ETV Bharat / city

onion cultivation : পেঁয়াজ চাষে স্বনির্ভর হওয়ার পথে রাজ্য

পেঁয়াজ চাষে আরও এগোল রাজ্য সরকার । এবছর খরিফ মরশুমে 1800 একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দফতর ।

WEST BENGAL
পেঁয়াজ চাষে স্ব-নির্ভরতার পথে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
author img

By

Published : Aug 1, 2021, 4:05 PM IST

কলকাতা, 1 অগস্ট: পেঁয়াজ চাষের স্বনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার । এবছর খরিফ মরশুমে 1800 একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দফতর । প্রতিবছর রাজ্যের মানুষের চাহিদা মেটাতে ছ'লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় মহারাষ্ট্র সহ আরও বেশ কিছু রাজ্য থেকে । 2019-20 সালে রাজ্যে 6.70 লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ 37,400 হেক্টর জমিতে উৎপন্ন হয়েছিল । আমাদের রাজ্যে প্রতিবছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় 13 লাখ মেট্রিক টন ।

খরিফ মরশুমে পেঁয়াজ চাষের মাত্রা কম থাকার জন্য প্রতিবছর শীতের সময় পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায় । এতেই যথেষ্ট অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষজন । সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এগ্রি ফাউন্ড ডার্করেড প্রজাতির পেঁয়াজের বীজ মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর থেকে নিয়ে আসা হবে । এই প্রজাতির পেঁয়াজের বীজ রাজ্য-সহ পূর্ব ভারতে খুব একটা পাওয়া যায় না । হুগলি, উত্তর 24 পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মালদায় 1800 একর জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করা হবে বলে উদ্যানপালন দফতর সূত্রে খবর । গত বছর বাঁকুড়ার তালডাংরা উদ্যানপালন বিভাগের নিজস্ব ফার্মে পেঁয়াজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছে দফতর । দফতরের হিসেব অনুযায়ী 1 একর জমিতে প্রায় 25 কুইন্টাল পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে । 1800 একর জমিতে 45 হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ উৎপন্ন করা যাবে বলে মনে করছে দফতর । পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া গেলে তাদের লাভের অংশও অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে রাজ্য । ইতিমধ্যেই এই চাষের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । মুর্শিদাবাদ জেলার মাটি এবং আবহাওয়া এই পেঁয়াজ চাষের পক্ষে সবচেয়ে উপযোগী বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন: 3 অগস্ট থেকে রাজ্য়ে চালু 'এক দেশ, এক রেশন কার্ড'

বর্তমানে রাজ্য রবি মরশুমে 'সুখ সাগর' পেঁয়াজ চাষ হয় । শীতের মরসুমে এই পেঁয়াজ চাষ করা হয় এবং গরমের সময় সেটি বাজারে পাওয়া যায় । 2011 সালে তৃণমূল সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজ্যের মানুষের চাহিদার মাত্র 20 শতাংশ পেঁয়াজ উৎপন্ন করা হত । বর্তমানে রাজ্য নিজস্ব উৎপাদন 55 শতাংশে নিয়ে গিয়েছে । চাহিদা অনুযায়ী বাকি পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে নাসিক, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং বিহারের মতো রাজ্য থেকে প্রতিবছর পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় রাজ্যকে ।

কলকাতা, 1 অগস্ট: পেঁয়াজ চাষের স্বনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার । এবছর খরিফ মরশুমে 1800 একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দফতর । প্রতিবছর রাজ্যের মানুষের চাহিদা মেটাতে ছ'লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় মহারাষ্ট্র সহ আরও বেশ কিছু রাজ্য থেকে । 2019-20 সালে রাজ্যে 6.70 লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ 37,400 হেক্টর জমিতে উৎপন্ন হয়েছিল । আমাদের রাজ্যে প্রতিবছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় 13 লাখ মেট্রিক টন ।

খরিফ মরশুমে পেঁয়াজ চাষের মাত্রা কম থাকার জন্য প্রতিবছর শীতের সময় পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায় । এতেই যথেষ্ট অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষজন । সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এগ্রি ফাউন্ড ডার্করেড প্রজাতির পেঁয়াজের বীজ মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর থেকে নিয়ে আসা হবে । এই প্রজাতির পেঁয়াজের বীজ রাজ্য-সহ পূর্ব ভারতে খুব একটা পাওয়া যায় না । হুগলি, উত্তর 24 পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মালদায় 1800 একর জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করা হবে বলে উদ্যানপালন দফতর সূত্রে খবর । গত বছর বাঁকুড়ার তালডাংরা উদ্যানপালন বিভাগের নিজস্ব ফার্মে পেঁয়াজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছে দফতর । দফতরের হিসেব অনুযায়ী 1 একর জমিতে প্রায় 25 কুইন্টাল পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে । 1800 একর জমিতে 45 হাজার কুইন্টাল পেঁয়াজ উৎপন্ন করা যাবে বলে মনে করছে দফতর । পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া গেলে তাদের লাভের অংশও অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে রাজ্য । ইতিমধ্যেই এই চাষের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । মুর্শিদাবাদ জেলার মাটি এবং আবহাওয়া এই পেঁয়াজ চাষের পক্ষে সবচেয়ে উপযোগী বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন: 3 অগস্ট থেকে রাজ্য়ে চালু 'এক দেশ, এক রেশন কার্ড'

বর্তমানে রাজ্য রবি মরশুমে 'সুখ সাগর' পেঁয়াজ চাষ হয় । শীতের মরসুমে এই পেঁয়াজ চাষ করা হয় এবং গরমের সময় সেটি বাজারে পাওয়া যায় । 2011 সালে তৃণমূল সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজ্যের মানুষের চাহিদার মাত্র 20 শতাংশ পেঁয়াজ উৎপন্ন করা হত । বর্তমানে রাজ্য নিজস্ব উৎপাদন 55 শতাংশে নিয়ে গিয়েছে । চাহিদা অনুযায়ী বাকি পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে নাসিক, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং বিহারের মতো রাজ্য থেকে প্রতিবছর পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় রাজ্যকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.