কলকাতা, 1 জুলাই : উত্তরপ্রদেশ নিয়ে যাওয়া হল ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেইকে ৷ গতকাল রাতে মালদা থেকে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় ৷ আজ কলকাতা স্টেশন থেকে রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে করে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে । উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ও সেখানকার এটিএস আধিকারিকরা হানকে লখনউ নিয়ে গিয়েছে ৷ আগামীকাল তাকে সেখানে আদালতে পেশ করার কথা ৷ হান জুনেইকে লখনউ নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ।
সূত্রের খবর, হানের ল্যাপটপ ও ফোন থেকে একাধিক তথ্য মিলেছে । সে একাধিকবার ভারতীয় সিমকার্ড অন্তর্বাসে করে চিনে পাচার করেছিল ৷ পুলিশকে জেরায় সে জানিয়েছে, ওই সিম কার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে হ্যাক করার পরিকল্পনা ছিল চিনের হ্যাকারদের ৷ গত 10 জুন কালিয়াচক 1নং ব্লকের আকন্দবেড়িয়ার মিলিক সুলতানপুর গ্রাম থেকে হানকে পাকড়াও করে বিএসএফ এর জওয়ানরা ৷ তার কাছ থেকে দামি ল্যাপটপ, আইফোন, চিন, বাংলাদেশ এবং ভারতের সিমকার্ডও পাওয়া গিয়েছিল ৷ এছাড়াও, দুটি মাস্টারকার্ড, পেন ড্রাইভ, মানি ট্র্যানজ়াকশন মেশিন, আমেরিকান ডলার সহ ভারত ও বাংলাদেশের মুদ্রা উদ্ধার করেছিল বিএসএফ । চিনের বৈধ পাসপোর্টও ছিল তার কাছে ৷
গত 11 জুন হান জুনেইকে কালিয়াচক পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ৷ এর পর তাকে আদালতে তুলে 18 জুন পর্যন্ত হেফাজতে নেয় কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ তদন্ত শুরু করলেও ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড জানতে পারেনি পুলিশ ৷ কারণ, পাসওয়ার্ডের কোড মান্দারিন ভাষায় ছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা ৷ এর পরেই হান জুনেইকে জেরা করতে চেয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস আধিকারিকরা 25 জুন রাজ্যে আসেন ৷ তাঁরা হানকে নিজেদের হেফাজতে চায় ৷ ওই দিনেই হানকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় আদালত ৷
আরও পড়ুন : বিচারবিভাগীয় হেফাজতে হান, গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ জোরালো
হান জুনেইকে জেরা করার প্রস্তুতি শুরু করেছে সিআইডি আধিকারিকরাও ৷ সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস হানকে জেরা করতে চেয়েছে ৷ পাশাপাশি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএও হানকে জেরা করবে বলে জানা গিয়েছে ৷