ETV Bharat / city

গেরুয়া পোশাকে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার মালদায়

এবার মালদায় পড়ল গেরুয়া পোশাক পরিহিত ছবিতে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার ৷ রবিবাসরীয় সকালে চাঞ্চল্য জেলার রাজনীতিতে৷

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Nov 8, 2020, 4:42 PM IST

মালদা, ৮ নভেম্বর : মালদায় না থেকেও রবিবাসরীয় সকালে শহরের উত্তাপ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ কারণ শহরের কেন্দ্রস্থান ফোয়ারা মোড়ে তাঁর ছবি দেওয়া ব্যানার ৷ সেটিতে গেরুয়া পাঞ্জাবি পরা শুভেন্দুর ছবির নিচেই চায়ের দোকানে আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে চর্চা ৷ শুধু শহর নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গাতেই আজ শুভেন্দুর ছবি সহ ব্যানার দেখা যাচ্ছে ৷ তবে রাজ্যের অন্য জায়গাগুলিতে এই ব্যানার কিংবা পোস্টার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এখানে তার কোনও জায়গা নেই ৷ কারণ, ব্যানারেই সেই উত্তর দেওয়া রয়েছে ৷

সম্প্রতি পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ খোদ শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সভা কিংবা প্রকাশ্যে বিভিন্ন মন্তব্য করে এনিয়ে সবাইকে ধন্দে রেখে দিয়েছেন৷ তৃণমূলের তরফেও ফিরহাদ হাকিম কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতাদের মুখ থেকে শুভেন্দু বিরোধী মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে৷ মালদা জেলায় দীর্ঘদিন তৃণমূলের সংগঠন তৈরির দায়িত্বে ছিলেন তমলুকের বিধায়ক৷ শুধু এই জেলার রাজনীতিটাই নয়, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদেরও তিনি জানেন, চেনেন নাম ধরে৷ ফলে তাঁর গায়ের গেরুয়া গন্ধ এই জেলায় তৃণমূলের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির৷ তবে সেই শিবিরের আরও বক্তব্য, সবটাই থমকে বিহার ভোটের ফলের জন্য৷ তার উপরেই নির্ভর করছে অধিকারী পরিবারের ভবিষ্যৎ অবস্থান৷

মালদায় পড়ল গেরুয়া পোশাক পরে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার

একুশের ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতির কী বদল হবে, এখনও অজানা সবার৷ তবে রাজ্যে এবার লড়াইটা যে ঘাসফুল আর পদ্মের মধ্যেই, তা অজানা নেই কারোর৷ উত্তর বলয়ে দিন দিন পিছিয়ে পড়া গেরুয়া শিবিরের চোখ যে এবার এই রাজ্যে, তা নেতৃত্বের পদচারণায় পরিষ্কার৷ ইতিমধ্যে রাজ্যে পা ফেলে গিয়েছেন মোদি-শাহ ৷ পা ফেলার অপেক্ষায় আরও অনেকে৷ তাই এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান সব পক্ষেরই মাথাব্যথার কারণ৷

তবে আজ মালদা শহরে শুভেন্দুর পোস্টার আঁচ ছড়িয়েছে৷ যদিও এনিয়ে জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে শিশির অধিকারী আমাদের দলের একজন শক্তিশালী নেতৃত্ব৷ আমিও একসময় দলের জেলা সভাপতি ছিলাম৷ তিনিও ছেলেন৷ তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী দলের একজন সৈনিক৷ শুভেন্দুবাবু কিংবা অন্য কেউ, সবাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী৷ BJP-র লোকজন প্রতিটি জেলাতেই তৃণমূলকে ভাঙতে, বদনাম করতে এমন পোস্টার লাগাচ্ছে৷ শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে আমাদেরও ভালো সম্পর্ক৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন আমাদের নেত্রী, তাঁরও নেত্রী৷ আজ মালদায় BJP-র এক কর্মী কাজল গোস্বামী এই ব্যানার লাগিয়েছে৷ কিছুদিন আগে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সে খিচুড়ি বিলি করেছিল৷ তৃণমূল যখন তাকে গুরুত্ব দিল না, সে তখন BJP-তে যোগ দেয়৷ আমরা জানি, অধিকারী পরিবার এসব কখনও প্রশ্রয় দেয় না৷ BJP-র আর কিছু করার নেই৷ সারা দেশের মানুষই BJP-কে প্রত্যাখ্যান করছে৷ বাংলাতেও একই হাল৷ তাই তাদের কিছু এজেন্ট এসব করে যাচ্ছে৷”

যিনি এই ব্যানারের হোতা, সেই কাজল গোস্বামীর সঙ্গে সম্প্রতি জেলা BJP-র দহরম মহরম বেড়েছে৷ তিনি বলছেন, “শুভেন্দু অধিকারী একজন বড় মনের মানুষ৷ তিনি আমার রাজনৈতিক গুরু৷ এনিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই৷ সবচেয়ে বড় কথা, তিনি একজন সমাজসেবক৷ এমন এক মানুষ বাংলার সবার আদর্শ হওয়া উচিত৷ আগামী দিনে বাংলা শুভেন্দুদার হাত ধরেই এগিয়ে যাবে৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জ্ঞাপন করতেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে৷ এখানে কোনও রাজনৈতিক রং-এর ব্যাপার নেই৷ শুভেন্দুদার মতো ব্যক্তিত্বের গ্রহণযোগ্যতা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ শুভেন্দুদা সমস্ত রং, সব বর্ণের মানুষের আদর্শ৷ তাছাড়া এই ব্যানার সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক৷ এনিয়ে অযথা জলঘোলা না করাই ভালো৷”

মালদা, ৮ নভেম্বর : মালদায় না থেকেও রবিবাসরীয় সকালে শহরের উত্তাপ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ কারণ শহরের কেন্দ্রস্থান ফোয়ারা মোড়ে তাঁর ছবি দেওয়া ব্যানার ৷ সেটিতে গেরুয়া পাঞ্জাবি পরা শুভেন্দুর ছবির নিচেই চায়ের দোকানে আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে চর্চা ৷ শুধু শহর নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গাতেই আজ শুভেন্দুর ছবি সহ ব্যানার দেখা যাচ্ছে ৷ তবে রাজ্যের অন্য জায়গাগুলিতে এই ব্যানার কিংবা পোস্টার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এখানে তার কোনও জায়গা নেই ৷ কারণ, ব্যানারেই সেই উত্তর দেওয়া রয়েছে ৷

সম্প্রতি পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ খোদ শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সভা কিংবা প্রকাশ্যে বিভিন্ন মন্তব্য করে এনিয়ে সবাইকে ধন্দে রেখে দিয়েছেন৷ তৃণমূলের তরফেও ফিরহাদ হাকিম কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতাদের মুখ থেকে শুভেন্দু বিরোধী মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে৷ মালদা জেলায় দীর্ঘদিন তৃণমূলের সংগঠন তৈরির দায়িত্বে ছিলেন তমলুকের বিধায়ক৷ শুধু এই জেলার রাজনীতিটাই নয়, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদেরও তিনি জানেন, চেনেন নাম ধরে৷ ফলে তাঁর গায়ের গেরুয়া গন্ধ এই জেলায় তৃণমূলের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির৷ তবে সেই শিবিরের আরও বক্তব্য, সবটাই থমকে বিহার ভোটের ফলের জন্য৷ তার উপরেই নির্ভর করছে অধিকারী পরিবারের ভবিষ্যৎ অবস্থান৷

মালদায় পড়ল গেরুয়া পোশাক পরে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার

একুশের ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতির কী বদল হবে, এখনও অজানা সবার৷ তবে রাজ্যে এবার লড়াইটা যে ঘাসফুল আর পদ্মের মধ্যেই, তা অজানা নেই কারোর৷ উত্তর বলয়ে দিন দিন পিছিয়ে পড়া গেরুয়া শিবিরের চোখ যে এবার এই রাজ্যে, তা নেতৃত্বের পদচারণায় পরিষ্কার৷ ইতিমধ্যে রাজ্যে পা ফেলে গিয়েছেন মোদি-শাহ ৷ পা ফেলার অপেক্ষায় আরও অনেকে৷ তাই এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান সব পক্ষেরই মাথাব্যথার কারণ৷

তবে আজ মালদা শহরে শুভেন্দুর পোস্টার আঁচ ছড়িয়েছে৷ যদিও এনিয়ে জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে শিশির অধিকারী আমাদের দলের একজন শক্তিশালী নেতৃত্ব৷ আমিও একসময় দলের জেলা সভাপতি ছিলাম৷ তিনিও ছেলেন৷ তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী দলের একজন সৈনিক৷ শুভেন্দুবাবু কিংবা অন্য কেউ, সবাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী৷ BJP-র লোকজন প্রতিটি জেলাতেই তৃণমূলকে ভাঙতে, বদনাম করতে এমন পোস্টার লাগাচ্ছে৷ শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে আমাদেরও ভালো সম্পর্ক৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন আমাদের নেত্রী, তাঁরও নেত্রী৷ আজ মালদায় BJP-র এক কর্মী কাজল গোস্বামী এই ব্যানার লাগিয়েছে৷ কিছুদিন আগে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সে খিচুড়ি বিলি করেছিল৷ তৃণমূল যখন তাকে গুরুত্ব দিল না, সে তখন BJP-তে যোগ দেয়৷ আমরা জানি, অধিকারী পরিবার এসব কখনও প্রশ্রয় দেয় না৷ BJP-র আর কিছু করার নেই৷ সারা দেশের মানুষই BJP-কে প্রত্যাখ্যান করছে৷ বাংলাতেও একই হাল৷ তাই তাদের কিছু এজেন্ট এসব করে যাচ্ছে৷”

যিনি এই ব্যানারের হোতা, সেই কাজল গোস্বামীর সঙ্গে সম্প্রতি জেলা BJP-র দহরম মহরম বেড়েছে৷ তিনি বলছেন, “শুভেন্দু অধিকারী একজন বড় মনের মানুষ৷ তিনি আমার রাজনৈতিক গুরু৷ এনিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই৷ সবচেয়ে বড় কথা, তিনি একজন সমাজসেবক৷ এমন এক মানুষ বাংলার সবার আদর্শ হওয়া উচিত৷ আগামী দিনে বাংলা শুভেন্দুদার হাত ধরেই এগিয়ে যাবে৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জ্ঞাপন করতেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে৷ এখানে কোনও রাজনৈতিক রং-এর ব্যাপার নেই৷ শুভেন্দুদার মতো ব্যক্তিত্বের গ্রহণযোগ্যতা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ শুভেন্দুদা সমস্ত রং, সব বর্ণের মানুষের আদর্শ৷ তাছাড়া এই ব্যানার সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক৷ এনিয়ে অযথা জলঘোলা না করাই ভালো৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.