কলকাতা, 26 জুন : আমফান দুর্গত চাষিদের বীমারটাকা দেওয়ার জন্য ISRO-রবিশেষ ডেটা সংগ্রহকারী প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে রাজ্য সরকার । যেসব চাষিরাবীমার জন্য আবেদন করছেন, তাঁদেরজমিতে কতটা ক্ষতি হয়েছে, সেসববিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন ।
রাজ্যসরকারের কৃষি দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ISRO-র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারেরসঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা । চাষের জমিতে কতটাক্ষতি হয়েছে তা জানতে ISRO-ররিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট ডেটা অ্যাকুইজ়িশন প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিষয়ে ISRO-র সঙ্গে কথা হচ্ছে ।
রাজ্যেরকৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন,"এর মাধ্যমেআমরা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান পেয়ে যাব । এর ফলে আমরাও দ্রুত সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেবীমার টাকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দিতে পারব ।"
তিনিআরও জানিয়েছেন, "আগেকৃষি আধিকারিকদের ঘটনাস্থানে গিয়ে চাষের জমিতে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হত । সেই তথ্য জোগাড়করে রিপোর্ট তৈরি করার কাজটি যথেষ্টই সময় সাপেক্ষ । ফলে চাষিদের টাকা পেতে বেশকয়েকমাস লেগে যেত । এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁত তথ্য অনেক দ্রুত পাওয়া সম্ভবহবে ।"
কিছুদিনআগেই এ-বিষয়ে বীমা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকেও বসছিল রাজ্য সরকার । ISRO-র এই বিশেষ ডেটা সংগ্রহকারী প্রযুক্তিব্যবহার করার জন্য বীমা সংস্থার থেকেও ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত পেয়ে গেছে রাজ্য সরকার। খরিফ শস্যের মরশুমও শুরু হয়ে গেছে । তাই প্রতিটি জেলাকেও এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গেকাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, 2019 সালে রাজ্য সরকার বাংলা শস্য বীমাপ্রকল্প চালু করে । এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের 46 লাখ চাষি উপকৃত হয় । রাজ্য সরকার এখনওপর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য 450 কোটি টাকা ব্যয় করেছে । রাজ্য কৃষি দপ্তরের পরিসংখ্যানঅনুযায়ী বীমার আওতায় রয়েছে 21 লাখ হেক্টর জমি ।