কলকাতা, 13 জুলাই: 'বিজেপি শুরু থেকেই ইতিহাস বদল করার চেষ্টা করছে । ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাইছে । অশোক স্তম্ভের রূপ বদল আদতে সেই চেষ্টার অংশ মাত্র । মানুষ সব দেখছে । সাধারণ মানুষ এধরনের চেষ্টা কখনই ভালোভাবে মেনে নেয় না ।' রাজ্য বিধানসভায় বুধবার নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই অশোক স্তম্ভ বিতর্কে সরব হলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha chatterjee slams BJP)।
মূল অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা হচ্ছে। অশোক স্তম্ভের পরিবর্তন করে বিজেপি নিজেদের সম্পর্কে কী বোঝাতে চাইছে আমরা জানিনা ৷ সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে ওদের ধারণা নেই। সিংহের মুখ গর্জন করলে নিজেরা আনন্দিত হন । তবে মনে রাখতে হবে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা সুপরিকল্পিতভাবেই বিজেপি আমলে হচ্ছে । আসলে নতুন করে ইতিহাস লেখার চেষ্টা হচ্ছে । অশোক স্তম্ভের মুখ বদল তার একটা অংশ বিশেষ। ভারতবর্ষের মানুষ চিরকাল এই ধরনের চেষ্টার বিরুদ্ধে ছিল । আগামিদিনেও তাই থাকবে ।'
এ প্রসঙ্গে আক্রমণ শানান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তিনি বলেন, "আমাদের দেশের আইনে রয়েছে জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সংগীতের মতো বিষয়গুলিকে বিকৃত করা দন্ডনীয় অপরাধ। যারা এমন কাজ করেন তাদের শাস্তি হয়। আমার প্রশ্ন কীভাবে প্রধানমন্ত্রী মতো একজন ব্যক্তি অশোক স্তম্ভের অবমাননা করলেন !'
আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের অশুভ দর্শনের প্রতিনিধি ! কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক
প্রসঙ্গত, সংসদ ভবনের জন্য নতুন অশোক স্তম্ভের ছবি প্রকাশ্যেই আসতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফ থেকে একটানা সমালোচনা চলছে । বিশেষ করে সাঁচি স্তুপে শান্ত ও সৌম্য সিংহমূর্তি ছিল । তা পরিবর্তন করে সিংহমূর্তির যে রূপ প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়ে সরব বিরোধীরা । এবার আরও একধাপ এগিয়ে এই পদক্ষেপকে ইতিহাসের বিকৃতি বলে আখ্যা দিল বাংলার শাসক শিবির । আর পরিষদীয় চৌহদ্দি থেকে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার প্রশ্ন তুললেন, জাতীয় প্রতীকের বিকৃতি তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ । তাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সব জেনেও এটা মেনে নিলেন?