেখা দিয়েছে । তাই দুই গ্রামের মানুষ এখন নিরাপদ জায়গার খোঁজে ।

villagers leaving homes due to Koshi River erosion
তলিয়ে গিয়েছে কয়েকটি বাড়ি

খাসমহল গ্রামের আফজাল হোসেন বলছেন, "কোশির ভাঙনে আমাদের বাড়িঘর, গাছপালা নদীতে তলিয়ে গিয়েছে । গোটা গ্রামের মানুষ খুব সমস্যায় পড়েছে । আপাতত আমরা বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছি । নদী যেভাবে পাড় কাটছে, তাতে খাসমহল আর থাকবে না । বাঁধেও আমরা কতদিন নিরাপদে থাকতে পারব জানি না । তাই সরকারের কাছে আমরা পুনর্বাসনের আবেদন জানাচ্ছি ।"

আজও এলাকায় পূবালি আর পশ্চিমা বাতাসের ঘুর্ণিপাক চলছে । নদীপাড়ের মানুষ খুব ভালো করেই জানেন, এই বাতাসে ভাঙন আরও বাড়বে । তাই কারও হাতে এখন সময় নেই । সবাই নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত । তারই মধ্যে নুরেশা বিবি জানালেন, "জল বাড়তেই আছে । আমাদের কোনও জায়গা জমি নেই । ভেস্ট জায়গায় থাকি । প্রাণ বাঁচাতে এখন বাঁধে যাচ্ছি । কিন্তু সেখানেই বা কতদিন থাকব? সরকারের কাছে আমার আর্জি, আমাদের থাকার জন্য জায়গা দাও ।"

ঘর ছাড়ছে কোশিপাড়ের বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: কোশির দাপটে বিপন্ন একাধিক গ্রাম, ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের

রতুয়া-1 নম্বর ব্লকের বিডিও (BDO) রাকেশ টোপ্পোকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, "এখনও পর্যন্ত জেলার কোনও নদীর জলস্তর বিপদসীমা পেরোয়নি বলেই খবর রয়েছে । কোশি নদীর ধারে কিছুটা ভাঙন হচ্ছে । তবে সেটা নদীর ধারেই হচ্ছে । গ্রামে এখনও জল ঢোকেনি । গ্রামে জল ঢুকলে কিংবা বাড়িঘর নদীতে পড়ে গেলে আমাদের বিপর্যয় মোকাবিলা টিম তৈরি রয়েছে । পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুত রয়েছে ।"

Last Updated : Aug 25, 2022, 10:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.