মালদা, 4 অক্টোবর : অতিরিক্ত যাত্রী তোলাতেই ঘটেছে বিপর্যয় ৷ দাবি যাত্রীদের ৷
চাঁচলের জগন্নাথপুরে মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলাকেই দায়ী করছেন উদ্ধার হওয়া যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন ৷
গতকাল মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর ঘাট এলাকায় বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল । প্রতিযোগিতা দেখার জন্য মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর, মল্লিকপাড়া এলাকার শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা নৌকা করে মুকুন্দপুর ঘাটের দিকে রওনা দিয়েছিলেন । মহানন্দার মাঝামাঝি নৌকাটি উল্টে যায় । কয়েকজন কোনও রকমে সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন ৷ তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এখনও নিখোঁজ বহু ৷ যদিও মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি ৷ দুর্ঘটনার পরই শুরু হয় উদ্ধার কাজ ৷
দুর্ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন উদ্ধার হওয়া এক মহিলা যাত্রী বিলকিস বিবি ৷ তাঁর কথায়, "নৌকো করে যাচ্ছিলাম ৷ মেয়ের হাত ধরে ছিলাম ৷ হঠাৎ নৌকা উল্টে যায় ৷ খানিকটা সাঁতরে আসার পর শরীরে আর শক্তি ছিল না ৷ মেয়েটার হাত কখন ছেড়ে গিয়েছে জানি না ৷ পরে একটি ছেলে আমার হাত ধরে টেনে পাড়ে নিয়ে আসে ৷ যখন আমাকে উদ্ধার করা হয় তখন আমার জ্ঞান ছিল না ৷" নিজে প্রাণে বাঁচলেও এখনও মেয়ের দেখা মেলেনি ৷ আদৌ দেখা মিলবে তো, বিড়বিড় করে সে কথাই যেন বলে চলেছেন বিলকিস ৷
আরও পড়ুন : মহানন্দায় নৌকাডুবি ; মৃত 3, নিখোঁজ 80
সাদ্দাম আলি ৷ যাঁর মাসি ছিলেন ওই নৌকায় ৷ নৌকাডুবির খবর পেয়েই ছুটে গেছিলেন ঘাটে ৷ ভাগ্য ভালো মাসি শেফালি বিবিকে উদ্ধার করা গেছে ৷ বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর ৷ জানান, উদ্ধারে সরকার সব রকম সাহায্য করছে ৷ ঘটনাস্থানে আসেন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার ৷