কলকাতা, 2 মার্চ : ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ মঙ্গলবার তারই পালটা আক্রমণ করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ৷ তাঁর দাবি, এই নেতারা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের ক্ষমতা ভোগ করেছে ৷ নিজেদের পাওনা বুঝে নিয়েছে ৷ এখন তাঁরা মনে করছে যে কংগ্রেসে আর তাঁদের কিছু পাওয়ার নেই ৷ তাই তাঁরা কংগ্রেসের বদনাম করছে ৷
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে লড়াই করার জন্য বেশ কয়েকমাস ধরেই আলাপ আলোচনা চলছে ৷ দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে ৷ প্রদেশ সভাপতি হিসেবে অধীরই এই জোটে কংগ্রেসের হয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন ৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আচমকা জোটের মধ্যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ-এর উদয় হয়েছে ৷ তাদের সঙ্গে বামেদের একপ্রকার আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে গেলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও কিছুটা ‘দূরত্ব’ রয়ে গিয়েছে ৷
এই অবস্থায় গত রবিবার ব্রিগেডের জনসভায় আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর উপস্থিতি ও ভাষণ ঘিরে নানা মহলে নানা কথা চলছে ৷ কেউ কেউ বলছেন যে কীভাবে বাম-কংগ্রেস এমন একটি শক্তির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, যাঁরা ধর্মনিরেপক্ষ নয় ৷ এই বিষয়টি নিয়েই আনন্দ শর্মা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে একটি টুইট করেন ৷ ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে কংগ্রেসের সরে আসা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি ৷
উল্লেখ্য, আনন্দ শর্মা কংগ্রেসের সেই 23 নেতার মধ্যে একজন যাঁরা সম্প্রতি দলের স্থায়ী সভাপতি চেয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন ৷ যাঁদের এখন জি-23 বলে ডাকা হচ্ছে ৷ আর তাই আনন্দ শর্মাকে ধরে অধীর একেবারে পুরো ‘গোষ্ঠী’কেই বিঁধেছেন ৷ অধীরের বক্তব্য, আনন্দ শর্মার মতো সিনিয়র নেতার তাঁর সঙ্গে সরাসরি এই নিয়ে কথা বলতে পারতেন ৷ কিন্তু কেন টুইটারে এই প্রশ্ন তোলা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বহরমপুরের সাংসদ ৷ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, এই নেতারা হয়তো অন্য কোনও দলকে সাহায্য করার জন্যই এসব করছে৷
আরও পড়ুন : সংযুক্ত মোর্চার পাশে অধীর, সুর চড়ালেন দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে
এই জোটকে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন৷ কারণ, এখানে বিজেপি ও তৃণমূলকে ঠেকানোটা জরুরি৷ তাছাড়া তাঁর দাবি, কংগ্রেস বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করছে৷