কলকাতা, 5 মার্চ : বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল ৷ শতাধিক আসনে প্রার্থী বদল করেছে শাসক দল ৷ নতুন মুখ এসেছে শতাধিক ৷ আর এই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়েছেন অনেকে ৷ সেই তালিকায় প্রবীণ বিধায়করা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন দীর্ঘ সময়ের কয়েকজন বিধায়ক ৷
এমনকী, পাঁচজন মন্ত্রীও এবার টিকিট পাননি ৷ তাঁরা হলেন অমিত মিত্র, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, পূর্ণেন্দু বসু, বাচ্চু হাঁসদা ও রত্না কর ঘোষ ৷ এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন ছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ৷ আর বাচ্চু হাঁসদা ও রত্নাদেবী ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ৷ অমিত মিত্র 2011 সাল থেকে মমতার মন্ত্রিসভার অর্থ দফতর সামলাচ্ছেন ৷ আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা ছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী ৷ পূর্ণেন্দু বসু ছিলেন কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ- স্কিল ডেভলপমেন্ট মন্ত্রী ৷ বাচ্চু হাঁসদা ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ৷ আর রত্না কর ঘোষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন ৷
খড়দহে অমিত মিত্রর জায়গায় তৃণমূলের তরফে টিকিট দেওয়া হয়েছে কাজল সিনহাকে ৷ ভাঙড়ে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার পরিবর্তে সেখানে দাঁড়িয়েছেন ড. রেজাউল করিম ৷ অন্যদিকে পূর্ণেন্দু বসুর জায়গায় রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সিকে প্রার্থী করা হয়েছে ৷ বাচ্চু হাঁসদা দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক৷ তাঁর বদলে এবার প্রার্থী করা হয়েছে কল্পনা কিস্কুকে ৷ রত্না কর ঘোষ ছিলেন চাকদহের বিধায়ক ৷ তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে শুভঙ্কর সিংকে ৷
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন এই পাঁচজনকে বাদ দেওয়া হল প্রার্থী তালিকা থেকে ৷ তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, অমিত মিত্র দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ৷ অসুস্থতার জন্য তিনি এবার বাজেটও পেশ করতে পারেননি ৷ ফলে তিনি প্রার্থী হবেন না ধরেই নেওয়া হয়েছিল ৷ তবে বাকিদের কারণ নিয়ে নানা মহল থেকে নানা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে ৷ তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে যে বিষয়টিকে নিয়ে, তা হল এক বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ৷ আর দ্বিতীয় এলাকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷
আরও পড়ুন : মহিলাদের সুরক্ষিত রাখতে ফেমাস ক্য়ান্ডিডেট রত্না; কেন বললেন মমতা?
তবে শুধু মন্ত্রীরা নন, অনেক জায়গায় বিধায়কদের বাদ দেওয়া হয়েছে ৷ বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কের নাম বাদ পড়ার কারণে ক্ষোভও হচ্ছে ৷ ফলে এই পদক্ষেপ কি তৃণমূলের পক্ষে কার্যকরী হবে ? সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে ৷