মালদা, 3 নভেম্বর : ব্রাউন সুগার পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য মালদা পুলিশের ৷ 681 গ্রাম ব্রাউন সুগার ও নগদ ১০ লাখ 70 হাজার টাকাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল ৷ ধৃতদের আজ মালদা জেলা আদালতে তোলা হয় ।
অভিযোগ, মালদা জেলার কালিয়াচক ব্রাউন সুগারের আখড়া হয়ে উঠেছে । জেলা পুলিশ প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের সন্ধান চালাচ্ছিল । চলতি মাসে বেশ কয়েকবার ব্রাউন সুগার সহ নগদ টাকাও উদ্ধার করে জেলা পুলিশ । ব্রাউন সুগার চক্রের হদিশ পেতে কয়েকদিন আগে পুলিশ সোশাল মিডিয়ায় জনগণের কাছে আবেদন করে । তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির নাম পরিচয় গোপন রাখার সঙ্গে নগদ পুরস্কারের কথাও জানানো হয় । অবশেষে ব্রাউন সুগার তৈরি ও পাচার চক্রের মূল পান্ডাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল জেলা পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাইরে থেকে কাঁচামাল এনে কালিয়াচকে ব্রাউন সুগার তৈরি করা হত । সেই ব্রাউন সুগার বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হত ।
পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “গতকাল বিকেলে তথ্যের ভিত্তিতে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ হানা দিয়ে একটি ছোটো গাড়ি আটক করে । গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে 618 গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয় । গাড়ি থেকে কাউসার আলি (24) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানায়, এই ব্রাউন সুগার মুর্শিদাবাদ হয়ে ওড়িশায় পাচার করা হত । এর আগেও সে কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে ওড়িশায় পাচার করেছে । ওই ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানার পুলিশ সুলতানগঞ্জে হানা দেয় । সুলতানগঞ্জ থেকে ফরিদা বিবি ও সানিউল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয় । সেখান থেকে 63 গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ব্রাউন সুগার পাচারের কিছু সামগ্রী সহ ১০ লাখ 70 হাজার 750 টাকা উদ্ধার করা হয় । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদে হানা দিয়ে হাকিমুদ্দিন ইসলাম ও সাবির আলিকে গ্রেপ্তার করা হয় । উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের মূল্য আনুমানিক 30-40 লাখ টাকা । তদন্তে জানা গেছে, বাইরে থেকে কাঁচামাল এনে কালিয়াচকে এই ব্রাউন সুগার তৈরি করা হত । এই ব্রাউন সুগার তৈরি এবং পাচার চক্রে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে । আপাতত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃতদের আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয় ।”