কলকাতা, 21 জুন: কর্মচারীদের কাজে ফাঁকি আটকাতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পৌরনিগম(Kolkata Municipal Corporation) কর্তৃপক্ষ । পৌর কমিশনারের নির্দেশে সঠিক সময় কাজে আসা থেকে শুরু করে আধিকারিকদের আচমকা দফতরগুলোতে পরিদর্শন শুরু হয়েছে । এবার নিকাশি বিভাগের গাড়িগুলি কাজে ফাঁকি দিচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি করতে শুরু হল ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেম (Vehicle Tracking System)।
কোথায় কোন গাড়ি কাজ করছে, কী কাজ করল, কতক্ষণ করল, কোন গাড়ি কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে, কোন গাড়ি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছে, তার খুঁটিনাটি তথ্য এই সিস্টেম মারফত এক ক্লিকেই জানতে পারবেন কলকাতা পৌরনিগমের নিকাশি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিং । এছাড়াও জানতে পারবেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার এবং নিকাশি বিভাগের আধিকারিকগণ । কোন গাড়ি কোন অবস্থানে দাঁড়িয়ে, কেন তারা দাঁড়িয়ে, তা সেই সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালককে ফোন করে জানতে চাওয়া হতে পারে পৌরনিগম থেকে (Vehicle Tracking System starts in Kolkata Municipal Corporation)।
মাঝেমধ্যেই কর্মচারীদের কাজে ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা পৌরনিগম কর্তৃপক্ষের চোখে পড়েছে ৷ এবার সেই ফাঁকি আটকাতেই প্রতিমুহূর্তে সরাসরি নজরদারি চালু হল । ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরনিগমের নিকাশি বিভাগে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি হয়েছে । বেশ খানিকটা বাকি আছে কাজ । এই ম্যাপের সাহায্যে কোথায় কত ইঞ্চির নিকাশি নালা গিয়েছে, কোথায় ইটের লাইন, কোথায় পাইপলাইন, কোথায় পলি তোলা হচ্ছে, কোথায় জল জমে আছে, শহরের কোথায় কোন অংশে জল জমে, কতটা জল জমে আছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য মুহূর্তের মধ্যে চলে আসে কেন্দ্রীয় ভবনে । এবার নয়া সংযোজন ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেম ।
আরও পড়ুন : KMC On Booster Dose : বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা, সচেতনতার প্রচারে কলকাতা পৌরনিগম
নিকাশি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য তারক সিং বলেন, "মাঝেমধ্যেই গাড়িগুলি কাজে বেরোয় কিন্তু দেখা যায় রাস্তার কোনও একধারে দাঁড়িয়ে আছে ৷ দীর্ঘ সময় কাজ না করে তারা দাঁড়িয়ে থাকে । অথচ আমাদের মাসে মাসে মোটা টাকা গুনতে হয় । এই টাকা জনগণের করের টাকা । তবে কাজে ফাঁকি দেওয়া নিয়ে নাগরিকদের মধ্যেও অভিযোগ খুব একটা আসে না । তার জেরে আমি অনেকটাই হতাশ হই । ফাঁকি দিতে দেখলে অবশ্যই অভিযোগ করার প্রয়োজন আছে । কারণ মাসের শেষে সেই কর্মচারীকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয় । ফলে অভিযোগ না জানিয়ে যখন জল জমবে, তখন দোষারোপ করাটা ঠিক হবে না । তাই আমরা এবার কাজে বেরোনোর থেকে শুরু করে গ্যারেজে ফেরা পর্যন্ত, কোথায় কি করছে কোন গাড়ি, তার খুঁটিনাটি তথ্য আমাদের নজরদারির মধ্যে থাকবে । তারা চাইলে ফাঁকি দিতে পারবে না ।"