কলকাতা,19 মে:অর্জুন পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম মনোনীত হয়েছে।খবরটা সকালে পেয়েই খুশিতে মন ভরে গিয়েছে সুতীর্থা মুখার্জির। দেশের একনম্বর টেবিল টেনিস মহিলা খেলোয়াড় তিনি। নৈহাটিতে তাঁর বাড়িতে চেনা পরিচিতর ফোনে অভিনন্দনের বন্যা বইছে। লকডাউনে নিজের বাড়িতে রয়েছেন। বোর্ডে নেমে অনুশীলন করার সুযোগ নেই। তাই বাড়িতে ফিটনেস ট্রেনিং করছেন। ইতিমধ্যে উত্তর 24পরগনা টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি করা সচেতনতার ভিডিয়ো বার্তায় কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনুরোধ করেছেন। বর্তমানে হরিয়ানার হয়ে নামলেও আদতে সুতীর্থা বাংলার মেয়ে।
অনেকদিন পরে বাংলার কোনও টেবিল টেনিস খেলোয়াড় অর্জুন সম্মানের জন্য মনোনীত। "খবরটা পাওয়ার পরে মনটা খুশিতে ভরে গিয়েছে।আমি ভেবেছিলাম মাধুরিকা পাটকর এবং সানিল শেট্টি এই সম্মান পাবেন। কারণ ওঁরা সিনিয়র।তবে ওঁদের সঙ্গে আমার নাম থাকায় ভালো লাগছে," বলছিলেন সুতীর্থা। ছোটোবেলা থেকেই টেবিল টেনিসের প্রতি আগ্রহ।কোচ মিহির ঘোষের কাছে খেলাটির হাতেখড়ি। খুশির দিনে বাবা মায়ের সঙ্গে প্রথম কোচের কথা মনে পড়েছে সুতীর্থার।"ফোনে কথা হয়েছে মিহির স্যারের সঙ্গে। ওঁর অবদান ভুলব কি করে ! আমাকে তৈরি করার প্রথম কাজটা উনি যত্ন নিয়ে করেছিলেন।তাই অবদান ভুলি কি করে,"শ্রদ্ধা ঝরে পড়েছে দেশের একনম্বর মহিলা খেলোয়াড়ের গলায়।বর্তমানে তাঁর কোচ সৌম্যদীপ রায়। সৌম্যদীপ রায় এবং পৌলমি ঘটকের অ্যাকাডেমিতে এখন অনুশীলন করেন সুতীর্থা। এই সাফল্যের দিনে দুই কোচ এবং প্রাক্তন টেবিল টেনিস তারকার অবদান স্বীকার করছেন নৈহাটির মেয়েটি। ইতিমধ্যে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। লকডাউনের ফলে সেখানে অনুশীলন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ফোনে যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলছেন।
আনন্দের এই আবহে সুতীর্থার আক্ষেপ অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায়। "টোকিও অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এই লকডাউনের ফলে তা ধাক্কা খেল।তবে ভেঙে পড়ছি না। বরং নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছি," চোয়াল শক্ত করা জবাব সুতীর্থার। বুধবার থেকে নৈহাটির ক্লাবে অনুশীলন শুরু হবে।সেখানে যোগ দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে চান সুতীর্থা মুখার্জি।