মালদা, 19 জুন : কোরোনায় আক্রান্ত মালদা জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক ৷ বৃহস্পতিবার রাতে মালদা মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষায় কোরোনা সংক্রমণের সন্ধান মিলেছে ৷ লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় তিনি হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন ৷ এদিকে জেলায় নতুন করে মোট 11 জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন পুলিশকর্মী ৷ সব মিলিয়ে এই জেলায় কোরোনা সংক্রমিতের সংখ্যা, 360 ৷ তবে স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকায় কোরোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্তার নাম নথিভুক্ত করা হয়নি ৷ ফলে, সেই তালিকা অনুযায়ী জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা 359 ৷
মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 24 ঘণ্টায় জেলার মোট 12 জনের লালারসের নমুনায় কোরোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে ৷ এঁদের মধ্যে একজনের দ্বিতীয় দফায় লালারসের পরীক্ষা হয়েছে ৷ ওই যুবকের বাড়ি মালদা শহরে ৷ নতুন সংক্রামিতদের মধ্যে পুরাতন মালদা শহরের চারজন রয়েছেন ৷ সংক্রমিত বাকি ছয়জনের মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ও কালিয়াচক 1 ব্লকে দু’জন করে এবং কালিয়াচক 2 ও 3 ব্লকের একজন করে রয়েছেন ৷ তবে আজ সামনে উঠে এসেছে জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সংক্রমণের খবর ৷ কোরোনা মোকাবিলায় ওই আধিকারিক প্রথম থেকেই সামনের সারিতে থেকে কাজ করেছেন ৷ সরকারি নিয়ম মেনে গতকাল তিনি নিজের লালারস পরীক্ষার জন্য দেন ৷ রাতে সেই নমুনা পরীক্ষায় কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে ৷ সেই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেকে হোম কোয়ারানটিনে বন্দী করে ফেলেছেন ৷ আজ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে ৷ এনিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের এক আধিকারিকের লালারসের নমুনায় কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ তবে তাঁর কোনও উপসর্গ নেই ৷ ইতিমধ্যে তিনি সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে শুরু করেছেন ৷ বাড়িতে রেখে তাঁর চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷”
এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, “কোরোনা আক্রান্ত ওই কর্তা সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন নিজের দপ্তরে আসেন ৷ গত পরশুও তিনি নিজের দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেছেন ৷ গতকাল তাঁর লালারসের নমুনা কোরোনা পজ়িটিভ হয়েছে ৷ আজ সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (2)-এর দপ্তরে আমাদের সবাইকে লালারসের নমুনা দিতে বলা হয়েছে ৷ আমরা তার জন্য তৈরি ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত অফিস ভবন জীবাণুমুক্ত করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ এই বিষয়টি আমাদের ভাবাচ্ছে৷”
যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা স্বাস্থ্যভবন দ্রুত জীবাণুমুক্ত করা হবে ৷ ইতিমধ্যেই তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷