ETV Bharat / city

বিধানসভায় পাশ হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিল - বিধানসভায় পাশ হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিল

বিধানসভায় পাশ হল দা হিন্দি ইউনিভার্সিটি ওয়েস্টবেঙ্গল বিল 2019 । যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, অবাঙালি ও হিন্দি বলয়ের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিল পাশ করালেন ।

ফাইল ছবি
author img

By

Published : Sep 6, 2019, 1:35 AM IST

কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : বিধানসভায় পাশ হল দা হিন্দি ইউনিভার্সিটি ওয়েস্টবেঙ্গল বিল 2019 । বিলটি নিয়ে 20টি সংশোধনী দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী । একটি সংশোধনীও গৃহীত হয়নি বিধানসভায় ।

গতকাল বিলটি নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধেই আলোচনা হয় । পাশও হয়ে যায় । যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, অবাঙালি ও হিন্দি বলয়ের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিল পাশ করালেন ।

সুজন চক্রবর্তী বলেন, "হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আমাদের কোনও আপত্তি নেই । কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রেমচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হত । সরকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি ।" তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এই হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি এনেছেন । সুজনবাবু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বিল আনছেন, সেই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ভয়ঙ্কর অবস্থা তা দেখেছেন ? ওখানে দলতন্ত্র চলছে । পরীক্ষা নিয়ামক নেই । ফিন্যান্স অফিসার নেই । কোনও অফিসার অপছন্দের হলে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে । অন্যদিকে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা অরাজনৈতিক হবে বলে বিলটিতে বলা হচ্ছে । যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক । এমন কোনও মানুষ নেই যিনি ভোট দেন না । বিলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে মানুষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকবেন না তাঁকেই উপাচার্য করা হবে । বিষয়টি হাস্যকর । এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা, স্বাধিকার নষ্ট হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে ভোট বাক্সে নজর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ।"

শাসকদলের শিক্ষক দিবস পালনের যোগ্যতা নেই বলেও মন্তব্য করেন সুজন । বলেন, "শিক্ষা ক্ষেত্রে লজ্জা তৈরি করেছে শাসকদল । শিক্ষকদের ওপর জলকামান, বেধড়ক লাঠিচার্জ, গ্রেপ্তার সবই করেছে । এরপর আর এই সরকারের শিক্ষক দিবস পালন মানায় না ।" আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার সরকারি এবং প্রশাসনিক নির্যাতন হয়েছে শিক্ষকদের উপর । শিক্ষক দিবসে এমন একজন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দিলেন, যিনি সদ্য দলবদল করেছেন । তৃণমূল কংগ্রেসে গেলে শিক্ষারত্ন ! এই তো যোগ্যতার মাপকাঠি । তারপর শিক্ষক দিবস পালন লজ্জাজনক ।"

কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : বিধানসভায় পাশ হল দা হিন্দি ইউনিভার্সিটি ওয়েস্টবেঙ্গল বিল 2019 । বিলটি নিয়ে 20টি সংশোধনী দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী । একটি সংশোধনীও গৃহীত হয়নি বিধানসভায় ।

গতকাল বিলটি নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধেই আলোচনা হয় । পাশও হয়ে যায় । যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, অবাঙালি ও হিন্দি বলয়ের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিল পাশ করালেন ।

সুজন চক্রবর্তী বলেন, "হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আমাদের কোনও আপত্তি নেই । কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রেমচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হত । সরকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি ।" তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এই হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি এনেছেন । সুজনবাবু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বিল আনছেন, সেই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ভয়ঙ্কর অবস্থা তা দেখেছেন ? ওখানে দলতন্ত্র চলছে । পরীক্ষা নিয়ামক নেই । ফিন্যান্স অফিসার নেই । কোনও অফিসার অপছন্দের হলে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে । অন্যদিকে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা অরাজনৈতিক হবে বলে বিলটিতে বলা হচ্ছে । যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক । এমন কোনও মানুষ নেই যিনি ভোট দেন না । বিলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে মানুষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকবেন না তাঁকেই উপাচার্য করা হবে । বিষয়টি হাস্যকর । এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা, স্বাধিকার নষ্ট হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে ভোট বাক্সে নজর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ।"

শাসকদলের শিক্ষক দিবস পালনের যোগ্যতা নেই বলেও মন্তব্য করেন সুজন । বলেন, "শিক্ষা ক্ষেত্রে লজ্জা তৈরি করেছে শাসকদল । শিক্ষকদের ওপর জলকামান, বেধড়ক লাঠিচার্জ, গ্রেপ্তার সবই করেছে । এরপর আর এই সরকারের শিক্ষক দিবস পালন মানায় না ।" আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার সরকারি এবং প্রশাসনিক নির্যাতন হয়েছে শিক্ষকদের উপর । শিক্ষক দিবসে এমন একজন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দিলেন, যিনি সদ্য দলবদল করেছেন । তৃণমূল কংগ্রেসে গেলে শিক্ষারত্ন ! এই তো যোগ্যতার মাপকাঠি । তারপর শিক্ষক দিবস পালন লজ্জাজনক ।"

Intro:দি হিন্দি ইউনিভার্সিটি ওয়েস্টবেঙ্গল বিল ২০১৯ আজ বিধানসভায় পাস হলো। বিলটি নিয়ে কুড়িটি সংশোধনী গিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। একটি সংশোধনীও গৃহীত হয়নি বিধানসভায়।



Body:বিলটি নিয়ে বিধানসভার অধিবেশনের প্রথমার্ধেই আলোচনা হয় এবং গৃহীত হয় সর্বশেষ বিলটি পাস হয়ে যায়। বিরোধীদলের বিধায়করা বিলটির বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় জানিয়েছেন, অবাঙালি এবং হিন্দি বলয়ের ভোটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই বিল বিধানসভায় পাস করালেন।
হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় সরকার করবে সে বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই বামেদের। বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী নির্দিষ্টভাবে সংশোধনী এনে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম মুন্সি প্রেমচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিষয়টি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হত। সরকার এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে চায়নি।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এই হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি আনলেন বলে জানান সুজন চক্রবতী। মুখ্যমন্ত্রী যখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বিল করছেন, সেই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কি ভয়ঙ্কর অবস্থা তাও তুলে ধরেন তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরীক্ষা নিয়ামক নেই। ফাইন্যান্স অফিসার নেই। কোন অফিসার অপছন্দের হলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা অরাজনৈতিক হবে বলেই বিলটিতে বলা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। এমন কোনো মানুষ নেই যিনি ভোট দেন না। বিলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে মানুষ রাজনীতির সঙ্গে থাকবেন না তাকেই উপাচার্য করা হবে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মনে করেন সুজন চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা, স্বাধিকার নষ্ট হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে ভোট বাক্সে নজর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ সুজনের।
অন্যদিকে শাসকদলের শিক্ষক দিবস পালনের যোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শিক্ষা ক্ষেত্রে লজ্জা তৈরি করেছে শাসকদল। অভিযোগ সুজনের। তিনি বলেন, শিক্ষকদের ওপর জলকামান, বেধড়ক লাঠিচার্জ, গ্রেফতার, সবই করেছে বর্তমান শাসক দল। এরপর আর এই সরকারের শিক্ষক দিবস পালন মানায় না বলে জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে সরকারি এবং প্রশাসনিক নির্যাতন শিক্ষকদের উপরে হয়েছে লাগাতার। শিক্ষক দিবসে এমন একজন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দিলেন, যিনি সদ্য দলবদল করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে গেলে শিক্ষারত্ন। এইতো সরকারের যোগ্যতার মাপকাঠি। কটাক্ষ সুজনের।


Conclusion:

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.