কলকাতা, 12 অক্টোবর : সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে লরি ও ট্রাক । শহরে প্রবেশ করার পয়েন্টগুলিতে পণ্যবোঝাই ট্রাক ও লরির লম্বা লাইন । দুর্গাপুজোর জন্য কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকায় লরি ও ট্রাকের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ-প্রশাসন । ফলে হোল্ডিং পয়েন্টগুলিতে কখনও দু'দিন আবার কখনও তিনদিন ধরে আটকে থাকতে হচ্ছে এই ট্রাকগুলিকে । এর ফলে যেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ট্রাক মালিকদের, তেমনই চালকরাও বিপাকে পড়েছেন ।
সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে এবং পুজোর দিনগুলিতে পথ দুর্ঘটনা এড়াতে কলকাতা পুলিশের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ এই মর্মে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তৃতীয়ার দিন থেকেই শহরে লরির প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । এই নিষেধাজ্ঞা চলবে নিরঞ্জনের দিন পর্যন্ত । এরপর আবার লক্ষ্মীপুজোর সময় নিষেধাজ্ঞা মেনেই প্রবেশ করতে হবে শহরে ।
এই বিষয় ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "এক টানা এতগুলি দিন যদি শহরে পণ্যবাহী ট্রাক ও লরির প্রবেশ বন্ধ থাকে তাহলে ট্রাক মালিকদের তো আর্থিক ক্ষতি হবেই ৷ অন্যদিকে বাজারেও জিনিসপত্রের অভাব দেখা দেবে ।"
তিনি আরও বলেন, "আরও একটি সমস্যা হল যে বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । এর ফলে চালকদের আরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । ব্যারাকপুরে এক সময় নো এন্ট্রি হলে হাওড়া বা বিধাননগর কিংবা খড়্গপুরে হচ্ছে অন্য সময় । ফলে দু'দিন-তিনদিন করে গাড়িগুলি পিছিয়ে যাচ্ছে ৷ এর ফলে সব মাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।"
কলকাতা পুলিশের তরফে শহর ও শহরতলীর ঢোকার আগে যেখানে ট্রাক আটকে দেওয়া হচ্ছে সেই হোল্ডিং পয়েন্টগুলিতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট । ট্রাকগুলি দাঁড়িয়ে যাওয়ার ফলে সেগুলিতে বোঝাই মাল যেমন ওষুধ, ফলমূল, আনাজ, শস্য, জামাকাপড়, ডিম, দুধ-সহ বিভিন্ন সামগ্রীতে পচন ধরতে শুরু করেছে । পাশাপাশি মালিকদেরও কয়েক হাজার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন : Nabanna Fire: নবান্নের চোদ্দতলায় আগুন, দমকলের 3টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে