কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : ব্রিগেডের মঞ্চে বাম ধর্মনিরপেক্ষ সংযুক্ত মোর্চার ঐক্যের ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল সিপিএম ও তার সহযোগীরা। কিন্তু কংগ্রেসের অসহযোগিতার বিষয়টি তুলে সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরীদের অস্বস্তি বাড়ালেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই তিনি ঘোষণা করলেন এবং তার শরিক দলের জন্য তার সমর্থন একশো শতাংশ রয়েছে। এদিন তিনি বলেন, ‘‘বামেরা আমাদের দাবি অনুযায়ী আসেন ছেড়েছেন আগামী দিন বিজেপি ও বিজেপির বি টিম মমতাকে উৎখাত করব। নির্বাচনে মমতার দলকে জিরো করে ছাড়ব। তিনি আরও বলেন, যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে সেখানে রক্ত দিয়েই তাদের আমরা জেতাব। তাকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, যদি আরও এক সপ্তাহ আগে জোট হতো, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জামায়াত করতাম।’’
এদিন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ছিল মূলত আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের শক্তি দেখানোর মঞ্চ। এদিন জমায়েতের সিংহভাগ ছিল ভাইজানের সমর্থক। কাজেই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জমায়েত থেকে আব্বাস সিদ্দিকী কি বার্তা দেন তা শোনার জন্য সাধারণ মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। এদিন মঞ্চে উঠে আব্বাস বার্তা দেন মুসলিম মানেই ভারত বিরোধী নন তাঁরা। তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘‘আমরা ভারতীয়, আর এই পরিচয়ের জন্য আমরা গর্বিত।’’ একইসঙ্গে বাংলা ঐক্যের সূত্রে তিনি বলেন, ‘‘এই বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, কাজী নজরুল ইসলাম-সহ বিভিন্ন মনীষীদের বাংলা। এখানে সাম্প্রদায়িকতার জন্য কোনও জায়গা নেই।’’ এদিন আব্বাস সিদ্দিকীর আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি স্পষ্ট ভাষায় এই মঞ্চ থেকে বার্তা দিয়েছেন, তোষণ বা কারও ভিক্ষার দান চাই না। চাই অধিকার।
আরও পড়ুন : আব্বাস-অধীরের স্নায়ুযুদ্ধ, জোটের আকাশে কালো মেঘ নিয়ে শেষ হল বামেদের ব্রিগেড
এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন আইএসএফ প্রধান। এদিন কংগ্রেসের সমর্থন না পাওয়া নিয়ে খোলাখুলি মুখ খোলেন তিনি। কোনও রাখঢাক না করে আব্বাস জানিয়ে দেন, ভাগিদারী করতে এসেছেন তিনি । এই মঞ্চে কেউকে তোষণ করতে তিনি আসেননি। অনেক হয়েছে আর নয় বরং এসেছেন সংখ্যালঘু, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের অধিকার বুঝে নিতে।