ETV Bharat / city

ঢাকুরিয়া ব্রিজে নেই দম, নতুন ব্রিজের প্রস্তাব রাইটার্সের ; অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির

সময় এসেছে নতুন করে ব্রিজ তৈরির । সূত্রের খবর, ঢাকুরিয়া ব্রিজ নিয়ে নবান্নকে এমনই রিপোর্ট দিল রাইটার্স । এখন অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির । দপ্তরের সবুজ সংকেত পেলেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jun 24, 2019, 9:40 PM IST

কলকাতা, 24 জুন : শরীরে জীর্ণতার ছাপ স্পষ্ট । বয়স হয়েছে 56 । জীর্ণ সেই শরীর আজও বহন করে চলেছে লাখ লাখ গাড়ির ভার । কিন্তু অবস্থা মোটেও ভালো নয় । একাধিকবার এই ঢাকুরিয়া ব্রিজের বেহাল দশা শিরোনামে এলেও পরিবর্তন হয়নি কিছুই । সাময়িক মেরামতি হলেও ফেরেনি হাল । ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো । আর তাই সময় এসেছে নতুন করে ব্রিজ তৈরির । সূত্রের খবর, নবান্নকে এমনই রিপোর্ট দিল রাইটার্স । এখন অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির । দপ্তরের সবুজ সংকেত পেলেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ ।

বছর পাঁচেক আগে ঢাকুরিয়া ব্রিজে একাধিক গর্ত দেখা যায় । পরীক্ষা করে জানা যায় ইঁদুরের তান্ডবে এই গর্ত । ঢাকুরিয়া ব্রিজের পেটে দাপাদাপি করছে তারা । আর তার জেরেই আলগা হয়ে যাচ্ছে মাটি । সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা হলে পরে এক-দু'বার সারাইয়ের কাজ হয় । অভিযোগ, সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করে জোড়াতালি দিয়ে মেরামতি হয় ব্রিজ । শরীরে পরে নীল সাদার প্রলেপ । সেই নীল সাদা প্রলেপের ফাঁক দিয়ে মাঝেমধ্যে দেখা যায় ফাটল । ফের হয় সারাই । রাস্তা খুললে সব আতঙ্ক কাটিয়ে নিশ্চিন্তে শুরু হয় যান চলাচল । তবে, মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙলেই ফের টনক করে প্রশাসনের । শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ।

ইঁদুরের বড় বড় গর্ত খুঁজে পাওয়ার পর কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে রাইটার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেরামতির । তখন থেকেই ভারী যান চলাচলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেখানে । রাইটার্স সূত্রে খবর, সে সময় ওইসব ইঁদুরের গর্ত সিমেন্ট-বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছিল । সেবিষয়ে, রাইটার্সের এক কর্তা জানাচ্ছেন, সেই সময় ব্রিজের নকশা চাওয়া হয়েছিল । চাওয়া হয়েছিল কনস্ট্রাকশনের বিভিন্ন নথি । কিন্তু সে সব আর পাওয়া যায়নি ।

মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর শহরের সবকটি ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় । তখনও রিপোর্ট এসেছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় । সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাইটার্সকে বেশ কয়েকটি ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সমীক্ষা রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল । সেই রিপোর্টই নবান্নকে জানিয়ে দিয়েছে রাইটার্স, পুরোনো ব্রিজে আর চলার মতো জায়গায় নেই । তৈরি করতে হবে নতুন ব্রিজ । চাই মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি ।

কলকাতা, 24 জুন : শরীরে জীর্ণতার ছাপ স্পষ্ট । বয়স হয়েছে 56 । জীর্ণ সেই শরীর আজও বহন করে চলেছে লাখ লাখ গাড়ির ভার । কিন্তু অবস্থা মোটেও ভালো নয় । একাধিকবার এই ঢাকুরিয়া ব্রিজের বেহাল দশা শিরোনামে এলেও পরিবর্তন হয়নি কিছুই । সাময়িক মেরামতি হলেও ফেরেনি হাল । ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো । আর তাই সময় এসেছে নতুন করে ব্রিজ তৈরির । সূত্রের খবর, নবান্নকে এমনই রিপোর্ট দিল রাইটার্স । এখন অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির । দপ্তরের সবুজ সংকেত পেলেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ ।

বছর পাঁচেক আগে ঢাকুরিয়া ব্রিজে একাধিক গর্ত দেখা যায় । পরীক্ষা করে জানা যায় ইঁদুরের তান্ডবে এই গর্ত । ঢাকুরিয়া ব্রিজের পেটে দাপাদাপি করছে তারা । আর তার জেরেই আলগা হয়ে যাচ্ছে মাটি । সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা হলে পরে এক-দু'বার সারাইয়ের কাজ হয় । অভিযোগ, সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করে জোড়াতালি দিয়ে মেরামতি হয় ব্রিজ । শরীরে পরে নীল সাদার প্রলেপ । সেই নীল সাদা প্রলেপের ফাঁক দিয়ে মাঝেমধ্যে দেখা যায় ফাটল । ফের হয় সারাই । রাস্তা খুললে সব আতঙ্ক কাটিয়ে নিশ্চিন্তে শুরু হয় যান চলাচল । তবে, মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙলেই ফের টনক করে প্রশাসনের । শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ।

ইঁদুরের বড় বড় গর্ত খুঁজে পাওয়ার পর কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে রাইটার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেরামতির । তখন থেকেই ভারী যান চলাচলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেখানে । রাইটার্স সূত্রে খবর, সে সময় ওইসব ইঁদুরের গর্ত সিমেন্ট-বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছিল । সেবিষয়ে, রাইটার্সের এক কর্তা জানাচ্ছেন, সেই সময় ব্রিজের নকশা চাওয়া হয়েছিল । চাওয়া হয়েছিল কনস্ট্রাকশনের বিভিন্ন নথি । কিন্তু সে সব আর পাওয়া যায়নি ।

মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর শহরের সবকটি ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় । তখনও রিপোর্ট এসেছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় । সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাইটার্সকে বেশ কয়েকটি ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সমীক্ষা রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল । সেই রিপোর্টই নবান্নকে জানিয়ে দিয়েছে রাইটার্স, পুরোনো ব্রিজে আর চলার মতো জায়গায় নেই । তৈরি করতে হবে নতুন ব্রিজ । চাই মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি ।

Intro:কলকাতা, ২৪ জুন: বয়স হয়েছে 56। শরীরে জীর্ণতার ছাপ স্পষ্ট। জীর্ণ সেই শরীর আজও বহন করে চলেছে লাখ লাখ গাড়ির ভার। কিন্তু ঢাকুরিয়া ব্রিজের অবস্থা ভালো নয় মোটেই। কার্যকরিতার সময় পার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো। আর তাই সময় এসেছে নতুন করে ব্রিজ তৈরির। সূত্রের খবর নবান্নকে এমন রিপোর্ট দিল রাইটস। এখন মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের সবুজ সংকেত পেলেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।Body:বছর পাঁচেক আগে ইঁদুর বাহিনীর তান্ডবে ঢাকুরিয়া ব্রিজ নিয়ে  আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। ব্রিজের পরিকাঠামোর হাল যে খারাপ করে দিয়েছে তারা, তখনই জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞরা। তখন জানা যায়, ঢাকুরিয়া ব্রিজের পেটে দাপাদাপি করছে ইঁদুর। তার জেরে আলগা হয়ে যাচ্ছে মাটি। অভিযোগ, সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করে জোড়াতালি দিয়ে মেরামতি হয় ব্রিজ। শরীরে পরে নীল সাদার প্রলেপ। সেই নীল সাদা প্রলেপের ফাঁক দিয়ে মাঝেমধ্যে দেখা যায় ফাটল। বুক দুর দুর করে শহরবাসীর। তবু তারা মাঝে যাতায়াত করে লাখো গাড়ি। রোজ।

ইঁদুরের বড় বড় গর্ত খুঁজে পাওয়ার পর, কলকাতা পৌর নিগমের পক্ষ থেকে রাইটসকে মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই ভারী যান চলাচলের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এই ব্রিজ দিয়ে। রাইটস সূত্রে খবর, সে সময় ঐসব ইঁদুরের গর্ত কংক্রিট দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছিল। রাইটসের এক কর্তা জানাচ্ছেন, সেই সময় ব্রিজের নকশা চাওয়া হয়েছিল। চাওয়া হয়েছিল কন্সট্রাকশনের বিভিন্ন নথি। সে সব পাওয়া যায়নি।
Conclusion:মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর শহরের সবকটি ব্রীজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। তখনো রিপোর্ট এসেছিল ঢাকুরিয়া ব্রিজের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি রাইটসকে বেশ কয়েকটি ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সমীক্ষা রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্টই রাইটস নবান্নকে জানিয়ে দিয়েছে, পুরনো ব্রিজ আর চলার মতো জায়গায় নেই। নতুন ব্রিজ তৈরি করতে হবে ঢাকুরিয়ায়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.