কলকাতা, 20 জুলাই : কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ৷ সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতি ছাড়া উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না কমিশন ৷ মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল আদালত ৷ তবে কমিশন চাইলে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে ৷ তৈরি করা যাবে চাকরিপ্রার্থীদের প্য়ানেলও ৷ এদিন সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
আরও পড়ুন : উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিপ্রার্থীরা
এদিন হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যে চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ে সফল হবেন এবং যাঁরা ইন্টারভিউয়ের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাতিল বলে গণ্য হবেন, তাঁদের সকলের নামই ডেটাবেস বা তথ্যভাণ্ডারে মজুত করে রাখতে হবে ৷ পরবর্তীতে এই তথ্যভাণ্ডার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পেশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৷ অর্থাৎ কারা ইন্টারভিউয়ে বাদ গেলেন এবং কারা জায়গা আরও পোক্ত করলেন, সেই খবর সরাসরি হাতে রাখবে আদালত ৷
আরও পড়ুন : আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
প্রসঙ্গত, এর আগে গত 9 জুলাই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ কিন্তু বহু চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ ছিল, আদালতের এই পদক্ষেপের ফলে তাঁরা বঞ্চিত হবেন ৷ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না তাঁরা ৷ তাই আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন ছিল, আগে তাঁদের অভিযোগ বা তাঁদের করা মামলাগুলির নিষ্পত্তি করা হোক ৷ আর তারপরই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করুক ৷
আরও পড়ুন : উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার কলকাতা হাইকোর্টের
মূলত, এই দাবিকে সামনে রেখেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয় ৷ আদালত সূত্রে খবর, রাজীব ব্রহ্ম নামে এক চাকরিপ্রার্থী এই মামলা করেন ৷ তাতে অন্য় চাকরিপ্রার্থীরাও সংযুক্ত হন ৷ সেই মামলার প্রক্ষিতেই নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, আগামী 31 জুলাই পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৷ তার 12 সপ্তাহের মধ্যে সেই সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে ৷ ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চালাতে পারবে ৷ কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া কাউকে নিয়োগ করতে পারবে না ৷ 12 সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় সফল এবং অকৃতকার্য প্রত্যেক প্রার্থীর ডেটাবেস তৈরি করে কলকাতা হাইকোর্টকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷