ETV Bharat / city

নেই কাজ, আছেন মেডিকেল টেকনিশিয়ান; মাসে খরচ কয়েক লাখ

শুধু মালদাই নয়, রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেই এক ছবি । যদিও এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ।

কোনও কাজ নেই, বেতন 50 হাজার, মালদা মেডিকেলে বিতর্ক
author img

By

Published : Oct 1, 2019, 5:38 PM IST

Updated : Oct 1, 2019, 5:44 PM IST

মালদা, 1 অক্টোবর : কোনও কাজ নেই ৷ অথচ প্রতি মাসে সরকারের ঘর থেকে বেতন দিতে হচ্ছে তাঁদের । শুধু তাই নয়, তাঁদের কাজ এখন PPP মডেলে এক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ায় সেই সংস্থাকেও প্রচুর টাকা দিতে হচ্ছে সরকারকে । এই ছবি ধরা পড়েছে মালদা মেডিকেলের রেডিয়োলজি বিভাগে । জানা গেছে, শুধু মালদাই নয়, রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেই এক ছবি । যদিও এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ।

রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ সাধারণ সরকারি হাসপাতালগুলিতেও মেডিকেল টেকনিশিয়ান পদ রয়েছে । রোগীদের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, প্যাথোলজিসহ বিভিন্ন কাজ সেই কর্মীদেরই করার কথা । তবে এখন রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে চালু হয়ে যাওয়ায় পুরানো এক্স-রে মেশিনগুলি নষ্ট হওয়ার মুখে, খবর এমনই ।

রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে চালু হয়ে যাওয়ায় পুরানো এক্স-রে মেশিনগুলি নষ্ট হওয়ার মুখে, খবর এমনই ।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ডিজিটাল এক্স-রে করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে । মালদা মেডিকেলে সেই দায়িত্বে রয়েছে মেদিনীপুর ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা । মেডিকেল সূত্রে খবর, প্রতিটি এক্স-রে করার জন্য রাজ্য সরকার এই সংস্থাগুলিকে 100 টাকা করে দেয় । মালদা মেডিকেলে প্রতিদিন কমপক্ষে 100 রোগীর ডিজিটাল এক্স-রে করা হয় । সেই হিসাবে শুধুমাত্র মালদা মেডিকেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাকেই প্রতিদিন রাজ্য সরকার অন্তত 10 হাজার টাকা প্রদান করে । অর্থাৎ প্রতি মাসে সেই অঙ্ক কমপক্ষে 3 লাখ টাকা ।

মালদা মেডিকেল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে মেডিকেলের রেডিয়োলজি বিভাগে মেডিকেল টেকনিশিয়ান পদে রয়েছেন 14 জন কর্মী । মূলত এক্স-রে করাই তাঁদের কাজ । প্রত্যেকের মাসিক বেতন 50 হাজার টাকার উপর । কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁদের কোনও কাজ নেই । কারণ, সেই কাজের দায়িত্ব এখন ডিজিটাল এক্স-রে'র দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাটির । কোনও কাজ না করলেও রাজ্য সরকারকে এই 14 জন কর্মীর বেতন বাবদ প্রতি মাসে অন্তত 7 লাখ টাকা দিতে হচ্ছে । ফলে শুধুমাত্র এক্স-রে বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে প্রতিমাসে বেরিয়ে যাচ্ছে অন্তত 10 লাখ টাকা । প্রশ্ন উঠেছে, এভাবেই কি রাজ্য সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা?

গোটা রাজ্যের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে টাকার অঙ্কটা কোথায় দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমেয় । তবে এই কর্মীদের নাকি কাজে রাখতেই হবে। তা না হলে নাকি MCI-এর অনুমোদন পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে । বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ'র কাছে । কিন্তু এই বিষয় নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে রাজি হননি ।

মালদা, 1 অক্টোবর : কোনও কাজ নেই ৷ অথচ প্রতি মাসে সরকারের ঘর থেকে বেতন দিতে হচ্ছে তাঁদের । শুধু তাই নয়, তাঁদের কাজ এখন PPP মডেলে এক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ায় সেই সংস্থাকেও প্রচুর টাকা দিতে হচ্ছে সরকারকে । এই ছবি ধরা পড়েছে মালদা মেডিকেলের রেডিয়োলজি বিভাগে । জানা গেছে, শুধু মালদাই নয়, রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেই এক ছবি । যদিও এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ।

রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ সাধারণ সরকারি হাসপাতালগুলিতেও মেডিকেল টেকনিশিয়ান পদ রয়েছে । রোগীদের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, প্যাথোলজিসহ বিভিন্ন কাজ সেই কর্মীদেরই করার কথা । তবে এখন রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে চালু হয়ে যাওয়ায় পুরানো এক্স-রে মেশিনগুলি নষ্ট হওয়ার মুখে, খবর এমনই ।

রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে চালু হয়ে যাওয়ায় পুরানো এক্স-রে মেশিনগুলি নষ্ট হওয়ার মুখে, খবর এমনই ।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ডিজিটাল এক্স-রে করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে । মালদা মেডিকেলে সেই দায়িত্বে রয়েছে মেদিনীপুর ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা । মেডিকেল সূত্রে খবর, প্রতিটি এক্স-রে করার জন্য রাজ্য সরকার এই সংস্থাগুলিকে 100 টাকা করে দেয় । মালদা মেডিকেলে প্রতিদিন কমপক্ষে 100 রোগীর ডিজিটাল এক্স-রে করা হয় । সেই হিসাবে শুধুমাত্র মালদা মেডিকেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাকেই প্রতিদিন রাজ্য সরকার অন্তত 10 হাজার টাকা প্রদান করে । অর্থাৎ প্রতি মাসে সেই অঙ্ক কমপক্ষে 3 লাখ টাকা ।

মালদা মেডিকেল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে মেডিকেলের রেডিয়োলজি বিভাগে মেডিকেল টেকনিশিয়ান পদে রয়েছেন 14 জন কর্মী । মূলত এক্স-রে করাই তাঁদের কাজ । প্রত্যেকের মাসিক বেতন 50 হাজার টাকার উপর । কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁদের কোনও কাজ নেই । কারণ, সেই কাজের দায়িত্ব এখন ডিজিটাল এক্স-রে'র দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাটির । কোনও কাজ না করলেও রাজ্য সরকারকে এই 14 জন কর্মীর বেতন বাবদ প্রতি মাসে অন্তত 7 লাখ টাকা দিতে হচ্ছে । ফলে শুধুমাত্র এক্স-রে বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে প্রতিমাসে বেরিয়ে যাচ্ছে অন্তত 10 লাখ টাকা । প্রশ্ন উঠেছে, এভাবেই কি রাজ্য সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা?

গোটা রাজ্যের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে টাকার অঙ্কটা কোথায় দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমেয় । তবে এই কর্মীদের নাকি কাজে রাখতেই হবে। তা না হলে নাকি MCI-এর অনুমোদন পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে । বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ'র কাছে । কিন্তু এই বিষয় নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে রাজি হননি ।

Intro:মালদা, 01 অক্টোবর : কোনও কাজ নেই, অথচ প্রতি মাসে সরকারের ঘর থেকে বেতন দিতে হচ্ছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাজ এখন পিপিপি মডেলে এক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ায় সেই সংস্থাকেও প্রচুর টাকা দিতে হচ্ছে সরকারকে। এই ছবি ধরা পড়েছে মালদা মেডিকেলের রেডিওলজি বিভাগে। জানা গেছে, শুধু মালদাই নয়, রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই এক ছবি। যদিও বিতর্কিত এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবেই কি রাজ্য সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা?


Body:রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহ-সাধারণ সরকারি হাসপাতালগুলিতেও মেডিকেল টেকনিশিয়ান পদ রয়েছে। রোগীদের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, প্যাথলজি সহ বিভিন্ন কাজ সেই কর্মীদেরই করার কথা। তবে এখন রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিট্যাল এক্স-রে চালু হয়ে যাওয়ায় পুরোনো এক্স-রে মেশিনগুলি নষ্ট হওয়ার পথে বলেই খবর। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ডিজিট্যাল এক্স-রে করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে। মালদা মেডিকেলে সেই দায়িত্বে রয়েছে মেদিনীপুর ডায়াগনেস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। মেডিকেল সূত্রে খবর, প্রতিটি এক্স-রে করার জন্য রাজ্য সরকার এই সংস্থাগুলিকে 100 টাকা করে দেয়। মালদা মেডিকেলে প্রতিদিন কমপক্ষে 100 রোগীর ডিজিট্যাল এক্স-রে করা হয়। সেই হিসাবে শুধুমাত্র মালদা মেডিকেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাকেই প্রতিদিন রাজ্য সরকার অন্তত 10 হাজার টাকা প্রদান করে। অর্থাৎ প্রতি মাসে সেই অংক কমপক্ষে 3 লক্ষ টাকা।
মালদা মেডিকেল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে মেডিকেলের রেডিওলজি বিভাগে মেডিকেল টেকনিশিয়ান পদে রয়েছেন 14 জন কর্মী। মূলত এক্স-রে করাই তাঁদের কাজ। প্রত্যেকের মাসিক বেতন 50 হাজার টাকার উপর। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁদের কোনও কাজ নেই। কারণ, সেই কাজের দায়িত্ব এখন ডিজিট্যাল এক্স-রে'র দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাটির। অর্থাৎ কোনও কাজ না করলেও রাজ্য সরকারকে এই 14 জন কর্মীর বেতন বাবদ প্রতি মাসে অন্তত 7 লক্ষ টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র এক্স-রে বাবদ সরকারের কোশাগার থেকে প্রতিমাসে দু'ভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে অন্তত 10 লক্ষ টাকা। গোটা রাজ্যের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে টাকার অংকটা কোথায় দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমেয়। তবে এই কর্মীদের নাকি কাজে রাখতেই হবে। তা না হলে নাকি এমসিআই-এর অনুমোদন পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।


Conclusion:বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ'র কাছে। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে তিনি একটি শব্দও বলতে চাননি।
Last Updated : Oct 1, 2019, 5:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.