কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : বাম-কংগ্রেস ও সহযোগী দলের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম। আব্বাস সিদ্দিকীর বাম-কংগ্রেসের জোটের যোগদান নিয়ে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আগে দু’টো দল পরস্পরের কাঁধে ভর দিয়ে এগিয়ে চলা চেষ্টা করছিল৷ এখন এই দুজনের মধ্যে তৃতীয় জন স্ক্র্যাচ নিয়ে এসেছে সামাল দিতে। এ দিয়ে কোনও লাভ হবে না।’’
আব্বাস সিদ্দিকী যোগদান করায় বাম কংগ্রেস জোট ভালো প্রভাব পড়বে না মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের। বরং তিনি দাবি করেছেন, এর ফলে আরও ক্ষতি হবে বাম-কংগ্রেসের। এদিনের সমাবেশ থেকে আব্বাস সিদ্দিকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন৷ আব্বাস সিদ্দিকীর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘এইসব কথার কোনও অর্থ নেই, উন্মাদের মতো কথা বলে কোনও লাভ হবে না।’’
পাল্টা জবাবে ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘মঞ্চে উঠে কিছু লোক লাফালাফি করলে তৃণমূলের কিছু এসে যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। এইসব অবান্তর কথাবার্তার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর রাতের ঘুম কখনও নষ্ট হয় না।’’ এদিন বাম কংগ্রেসের ডাকা সমাবেশকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘বাম কংগ্রেস টেনেটুনে কিছু লোক নিয়ে এসে ব্রিগেডের সমাবেশ করেছে।’’
এদিন তিনি বলেন, ‘‘ব্রিগেডে মানুষ আসা মানেই মানুষের সমর্থন পেয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। বামেদের নিজস্ব কিছু সমর্থক আছে। দলের কর্মী সর্মথকরা আলাদা এবং মানুষের সতস্ফুর্ত সমর্থন দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন। মানুষের জন্য কাজ করলে তবেই মানুষের ভরসা আদায় করা যায়। মানুষের ভরসা পেতে হলে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। এদিনটি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আসার জন্য মানুষের ভরসা আদায় করতে হয়েছে।’’
এদিন তিনি বলেন, ‘‘আব্বাস সিদ্দিকী বাম কংগ্রেসের জোট এ যুক্ত হয়ে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম এর জোটেকে। আজকে মঞ্চে অধীররঞ্জন চৌধুরী কী বললেন, তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব ছিল আব্বাস সিদ্দিকীর।’’
আরও পড়ুন : কীসের ভরসায় মমতাকে ‘শূন্য’ করার ডাক দিলেন আব্বাস সিদ্দিকী
এদিনে সমাবেশকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বাংলা থেকে নকআউট হয়ে গেছে বাম-কংগ্রেস। এরা রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী করে বাইরে করবে। মোদিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যদি কেউ করতে পারে, তার নাম হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস একুশের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করবেন। জোর করে কিছু লোককে ধরে এনে মাঠ ভরালে ভোটে জেতা যায় না৷’’