ব্যারাকপুর, 6 জুন : নির্মল কুণ্ডুর নেতৃত্বে তোলাবাজি চলত । অভিযোগ করলেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব ।
তন্ময়বাবু বলেন, "নির্মল কুণ্ডুর এই ধরনের মৃত্যু নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক । একটা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, অঞ্চলজুড়ে উত্তর দমদম পৌরসভার 5, 6, 7, 8 ও 9 নম্বর ওয়ার্ডে যে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ চলত, তার সবটাই নির্মল কুণ্ডুর নেতৃত্বে পরিচালিত হত । এর যে ভাগ বাঁটোয়ারা, তা নিয়ে নির্মল কুণ্ডুর সঙ্গে তাঁরই অনুগামীদের সংঘাত তৈরি হয় । এই অনুগামীদের একাংশ সম্প্রতি BJP-র বাহিনীতে পরিণত হয়েছে । কেন তাঁরা BJP কর্মী হলেন, সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস ।"
যদিও তন্ময়বাবুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন, উত্তর দমদম টাউন তৃণমূল সভাপতি বিধান বিশ্বাস । তিনি বলেন, "তন্ময়বাবু এলাকায় থাকেন না । উনি টিভির পর্দায় দেখে নিজের মতো করে একটা বক্তব্য করেছেন । নির্মল কুণ্ডু একজন ব্যবসায়ী। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক । 6 নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ।"
আজ, তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডু খুনের ঘটনায় ধৃত BJP কর্মী সুমন কুণ্ডু ও ভাড়াটে খুনি সুজয় দাসকে 7 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । উত্তর দমদম পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতিকে খুনের ঘটনায় ধৃতদের আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। নিমতা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে । আদালতে নিমতা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের 14 দিনের হেপাজতের আর্জি জানায় । কিন্তু আদালতের ACJM ইনচার্জ শর্মিষ্ঠা নাগ পাল ধৃতদের 7 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন ।
যদিও ধৃত সুমনকে এই খুনের ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী গীতা সাহা। তিনি বলেন, "সুমন কুণ্ডু ও সুজয় দাসকে ফাঁসানো হয়েছে । বিশেষ করে, সুমন এই ঘটনার কিছুই জানে না ।" এদিকে, মৃত নির্মলের মেয়ে রিমা চন্দ বলেন, "বাবাকে যারা মেরেছে তাদের ফাঁসি চাই ।"