ETV Bharat / city

60 ঘণ্টা পরও অথৈ জলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

author img

By

Published : Jun 13, 2019, 10:16 AM IST

Updated : Jun 13, 2019, 11:28 AM IST

আজও কর্মবিরতিতে অনড় NRS ও SSKM-এর জুনিয়র ডাক্তাররা । বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগও । একই চিত্র RG কর ও কলকাতা মেডিকেল কলেজেও ।

ফাইল ফোটো

কলকাতা, 13 জুন : কেউ ছ'মাস কেউ বা এক বছর । অনেক লড়াই করে বার করেছিলেন সময় । সেই মতো হাজির হয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে । কিন্তু, ডাক্তার দেখানো তো দূরঅস্ত হাসপাতাল চত্বরেও ঢুকতে পারলেন না অনেকে । 60 ঘণ্টা কেটে গেছে । এখনও স্বাভাবিক হল না রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা । চরম আতান্তরে রোগীর পরিবার, আত্মীয়রা । প্রশ্ন একটাই, কবে-কখন স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি ।

শুরুটা হয়েছিল সোমবার রাত থেকে । জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা ও মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল । NRS, SSKM থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে । একের পর এক সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা শিকেয় ওঠে । মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি করে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা । আর যার জেরে হাসপাতালের দরজা থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে রোগীদের । আজ সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ- বর্হিবিভাগের সামনের ছবিটা একই রকম । রোগীদের লম্বা লাইন কোথাও কোথাও হাসপাতাল চত্বর ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে । যদিও, চিকিৎসকদের দেখা নেই কোথাও ।

টানা দু'দিনের বেশি সময় ধরে চলা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে বর্হিবিভাগ, জরুরিবিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলিতেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে । ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতালের সামনে বসে মেজাজ হারাচ্ছেন রোগীদের পরিবার-পরিজনেরাও । যেমন বর্ধমান থেকে হার্টের চিকিৎসা করাতে বাবাকে নিয়ে এসেছিলেন তারক পাত্র । কিন্তু দু'দিন ধরে NRS-এর চিকিৎসকরা বিন্দুমাত্র ঘুরেও তাকাননি তাঁদের দিকে । বাবার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতি হচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে তারকবাবুর মতো আরও অনেকের মনে । প্রশ্ন একটাই, যাদের কাজ মানুষের সেবা করা তাঁরা কীভাবে দিনের পর দিন এমন অচলাবস্থা তৈরি করছেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : "ভালো আছি", বললেন পরিবহ ; পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশায় সাধারণ মানুষ

এই সংক্রান্ত আরও খবর : বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন রোগী, "দায় কার ?" প্রশ্ন অভিষেকের

আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় মাকে নিয়ে SSKM-এ এসেছিলেন কলকাতারই বাসিন্দা রত্না দে । অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হাসপাতালে রীতিমতো বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে । রত্নার দাবি, চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন । বাধ্য হয়েই অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাকে নিয়ে যান তিনি । শুধু রত্না বা তারক নন । গত দু'দিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতালের দোরগোড়া থেকে এমন ভাবেই ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

মঙ্গল বা বুধবার হাসপাতালগুলিতে দাপট দেখাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা । মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে চালাচ্ছিলেন দাবি আদায়ের লড়াই । আর এবার চিকিৎসকদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ রোগীদের পরিবাররাও পথে নামলেন । চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করার দাবি তুলে রাস্তা অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটল । যেমন আজ সকালেই নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে প্রতিবাদে নামলেন রোগীর পরিজনরা । রীতিমতো রাস্তা আটকে নিজেদের অভিযোগের কথা শুনতে বাধ্য করালেন পুলিশকে । পুলিশের অনুরোধে শেষপর্যন্ত অবরোধ উঠলেও শঙ্কা কিন্তু একটা থেকেই গেল । যেভাবে চিকিৎসকরা অচলাবস্থা তৈরি করেছেন, তা যদি আরও কিছুদিন চলে তাহলে রোগীর পরিবাররাও ফের পথে নামবেন তাও স্পষ্ট হয়ে গেল ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : বন্ধ হাসপাতালের OPD পরিষেবা, ফুটপাতে ঠাঁই রোগীর

কলকাতা, 13 জুন : কেউ ছ'মাস কেউ বা এক বছর । অনেক লড়াই করে বার করেছিলেন সময় । সেই মতো হাজির হয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে । কিন্তু, ডাক্তার দেখানো তো দূরঅস্ত হাসপাতাল চত্বরেও ঢুকতে পারলেন না অনেকে । 60 ঘণ্টা কেটে গেছে । এখনও স্বাভাবিক হল না রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা । চরম আতান্তরে রোগীর পরিবার, আত্মীয়রা । প্রশ্ন একটাই, কবে-কখন স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি ।

শুরুটা হয়েছিল সোমবার রাত থেকে । জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা ও মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল । NRS, SSKM থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে । একের পর এক সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা শিকেয় ওঠে । মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি করে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা । আর যার জেরে হাসপাতালের দরজা থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে রোগীদের । আজ সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ- বর্হিবিভাগের সামনের ছবিটা একই রকম । রোগীদের লম্বা লাইন কোথাও কোথাও হাসপাতাল চত্বর ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে । যদিও, চিকিৎসকদের দেখা নেই কোথাও ।

টানা দু'দিনের বেশি সময় ধরে চলা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে বর্হিবিভাগ, জরুরিবিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলিতেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে । ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতালের সামনে বসে মেজাজ হারাচ্ছেন রোগীদের পরিবার-পরিজনেরাও । যেমন বর্ধমান থেকে হার্টের চিকিৎসা করাতে বাবাকে নিয়ে এসেছিলেন তারক পাত্র । কিন্তু দু'দিন ধরে NRS-এর চিকিৎসকরা বিন্দুমাত্র ঘুরেও তাকাননি তাঁদের দিকে । বাবার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতি হচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে তারকবাবুর মতো আরও অনেকের মনে । প্রশ্ন একটাই, যাদের কাজ মানুষের সেবা করা তাঁরা কীভাবে দিনের পর দিন এমন অচলাবস্থা তৈরি করছেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : "ভালো আছি", বললেন পরিবহ ; পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশায় সাধারণ মানুষ

এই সংক্রান্ত আরও খবর : বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন রোগী, "দায় কার ?" প্রশ্ন অভিষেকের

আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় মাকে নিয়ে SSKM-এ এসেছিলেন কলকাতারই বাসিন্দা রত্না দে । অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হাসপাতালে রীতিমতো বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে । রত্নার দাবি, চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন । বাধ্য হয়েই অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাকে নিয়ে যান তিনি । শুধু রত্না বা তারক নন । গত দু'দিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতালের দোরগোড়া থেকে এমন ভাবেই ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

মঙ্গল বা বুধবার হাসপাতালগুলিতে দাপট দেখাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা । মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে চালাচ্ছিলেন দাবি আদায়ের লড়াই । আর এবার চিকিৎসকদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ রোগীদের পরিবাররাও পথে নামলেন । চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করার দাবি তুলে রাস্তা অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটল । যেমন আজ সকালেই নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে প্রতিবাদে নামলেন রোগীর পরিজনরা । রীতিমতো রাস্তা আটকে নিজেদের অভিযোগের কথা শুনতে বাধ্য করালেন পুলিশকে । পুলিশের অনুরোধে শেষপর্যন্ত অবরোধ উঠলেও শঙ্কা কিন্তু একটা থেকেই গেল । যেভাবে চিকিৎসকরা অচলাবস্থা তৈরি করেছেন, তা যদি আরও কিছুদিন চলে তাহলে রোগীর পরিবাররাও ফের পথে নামবেন তাও স্পষ্ট হয়ে গেল ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : বন্ধ হাসপাতালের OPD পরিষেবা, ফুটপাতে ঠাঁই রোগীর

Last Updated : Jun 13, 2019, 11:28 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.