ETV Bharat / city

Jihad Word Controversy: 'জেহাদ' শব্দ বিতর্কে বিরোধী দলনেতা, রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব তৃণমূল - জগদীপ ধনকড়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) মুখে 'জেহাদ' শব্দ শুনে উদ্বিগ্ন বিজেপি ৷ দাবি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ৷ পালটা যুক্তি দেখিয়ে সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস ৷

tmc reaction on Jihad Word Controversy
Jihad Word Controversy: 'জেহাদ' শব্দ বিতর্কে বিরোধী দলনেতা, রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব তৃণমূল
author img

By

Published : Jun 30, 2022, 5:42 PM IST

কলকাতা, 30 জুন: একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের 'শহিদ তর্পণের দিন' ৷ কিন্তু এ বছর এই দিনটিকেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে 'জেহাদ' ঘোষণার দিন হিসাবে বেছে নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ আর মমতার এই 'জেহাদ' শব্দটি নিয়েই আপত্তি রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের ৷ এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি ৷ রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিজেপি-র প্রতিনিধিদল ৷ যার ভিত্তিতে রাজ্যপালও 'জেহাদ' শব্দটি প্রত্যাহারের জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে অনুরোধ জানিয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে তাঁকে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ৷

কিন্তু, বিজেপি-র এই প্রবল বিরোধিতার (Jihad Word Controversy) কারণ কী ? তা স্পষ্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, জেহাদ শব্দটি নিয়েই বিজেপি উদ্বিগ্ন ৷ কারণ, এই শব্দটি হিন্দি, সংস্কৃত বা বাংলা থেকে আসেনি ৷ এটি আদতে একটি আরবি শব্দ ৷ এই শব্দের বাংলা তর্জমা করলে, তার অর্থ হয় ধর্মযুদ্ধ ৷ আমরা জানি, তৎকালীন যুব কংগ্রেসের একটি কর্মসূচি কেন্দ্র করে শহিদ দিবস পালন করা হয় ৷ এর সঙ্গে আরবি শব্দ জেহাদ বা ধর্মযুদ্ধের কোনও সংযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না ৷ তাই এই শব্দটি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলেছেন অত্যন্ত সচেতনভাবে ৷ আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে চিন্তিত ৷ একইভাবে উদ্বিগ্ন ৷ যাঁরা বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন !

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee in Durgapur: গ্রামের রাস্তা ঠিক না-করলে মানুষ ভোট দেবে না, বিধায়কদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির ৷ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের ভাষাকে সামনে রেখে 'বিভাজনের প্রয়াস' দেখছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তারা শুভেন্দুর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধর্মকেই সমানভাবে সম্মান করেন ৷ কোনও ধর্মকেই আঘাত করার মানুষ তিনি নন ৷ কিন্তু, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্মও পালন করতে হয় ৷ ধর্মের নামে, ভাষার নামে, বর্ণের নামে বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই তো আসলে শাসকের ধর্মযুদ্ধ ৷ এই ধর্মযুদ্ধ সংবিধানকে অবমাননা, দেশের ইতিহাস বদলে দেওয়ার প্রয়াসের বিরুদ্ধে লড়াই ৷ যাঁরা সংবিধান মেনে চলছেন, তাঁদের তো এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই ৷ যাঁরা সংবিধান মানেন না, বিভাজনের রাজনীতি করেন, তাঁরাই তো ভয় পাবেন ৷

এই বিষয়ে রাজ্যপালের অবস্থানেরও কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল ৷ রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম ৷ আমাদের বক্তব্য জানানোর আগেই রাজ্যপাল ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন ৷ রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ কিন্তু তিনি ক্রমেই নিজেকে রাজনৈতিক বিচারকের জায়গায় নামিয়ে আনছেন ! এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷

অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ 'জেহাদ' শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাঁর ফেসবুক অ্য়াকাউন্টে লিখেছেন, "জেহাদ ৷ হঠাৎ এই শব্দ নিয়ে বিতর্ক তুলছে বিজেপি ৷ ইন্ধন দিচ্ছেন রাজ্যপাল ৷ বাংলা ভাষার চলতি কথায় অন্য বহু ভাষা থেকে কিছু শব্দ এসে গিয়েছে, যা ব্যবহৃত হয় ৷ তাদের উৎসের ব্যাখ্যা এখানে অপ্রাসঙ্গিক ৷ জেহাদ শব্দটি অভিধানে এবং মূল উৎসের ধর্মভাবনায় যেভাবেই থাকুক, এখন চলতি কথায় আমাদের ব্যবহারে সেটি প্রতিবাদ, বিপ্লব বা বিদ্রোহ ৷ আমরা বাংলায় যখন ব্যবহার করি, তখন এর পিছনে কোনও ধর্মের ভাবনা কাজ করে না ৷"

কলকাতা, 30 জুন: একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের 'শহিদ তর্পণের দিন' ৷ কিন্তু এ বছর এই দিনটিকেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে 'জেহাদ' ঘোষণার দিন হিসাবে বেছে নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ আর মমতার এই 'জেহাদ' শব্দটি নিয়েই আপত্তি রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের ৷ এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি ৷ রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিজেপি-র প্রতিনিধিদল ৷ যার ভিত্তিতে রাজ্যপালও 'জেহাদ' শব্দটি প্রত্যাহারের জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে অনুরোধ জানিয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে তাঁকে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ৷

কিন্তু, বিজেপি-র এই প্রবল বিরোধিতার (Jihad Word Controversy) কারণ কী ? তা স্পষ্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, জেহাদ শব্দটি নিয়েই বিজেপি উদ্বিগ্ন ৷ কারণ, এই শব্দটি হিন্দি, সংস্কৃত বা বাংলা থেকে আসেনি ৷ এটি আদতে একটি আরবি শব্দ ৷ এই শব্দের বাংলা তর্জমা করলে, তার অর্থ হয় ধর্মযুদ্ধ ৷ আমরা জানি, তৎকালীন যুব কংগ্রেসের একটি কর্মসূচি কেন্দ্র করে শহিদ দিবস পালন করা হয় ৷ এর সঙ্গে আরবি শব্দ জেহাদ বা ধর্মযুদ্ধের কোনও সংযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না ৷ তাই এই শব্দটি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলেছেন অত্যন্ত সচেতনভাবে ৷ আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে চিন্তিত ৷ একইভাবে উদ্বিগ্ন ৷ যাঁরা বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন !

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee in Durgapur: গ্রামের রাস্তা ঠিক না-করলে মানুষ ভোট দেবে না, বিধায়কদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির ৷ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের ভাষাকে সামনে রেখে 'বিভাজনের প্রয়াস' দেখছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তারা শুভেন্দুর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধর্মকেই সমানভাবে সম্মান করেন ৷ কোনও ধর্মকেই আঘাত করার মানুষ তিনি নন ৷ কিন্তু, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্মও পালন করতে হয় ৷ ধর্মের নামে, ভাষার নামে, বর্ণের নামে বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই তো আসলে শাসকের ধর্মযুদ্ধ ৷ এই ধর্মযুদ্ধ সংবিধানকে অবমাননা, দেশের ইতিহাস বদলে দেওয়ার প্রয়াসের বিরুদ্ধে লড়াই ৷ যাঁরা সংবিধান মেনে চলছেন, তাঁদের তো এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই ৷ যাঁরা সংবিধান মানেন না, বিভাজনের রাজনীতি করেন, তাঁরাই তো ভয় পাবেন ৷

এই বিষয়ে রাজ্যপালের অবস্থানেরও কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল ৷ রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম ৷ আমাদের বক্তব্য জানানোর আগেই রাজ্যপাল ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন ৷ রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ কিন্তু তিনি ক্রমেই নিজেকে রাজনৈতিক বিচারকের জায়গায় নামিয়ে আনছেন ! এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷

অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ 'জেহাদ' শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাঁর ফেসবুক অ্য়াকাউন্টে লিখেছেন, "জেহাদ ৷ হঠাৎ এই শব্দ নিয়ে বিতর্ক তুলছে বিজেপি ৷ ইন্ধন দিচ্ছেন রাজ্যপাল ৷ বাংলা ভাষার চলতি কথায় অন্য বহু ভাষা থেকে কিছু শব্দ এসে গিয়েছে, যা ব্যবহৃত হয় ৷ তাদের উৎসের ব্যাখ্যা এখানে অপ্রাসঙ্গিক ৷ জেহাদ শব্দটি অভিধানে এবং মূল উৎসের ধর্মভাবনায় যেভাবেই থাকুক, এখন চলতি কথায় আমাদের ব্যবহারে সেটি প্রতিবাদ, বিপ্লব বা বিদ্রোহ ৷ আমরা বাংলায় যখন ব্যবহার করি, তখন এর পিছনে কোনও ধর্মের ভাবনা কাজ করে না ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.