ETV Bharat / city

পৌরভোটে ফিরবে ব্যালট? পাল্লা ভারী VVPAT-র

পৌরভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হবে নাকি ব্যালট পেপারে । এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন । সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হচ্ছে, বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি । তবে আইন বলছে, এটা ঠিক করার একমাত্র অধিকারী নির্বাচন কমিশন ।

Municipality Election
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Jan 23, 2020, 1:00 AM IST

Updated : Jan 23, 2020, 7:42 AM IST

কলকাতা, 23 জানুয়ারি : পঞ্চায়েত ভোট ব্যালট পেপারে হলেও, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার শুরুর পর থেকে পৌরভোট হচ্ছে তাতেই । উপ-নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় EVM-এর । এমনকী, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কলকাতা পৌরনিগমের অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও ব্যবহার হয়েছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন । সেই উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম । আসন্ন পৌরসভা এবং পৌরনিগমের নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের দিকেই পাল্লা ভারি । সব ঠিক থাকলে EVM-ই হতে চলেছে পৌরনির্বাচন । সঙ্গে এবারই প্রথম ব্যবহার হতে পারে VVPAT । গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে হয়ে গেল তারই ডেমনস্ট্রেশন ।

পৌরভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হবে নাকি ব্যালট পেপারে । এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন । সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হচ্ছে, বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি । তবে আইন বলছে, এটা ঠিক করার একমাত্র অধিকারী নির্বাচন কমিশন । অর্থাৎ কোনও কোনও মহল থেকে ব্যালট পেপারেই ভোট করা হবে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিক নয় । কোনও কোনও মহল আবার বলছে রাজ্য সরকারের তরফে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ব্যালটেই করতে হবে ভোট । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত, এমন কোনও নির্দেশ সরকার দিতে পারে না । বরং, কমিশনের তরফে ভাবা হচ্ছে যুগোপযোগী ভোটিং মেশিন ব্যবহারের ।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মুহূর্তে 20 হাজারের কিছু বেশি ভোটিং মেশিন রয়েছে । সেগুলি স্ট্রং রুমে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে । যদিও সেই মেশিন এম-2 প্রজাতির । কিন্তু, দেশের নির্বাচন কমিশন এখন ব্যবহার করছে এম-3 । ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি, এই মেশিনের টেম্পারিং কিংবা হ্যাকিং কোনওভাবেই সম্ভব নয় । পাশাপাশি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গত লোকসভা নির্বাচনে সবক'টি বুথে ব্যবহার করা হয়েছিল VVPAT । সেগুলি বানিয়েছিল ECIL । যার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট রয়েছে হায়দরাবাদে । এখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের রয়েছে তিনটি ইউনিট । ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, কন্ট্রোল ইউনিট এবং VVPAT ।

পৌরনির্বাচনে প্রথমবার ব্যবহার হতে পারে VVPAT, গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে হল তারই ডেমনস্ট্রেশন

গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আসে ECIL-এর প্রতিনিধিরা । তাঁরা দেখিয়ে যান এম-3 মেশিনের ডেমো । সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি পছন্দ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের । আর ECIL-এর তরফে জানানো হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত তাঁরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেশিন সরবরাহ করতে পারবেন । সেই সূত্রে বিষয়টি নিয়ে আজ কমিশনের দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় । সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে, দেশের মধ্যে এবারেই প্রথম ব্যবহার হতে পারে VVPAT ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিরোধীদের ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার মঞ্চে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন তুলে দিয়ে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবিতে জোরদার সাওয়াল করা হয় । তার আগে থেকেই বিতর্কটা চলছিল । দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি রীতিমতো ভারতের নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল । কেজরিওয়াল চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, প্রমাণ করে দেবেন ভোটিং মেশিন হ্যাক করা সম্ভব । সেই সূত্রে নির্বাচন কমিশনের তরফে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানানো হয় । বলা হয়, যদি কেউ ভোটিং মেশিন হ্যাক করে দেখাতে পারেন তবে কমিশন অন্য ভাবনা ভাববে । সেই চ্যালেঞ্জের কেউ সামনাসামনি না হলেও, নির্বাচনের আগে এবং পরে EVM টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে । তাতে সমর্থন ছিল তৃণমূলের । এমনকী, লোকসভা নির্বাচনের পরে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো এ বিষয়ে অভিযোগ আনেন ।

শুধুমাত্র মুখ রক্ষার খাতিরেই কমিশনের কাছে প্রশাসনের চাপ আসতে পারে ব্যালটে ভোট করার । তবে, সেটি গ্রহণ করা হবে কি না তা একেবারেই কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত । কমিশন সব রকমভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে । তবে, অন্দরমহল চাইছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই ভোট করতে । কারণ, VVPAT-র ব্যবহারে তা একদিকে যেমন স্বচ্ছ হবে, অন্যদিকে গণনাও দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে ।

কলকাতা, 23 জানুয়ারি : পঞ্চায়েত ভোট ব্যালট পেপারে হলেও, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার শুরুর পর থেকে পৌরভোট হচ্ছে তাতেই । উপ-নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় EVM-এর । এমনকী, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কলকাতা পৌরনিগমের অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও ব্যবহার হয়েছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন । সেই উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম । আসন্ন পৌরসভা এবং পৌরনিগমের নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের দিকেই পাল্লা ভারি । সব ঠিক থাকলে EVM-ই হতে চলেছে পৌরনির্বাচন । সঙ্গে এবারই প্রথম ব্যবহার হতে পারে VVPAT । গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে হয়ে গেল তারই ডেমনস্ট্রেশন ।

পৌরভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হবে নাকি ব্যালট পেপারে । এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন । সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হচ্ছে, বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি । তবে আইন বলছে, এটা ঠিক করার একমাত্র অধিকারী নির্বাচন কমিশন । অর্থাৎ কোনও কোনও মহল থেকে ব্যালট পেপারেই ভোট করা হবে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিক নয় । কোনও কোনও মহল আবার বলছে রাজ্য সরকারের তরফে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ব্যালটেই করতে হবে ভোট । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত, এমন কোনও নির্দেশ সরকার দিতে পারে না । বরং, কমিশনের তরফে ভাবা হচ্ছে যুগোপযোগী ভোটিং মেশিন ব্যবহারের ।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মুহূর্তে 20 হাজারের কিছু বেশি ভোটিং মেশিন রয়েছে । সেগুলি স্ট্রং রুমে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে । যদিও সেই মেশিন এম-2 প্রজাতির । কিন্তু, দেশের নির্বাচন কমিশন এখন ব্যবহার করছে এম-3 । ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি, এই মেশিনের টেম্পারিং কিংবা হ্যাকিং কোনওভাবেই সম্ভব নয় । পাশাপাশি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গত লোকসভা নির্বাচনে সবক'টি বুথে ব্যবহার করা হয়েছিল VVPAT । সেগুলি বানিয়েছিল ECIL । যার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট রয়েছে হায়দরাবাদে । এখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের রয়েছে তিনটি ইউনিট । ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, কন্ট্রোল ইউনিট এবং VVPAT ।

পৌরনির্বাচনে প্রথমবার ব্যবহার হতে পারে VVPAT, গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে হল তারই ডেমনস্ট্রেশন

গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আসে ECIL-এর প্রতিনিধিরা । তাঁরা দেখিয়ে যান এম-3 মেশিনের ডেমো । সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি পছন্দ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের । আর ECIL-এর তরফে জানানো হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত তাঁরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেশিন সরবরাহ করতে পারবেন । সেই সূত্রে বিষয়টি নিয়ে আজ কমিশনের দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় । সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে, দেশের মধ্যে এবারেই প্রথম ব্যবহার হতে পারে VVPAT ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিরোধীদের ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার মঞ্চে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন তুলে দিয়ে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবিতে জোরদার সাওয়াল করা হয় । তার আগে থেকেই বিতর্কটা চলছিল । দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি রীতিমতো ভারতের নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল । কেজরিওয়াল চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, প্রমাণ করে দেবেন ভোটিং মেশিন হ্যাক করা সম্ভব । সেই সূত্রে নির্বাচন কমিশনের তরফে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানানো হয় । বলা হয়, যদি কেউ ভোটিং মেশিন হ্যাক করে দেখাতে পারেন তবে কমিশন অন্য ভাবনা ভাববে । সেই চ্যালেঞ্জের কেউ সামনাসামনি না হলেও, নির্বাচনের আগে এবং পরে EVM টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে । তাতে সমর্থন ছিল তৃণমূলের । এমনকী, লোকসভা নির্বাচনের পরে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো এ বিষয়ে অভিযোগ আনেন ।

শুধুমাত্র মুখ রক্ষার খাতিরেই কমিশনের কাছে প্রশাসনের চাপ আসতে পারে ব্যালটে ভোট করার । তবে, সেটি গ্রহণ করা হবে কি না তা একেবারেই কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত । কমিশন সব রকমভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে । তবে, অন্দরমহল চাইছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই ভোট করতে । কারণ, VVPAT-র ব্যবহারে তা একদিকে যেমন স্বচ্ছ হবে, অন্যদিকে গণনাও দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে ।

Intro:কলকাতা, 22 জানুয়ারি: পঞ্চায়েত ভোট ব্যালট পেপারে হলেও, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার শুরুর পর থেকে পৌর ভোট হচ্ছে তাতেই। উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় ইভিএম এর । এমনকি লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কলকাতা পৌর নিগমের অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও ব্যবহার হয়েছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। সেই উপ নির্বাচনে নির্বাচিত হন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আসন্ন পৌরসভা এবং পৌরনিগমের নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন এর দিকেই পাল্লা ভারী। সব ঠিক থাকলে EVM এই হতে চলেছে পৌর নির্বাচন। সঙ্গে এবারেই প্রথম ব্যবহার হতে পারে VVPAT। আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে হয়ে গেল তারই ডেমনস্ট্রেশন।



Body:পৌর ভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হবে নাকি ব্যালট পেপারে হবে। এটা এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন। সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হচ্ছে, বিষয়টি এখনো পর্যন্ত ঠিক হয়নি। তবে আইন বলছে, এটা ঠিক করার একমাত্র অধিকারী নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ কোনো কোনো মহল থেকে ব্যালট পেপারেই ভোট করা হবে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কোন কোন মহল আবার বলছে রাজ্য সরকারের তরফে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ব‍্যালটই করতে হবে ভোট। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত, এমন কোনো নির্দেশ সরকার দিতে পারে না। বরং কমিশনের তরফে ভাবা হচ্ছে যুগোপযোগী ভোটিং মেশিন ব্যবহারের।


Conclusion:রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মুহূর্তে কুড়ি হাজারের কিছু বেশি ভোটিং মেশিন রয়েছে। সেগুলি স্ট্রং রুমে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে। যদিও সেই মেশিন M2 প্রজাতির। কিন্তু দেশের নির্বাচন কমিশন এখন ব্যবহার করছে M3। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি, এই মেশিনের টেম্পারিং কিংবা হ্যাকিং কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পাশাপাশি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গত লোকসভা নির্বাচনে সবকটি বুথে ব্যবহার করা হয়েছিল VVPAT। সেগুলি বানিয়েছিল ECIL। যার মানুফাকচারিং ইউনিট রয়েছে হায়দ্রাবাদে। এখন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন এর রয়েছে তিনটি ইউনিট। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, কন্ট্রোল ইউনিট এবং VVPAT। আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আসে ECIL এর প্রতিনিধিরা। তারা দেখিয়ে যান M3 মেশিনের ডেমো। সূত্র জানাচ্ছে বিষয়টি পছন্দ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। আর ECIL এর তরফে জানানো হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেশিন সরবরাহ করতে পারবেন। সেই সূত্রে বিষয়টি নিয়ে আজ কমিশনের দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে দেশের মধ্যে এবারেই প্রথম ব্যবহার হতে পারে VVPAT।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিরোধীদের ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার মঞ্চে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন তুলে দিয়ে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবিতে জোরদার সাওয়াল করা হয়। তার আগে থেকেই বিতর্কটা চলছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি রীতিমতো ভারতের নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, প্রমাণ করে দেবেন ভোটিং মেশিন হ্যাক করা সম্ভব। সেই সূত্রে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। বলা হয়, যদি কেউ ভোটিং মেশিন হ্যাক করে দেখাতে পারেন তবে কমিশন অন্য ভাবনা ভাববে। সেই চ্যালেঞ্জে কেউ সামনাসামনি না হলেও, নির্বাচনের আগে এবং পরে ইভিএম টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তাতে সমর্থন ছিল তৃণমূলের। এমনকি লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো এ বিষয়ে অভিযোগ আনেন। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, শুধুমাত্র মুখ রক্ষার খাতিরেই কমিশনের কাছে প্রশাসনের চাপ আসতে পারে ব্যালটে ভোট করার। তবে সেটি গ্রহণ করা হবে কিনা তা একেবারেই কমিশনের নিজস্ব বিষয়। কমিশন সব রকম ভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে। তবে অন্দরমহল চাইছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই ভোট করতে। কারণ, VVPAT র ব্যবহারে তা একদিকে যেমন স্বচ্ছ হবে, অন্যদিকে গণনাও দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে।
Last Updated : Jan 23, 2020, 7:42 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.