ETV Bharat / city

Baguiati Double Murder case: বাগুইআটির অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ মিলল বসিরহাটের মর্গে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন - বাগুইআটি ছাত্র খুনকাণ্ড

22 অগস্ট বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর নামে দুই স্কুল পড়ুয়া নিখোঁজ হয়ে যায় (Baguiati Double Murder case) ৷ সোমবার রাতে বসিরহাটে ওই দুই ছাত্রের মৃতদেহের সন্ধান মেলে (two student of Baguiati killed) ৷

Baguiati Double Murder
ETV Bharat
author img

By

Published : Sep 6, 2022, 8:48 PM IST

Updated : Sep 6, 2022, 10:34 PM IST

বিধাননগর, 6 সেপ্টেম্বর: প্রথমে বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ ৷ তারপর মুক্তিপণের দাবি করে দুষ্কৃতীদের বার্তা অপহৃতদের পরিবারকে ৷ আর এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে সন্ধান মিলল অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ইতিমধ্যেই আলোড়ন তৈরি করেছে ৷ প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ যদিও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক ৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে (Baguiati Double Murder case) ৷

গত মাসের 22 তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর নামে দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । এরপরেই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে । বিষয়টি নিয়ে দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয় । কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি অপহৃত ওই ছাত্রদের খুঁজে বের করতে ৷ সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে (two student of Baguiati murdered)। মঙ্গলবার দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেহ শনাক্ত করেন ৷ গোটা ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষোভ বেড়েছে দুই ছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসীর ৷ জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার হয় 23 অগস্ট, আরেকজনের 25 অগস্ট ৷ তারপর থেকে দেহ দুটি বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকলেও কেন পুলিশের সেই খোঁজ পেতে এতদিন সময় লাগল, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷

আরও পড়ুন: 2 সপ্তাহ ধরে মর্গে পড়ে অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ, অভিযোগ পেয়েও কেন দেহ শনাক্তকরণে দেরি ?

বাগুইআটির অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ মিলল বসিরহাটের মর্গে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

জানা গিয়েছে, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয় । পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র । সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু । এরপর 22 অগস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে ডেকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী । তারপর থেকে দুই অতনু ও অভিষেক নিখোঁজ হয়ে যায় । পুলিশের দাবি এরপরেই খুন করা হয় ওই দুই ছাত্রকে ৷ এরা সম্পর্কে মামাতো ও পিসতুতো ভাই । 24 অগস্ট বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন অতনুর বাবা বিশ্বনাথ দে । বিশ্বনাথ দে'র ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসতে থাকে ।

দুই ছাত্রের পরিবারের দাবি, পুলিশকে অপহরণের অভিযোগ এবং এক কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানানোর পরেও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি । পুলিশ ব্যবস্থা নিলে অতনু ও অভিষেককে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যেত । অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে । এছাড়াও অভিজিৎ বোস, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাস নামে 4 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশের দাবি, খুন করার উদ্দেশ্য নিয়েই অপহরণ করা হয়েছিল ওই দুই ছাত্রকে ৷ কিন্তু ছাত্রদের পরিবার ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল ৷ তাদের খুন করার উদ্দেশ্যেই আগে থেকে গাড়িতে দড়ি রেখে ছিল (Baguiati student murder case) ।

এদিকে এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সত্যেন্দ্র চৌধুরীর জগৎপুরে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অতনুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা । ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ ।

বিধাননগর, 6 সেপ্টেম্বর: প্রথমে বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ ৷ তারপর মুক্তিপণের দাবি করে দুষ্কৃতীদের বার্তা অপহৃতদের পরিবারকে ৷ আর এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে সন্ধান মিলল অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ইতিমধ্যেই আলোড়ন তৈরি করেছে ৷ প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ যদিও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক ৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে (Baguiati Double Murder case) ৷

গত মাসের 22 তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর নামে দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । এরপরেই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে । বিষয়টি নিয়ে দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয় । কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি অপহৃত ওই ছাত্রদের খুঁজে বের করতে ৷ সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে (two student of Baguiati murdered)। মঙ্গলবার দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেহ শনাক্ত করেন ৷ গোটা ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষোভ বেড়েছে দুই ছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসীর ৷ জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার হয় 23 অগস্ট, আরেকজনের 25 অগস্ট ৷ তারপর থেকে দেহ দুটি বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকলেও কেন পুলিশের সেই খোঁজ পেতে এতদিন সময় লাগল, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷

আরও পড়ুন: 2 সপ্তাহ ধরে মর্গে পড়ে অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ, অভিযোগ পেয়েও কেন দেহ শনাক্তকরণে দেরি ?

বাগুইআটির অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ মিলল বসিরহাটের মর্গে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

জানা গিয়েছে, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয় । পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র । সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু । এরপর 22 অগস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে ডেকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী । তারপর থেকে দুই অতনু ও অভিষেক নিখোঁজ হয়ে যায় । পুলিশের দাবি এরপরেই খুন করা হয় ওই দুই ছাত্রকে ৷ এরা সম্পর্কে মামাতো ও পিসতুতো ভাই । 24 অগস্ট বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন অতনুর বাবা বিশ্বনাথ দে । বিশ্বনাথ দে'র ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসতে থাকে ।

দুই ছাত্রের পরিবারের দাবি, পুলিশকে অপহরণের অভিযোগ এবং এক কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানানোর পরেও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি । পুলিশ ব্যবস্থা নিলে অতনু ও অভিষেককে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যেত । অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে । এছাড়াও অভিজিৎ বোস, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাস নামে 4 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশের দাবি, খুন করার উদ্দেশ্য নিয়েই অপহরণ করা হয়েছিল ওই দুই ছাত্রকে ৷ কিন্তু ছাত্রদের পরিবার ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল ৷ তাদের খুন করার উদ্দেশ্যেই আগে থেকে গাড়িতে দড়ি রেখে ছিল (Baguiati student murder case) ।

এদিকে এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সত্যেন্দ্র চৌধুরীর জগৎপুরে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অতনুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা । ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ ।

Last Updated : Sep 6, 2022, 10:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.