কলকাতা, 15 জুলাই : এবছর একুশে জুলাই আর ভার্চুয়াল নয় । বরং পুরনো ঠিকানা অর্থাৎ ভিক্টরিয়া হাউজের সামনেই ফিরেছে তৃণমূলের বাৎসরিক শহিদ সমাবেশ (TMC 21 July Rally) । তবে আঞ্চলিক দলের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে ঘাসফুল শিবির এখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তারিত হয়েছে । তাই একুশের শহিদ সম্মেলন পৌঁছে যাবে দেশের কোনায় কোনায় ।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) পার্টি অফিস রয়েছে, সেখানে সেখানে শহিদ সম্মেলনের দিন রীতিমতো জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে দেখানো হবে দলের এই মেগা কর্মসূচি । অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, গোয়া, উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্তত সাত রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালিত হবে । তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদিও একুশে জুলাইয়ের দিন কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন । তবে দলের কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC Chief Mamata Banerjee) বার্তা সরাসরি শুনতে পারবেন নিজের রাজ্য থেকেই ।
একুশে জুলাই উপলক্ষে প্রত্যেকটি রাজ্য শাখাকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে । মূলত ওই দিনের কর্মসূচিতে রাজ্যের স্থানীয় সমস্যা, স্থানীয় ইস্যুগুলোকে সামনে রেখে সরব হতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির নেতাদের ।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, ‘‘একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য আত্ম বলিদানের দিন । পশ্চিমবঙ্গের মতোই আমরা এ রাজ্যেও একুশে জুলাই পালন করব । রাজ্যের বিজেপি (BJP) সরকার ত্রিপুরার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে । এর বিরুদ্ধে একুশে জুলাইকে সামনে রেখেই প্রচার চালাবো আমরা । আর একুশে জুলাইয়ের দিন আমাদের রাজ্য অফিসের সামনেই দলনেত্রীর বার্তা দেখবো আমরা । আগামী বছর এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট (Tripura Assembly Elections 2023) । দলনেত্রী একুশের মঞ্চ থেকে আমাদের জন্য কী বার্তা দেন, তা শুনতে আমরা মুখে আছি ।’’
একই ভাবে অসম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি রিপুন বোরা বলেন, ‘‘একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য নতুন শপথের দিন । আমাদের সংঘবদ্ধভাবে শপথ নিতে হবে ৷ এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে হটাতে শেষ বিন্দু দিয়ে আমরা লড়াই করব । অসমের মানুষ বন্যায় চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । আমরা এই অবস্থায় মানুষের পাশে আছি ।’’
আরও পড়ুন : Unparliamentary Words: 'প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনজীবী বলতে পারবেন, বিরোধীরা জুমলাজীবী বললেই অসংসদীয়': অভিষেক