কলকাতা, 24 জানুয়ারি: বাংলার ক্রীড়াবিদদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে বিরাট পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে সন্তোষ ট্রফিজয়ী দলের ফুটবলারদের সরকারি চাকরি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলার আথলিটদের জন্য কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী ৷
উত্তরাখণ্ডে বসছে জাতীয় গেমসের 38তম আসর। আগামী 28 জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে তা চলবে 14 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণ করবেন প্রতিযোগীরা। সেই মঞ্চে বাংলার হয়ে পদক জিতবেন যে সকল অ্যাথলিট, সকলকে সরকারি চাকরি দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা অনেক ক্রীড়াবিদ জাতীয় গেমসে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
এবারের জাতীয় গেমসের আসরে বাংলা থেকে উত্তরাখণ্ডে যাচ্ছে 395 সদস্যের একটি দল। যার মধ্যে 200 জন মহিলা এবং 114 জন পুরুষ ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। গতবার জাতীয় গেমসে বাংলার স্থান ছিল অষ্টাদশ। এবার আরও উন্নতি চাইছেন বেঙ্গল অলিম্পিক্স আসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরী, সেক্রেটারি জহর দাস'রা। আসন্ন এই প্রতিযোগিতায় 'শেফ দ্য মিশন' হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিশ্বরূপ দে'কে। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের মোট ন'টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গেমসের 38তম সংস্করণ, যার মধ্যে সব থেকে বেশি ইভেন্ট হবে দেরাদুনে (11টি)।
জাতীয় গেমসে বাংলা দলের জন্য 33 লক্ষ টাকা খরচ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, দলের প্রত্যেক সদস্যকে দেওয়া হচ্ছে কিটস্। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় গেমসে পদকজয়ী বাংলার প্রত্যেক অ্যাথলিটকে তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদদের 3 লক্ষ টাকা, রুপো এবং ব্রোঞ্জ পদকজয়ীদের যথাক্রমে 2 লক্ষ টাকা এবং এক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেবে রাজ্য। ক্রীড়াদফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহা জানান, ক্রীড়াবিদদের জন্য ক্রীড়ানীতি তৈরি করা হচ্ছে, যা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। এই প্রসঙ্গে বিওএ'র সহসভাপতি বিশ্বরূপ দে বলেন, "প্লেয়ারদের শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে এই নিয়ম তৈরি করা হবে।"