মালদা, 18 মার্চ : কোরোনার প্রভাব পড়ল ভারত সেবাশ্রম সংঘের বাৎসরিক বাসন্তী পুজোয় ৷ প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞায় এবার কোনওরকমে পুজো শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ ৷ এবার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মহাপ্রসাদ বিতরণও ৷ জনসমাগম ঠেকাতে প্রশাসনের জারি করা সব ধরনের নির্দেশিকা মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ আজ ইটিভি ভারতকে সেকথা জানিয়েছেন মঠাধ্যক্ষ ৷
পুরনো মালদার সাহাপুরে ভারত সেবাশ্রম সংঘের বাৎসরিক বাসন্তী পুজো প্রতি বছরই ধুমধামের সঙ্গে হয়ে থাকে ৷ পুজোর চারদিন সেখানে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয় ৷ চলে দীক্ষা দান, মহাপ্রসাদ বিতরণ ৷ বিশেষত নবমীর দিন হোমে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ ৷ শুধুমাত্র এই পুজোর জন্য মহানন্দার উপর তৈরি করা হয় বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো ৷ পুজোকে ঘিরে বসে বিশাল মেলা ৷ মেলা চলে পাঁচদিন ৷ কিন্তু কোরোনার জেরে এবার আর সেই ছবি দেখা যাবে না ৷ আগামী ৩০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে বাসন্তী পুজো ৷ কোরোনার জেরে জন সমাগম এড়াতে পুজো হবে কোনওরকমে ৷ বাসন্তী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর গ্রামাঞ্চল থেকে বহু ভক্ত এই মন্দিরে উপস্থিত হন ৷ পুজোর ক’দিন তাঁরা মন্দিরেই থাকেন ৷ এবার তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে চিন্তিত আশ্রম কর্তৃপক্ষ ৷
আজ এই বিষয়ে ইটিভি ভারতকে মঠাধ্যক্ষ শিবসুন্দরানন্দজি মহারাজ বলেন, “পুজো নিয়ে আমরা নিজেরা যেমন বৈঠক করেছি, তেমনই প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি ৷ প্রশাসনের মূল বক্তব্য, কোরোনা মোকাবিলায় কোথাও কোনও বড় জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না ৷ আমাদের এখানে পুজোয় মূলত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলিতে বেশি ভিড় হয় ৷ তাই এবার আমরা পুজো উপলক্ষ্যে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করব না বলে ঠিক করেছি ৷ সেসব ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে ৷ এবার পুজোয় মহাপ্রসাদও বিতরণ করা হবে না ৷ শুকনো প্রসাদ বিতরণ করা হবে ৷ শুধুমাত্র মায়ের পুজো, দীক্ষা দান আর যজ্ঞ হবে ৷ যজ্ঞে যে আহুতি দেওয়া হয়, তার ধোঁয়ায় বহু ভাইরাস নষ্ট হয় ৷ এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও রয়েছে ৷ তাই হোম আমরা বন্ধ করছি না ৷ তবে মানুষের জমায়েত যাতে না হয় তার সব ব্যবস্থা আমরা করব ৷ আর পুজোকে ঘিরে যে মেলা বসে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেব ৷ পুলিশই মেলা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ৷”