কলকাতা, 17 জুলাই: বিজেপির সর্বভারতীয় দল এনডিএ উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নাম ঘোষণা করেছে (TMC on Dhankhar)। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এই অবস্থায় মনে করছে রাজভবনে বসে বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্য পুরস্কৃত হলেন বাংলার রাজ্যপাল (Vice-presidential candidate)। রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে গত তিন বছরে এই পদকে সামনে রেখে বাংলায় যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে, যে ভাবে রাজভবনকে রাজ্য সরকারের সমালোচনার মঞ্চ হিসাবে তৈরি করা হয়েছে, তারই স্বীকৃতি স্বরূপ জগদীপ ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির (TMC cautious in commenting on Jagdeep Dhankhar)।
যদিও জগদীপ ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতি করা নিয়ে প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে এ রাজ্যের শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস বেশ সাবধানী । দলের তরফ থেকে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং দমদমের সাংসদ সৌগত রায় ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতি করার এই সিদ্ধান্তকে বিজেপির পুরস্কার হিসেবে চিহ্নিত করলেও দলের অপর মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়ে যা বলার একুশ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলীয় বৈঠকের পরই জানানো হবে ।
তৃণমূল কংগ্রেসের এই অবস্থানে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপের ছাপ দেখছে রাজনৈতিক মহল । এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায় হলেও বিদায় মুহূর্তে সংঘাত বাড়াতে চাইছে না রাজ্যের শাসক দল । এর পেছনে একটা কারণ হতে পারে সৌজন্য । তবে আরও একটা কারণ আছে । যদি জগদীপ ধনকড় শেষপর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি হন, সে ক্ষেত্রে পদাধিকার বলে তিনিই হবেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান । সে ক্ষেত্রে ফের সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে বলে আশংকা করে আগাম সতর্ক হতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস । সে কারণেই হয়তো এই অবস্থান তৃণমূলের ।
আরও পড়ুন: উপ-রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থী জগদীপ ধনকড়
অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার রাজা গোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি, সেজন্যই হয়তো দেখেশুনে প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল । এ ক্ষেত্রে আগ বাড়িয়ে কোনও বক্তব্য পরে অস্বস্তির কারণ হতে পারে ভেবেই এই সাবধানতা বলে মনে করছেন তিনি ।