কলকাতা, 14 অগাস্ট : টালিগঞ্জ থানায় পুলিশকে নিগ্রহের ঘটনায় আরও তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । ধৃতদের নাম রণজয় হালদার, আকাশ বোস ও অক্ষয় । গতরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় । এর আগে কাল সকালে গ্রেপ্তার করা হয় 4 জনকে । তাদের মধ্যে একজনের নাম পুতুল হালদার, অন্যজনের নাম পূর্ণিমা দাস । বাকি 2 জনের পরিচয় জানা যায়নি । আজ 7 জনকেই আদালতে তোলা হবে । এই ঘটনায় আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে 5 জনকে । তাদের পুলিশ হেপাজত হয়েছে । ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 12 ।
রবিবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে রণজয় হালদারকে আটক করেছিল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ । রণজয়কে আটকের খবর পেয়ে থানায় আসে তার পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা । পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাদের । দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । এক পুলিশকর্মীর উর্দি ধরে টানা হয় । রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত থানার সামনে চলে ঝামেলা । পরে আটক যুবককে ছেড়ে দেওয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হয় । যুবকের পরিবারের অভিযোগ ছিল, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নেশা করে ছিলেন । সেই কারণেই রণজয়কে মারধর করা হয় । প্রতিবাদ জানাতে গেলে মহিলাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ । এ নিয়ে তারা টালিগঞ্জ থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে । অন্যদিকে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশ । সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় 3 জনকে । রাতের দিকে গ্রেপ্তার করা আরও 3 জনকে । এদের গতকাল কোর্টে তোলা হয় । বিচারপতি তাদের 5 দিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠায় ।
গতকাল সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশের পর মাঠে নামে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা-দমন শাখা । গ্রেপ্তার করা হয় পুতুল হালদার এবং পূর্ণিমা দাসকে । সেই সঙ্গে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে । যদিও তাদের নাম এখনও সামনে আনেনি পুলিশ । এরপর রাতেও অভিযানে নামে পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয় রণজয়, আকাশ ও অক্ষয়কে ।
টালিগঞ্জ থানায় থাকা CCTV ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গেছে পুতুল হালদারকে । চেতলার মাটালিবাগানে প্রথমবার অভিযান চালিয়ে পুতুলের প্রতাপ টের পেয়েছিল পুলিশ । ওই বস্তিতে পুতুল খুবই প্রভাবশালী । রাজনৈতিক নেতাদের হাত রয়েছে তার মাথার উপর । এর আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে । সেটাও ঝামেলার কারণেই । আর এই পুতুল দাসের ভাইপো হচ্ছে রণজয় হালদার ।