কলকাতা, 29 জুন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। তবে বৈঠকে ছিল মাত্র দু'টি সংগঠন। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
আনলক 1 ফেজ়ে শহর সচল হচ্ছে। বিস্তর টালবাহানার পর বেসরকারি বাস ও মিনিবাস পথে নামলেও পুরোনো ভাড়ায় কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর বিষয়টি গোড়া থেকে পথের কাঁটা হয়ে ছিল। গঠন করা হয় এক্সপার্ট কমিটিও। তবে তাতেও মেলেনি কোনও সুরাহা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠকে বসে বাস মালিক সংগঠনগুলি। তবে এই বৈঠক নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজ অন্যদিকে বৈঠকে যোগ দেয়ে দু'টি বাস মালিক সংগঠনকে। জানা গেছে যে এই বৈঠকে ডাকা হয় কেবলমাত্র বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি ও মিনিবাস অপারেটরস কোটেশন কমিটিকে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে কাকে ডাকবেন বা কাকে ডাকবেন না সেটা তিনি ঠিক করবেন। প্রথম থেকেই আমরা বাস মালিকদের সঙ্গে থেকে তাঁদের জন্যই লড়াই করে চলেছি। তবে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী যদি শুধু দু'টি বা তিনটি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেন তাহলে তার থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। সবাই এই ঘটনাটি জেনেছেন। আমি সংগঠনের নেতা হিসেবে এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিবহণমন্ত্রী যদি মনে করেন যে শুধুমাত্র কয়েকটি সংগঠনকে ডেকে রাজ্যের সমস্ত বাস-মিনিবাসের সমস্যার সমাধান করবেন তাহলে আমাদের তাহলে সেই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।"
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন , "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভায় রাজ্যের বাস মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে কাদের ডাকবেন বা কাদের ডাকবেন না সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে আমি মনে করি যে সমস্যার সমাধানের জন্য বাস্তবসম্মত যে পদক্ষেপ করা উচিত আমরা তাই করব। আমরা সবাই যৌথভাবে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি। তাই আমরা এমন কোনও পদক্ষেপ করব না যাতে বাস মালিক ও কর্মীরা অসুবিধায় পড়েন। যেমন 14 মে খবরের শিরোনামে আসার জন্য কয়েকটি সংগঠন যেভাবে তড়িঘড়ি প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেন তা জটিলতার সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমি আশা করব যে সংগঠনগুলি এর থেকে বিরত থাকবেন।"
অন্যদিকে , ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস এন্ড মিনি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, "আমি মনে করি যে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি জানতেন না। কোনও এক আধিকারিক তাঁর চিন্তা ভাবনা থেকে কয়েকটি সংগঠনকে বৈঠকে যোগ দিতে ডাকেন। বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয় আলোচনায় সবকটি বাস ও মিনিবাস সংগঠনকেই ডাকা উচিত ছিল।"
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ডাক পায়নি, ক্ষোভ একাধিক বাস সংগঠনের - Bus
বাস পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে বৈঠকে ছিল মাত্র দু'টি সংগঠন। যার কারণে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
কলকাতা, 29 জুন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। তবে বৈঠকে ছিল মাত্র দু'টি সংগঠন। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
আনলক 1 ফেজ়ে শহর সচল হচ্ছে। বিস্তর টালবাহানার পর বেসরকারি বাস ও মিনিবাস পথে নামলেও পুরোনো ভাড়ায় কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর বিষয়টি গোড়া থেকে পথের কাঁটা হয়ে ছিল। গঠন করা হয় এক্সপার্ট কমিটিও। তবে তাতেও মেলেনি কোনও সুরাহা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠকে বসে বাস মালিক সংগঠনগুলি। তবে এই বৈঠক নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজ অন্যদিকে বৈঠকে যোগ দেয়ে দু'টি বাস মালিক সংগঠনকে। জানা গেছে যে এই বৈঠকে ডাকা হয় কেবলমাত্র বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি ও মিনিবাস অপারেটরস কোটেশন কমিটিকে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে কাকে ডাকবেন বা কাকে ডাকবেন না সেটা তিনি ঠিক করবেন। প্রথম থেকেই আমরা বাস মালিকদের সঙ্গে থেকে তাঁদের জন্যই লড়াই করে চলেছি। তবে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী যদি শুধু দু'টি বা তিনটি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেন তাহলে তার থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। সবাই এই ঘটনাটি জেনেছেন। আমি সংগঠনের নেতা হিসেবে এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিবহণমন্ত্রী যদি মনে করেন যে শুধুমাত্র কয়েকটি সংগঠনকে ডেকে রাজ্যের সমস্ত বাস-মিনিবাসের সমস্যার সমাধান করবেন তাহলে আমাদের তাহলে সেই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।"
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন , "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভায় রাজ্যের বাস মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে কাদের ডাকবেন বা কাদের ডাকবেন না সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে আমি মনে করি যে সমস্যার সমাধানের জন্য বাস্তবসম্মত যে পদক্ষেপ করা উচিত আমরা তাই করব। আমরা সবাই যৌথভাবে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি। তাই আমরা এমন কোনও পদক্ষেপ করব না যাতে বাস মালিক ও কর্মীরা অসুবিধায় পড়েন। যেমন 14 মে খবরের শিরোনামে আসার জন্য কয়েকটি সংগঠন যেভাবে তড়িঘড়ি প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেন তা জটিলতার সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমি আশা করব যে সংগঠনগুলি এর থেকে বিরত থাকবেন।"
অন্যদিকে , ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস এন্ড মিনি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, "আমি মনে করি যে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি জানতেন না। কোনও এক আধিকারিক তাঁর চিন্তা ভাবনা থেকে কয়েকটি সংগঠনকে বৈঠকে যোগ দিতে ডাকেন। বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয় আলোচনায় সবকটি বাস ও মিনিবাস সংগঠনকেই ডাকা উচিত ছিল।"