কলকাতা, 26 জুলাই: রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই-ইডির পাশাপাশি এ বার তদন্তে নামল রাজ্য পুলিশ (State Police Formed Special Team to Found Previous Cases in SSC Corruption) ৷ কিন্তু, চুপিসাড়ে ৷ তবে, পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন সেলের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে ৷ সেই বিশেষ দলে যেমন রয়েছেন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকরা, তেমনই রয়েছেন আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ৷
যদিও এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের আইপিএস মহলের একাংশের দাবি, এটা কোনও তদন্ত নয় ৷ বরং শুধুমাত্র খোঁজখবর রাখা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দুর্নীতিকাণ্ডে ওয়াকিবহাল রাখা ৷ আর সেই কাজ মাঝেমধ্যেই করে থাকে রাজ্যে পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ৷ কিন্তু, এখানেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতার গ্রেফতারির পরেই কেন হঠাৎ করে জেগে উঠল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ? এই বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা ৷
আরও পড়ুন: ওজন 111 কেজি, তাই কি এত সমস্যা পার্থর শরীরে ? কী বলছে ভুবনেশ্বর এইমসের রিপোর্ট
জানা গিয়েছে, মূলত উপর মহল থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই, গোয়েন্দারা এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহে ময়দানে নেমেছেন ৷ রাজ্যের সব জেলার বিভিন্ন থানায় এর আগে এসএসসি এবং প্রাইমারি টেট দুর্নীতি নিয়ে কারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ? সেই অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল ? সেই সময় সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার কে ছিলেন ? পুলিশ সুপারের তরফ থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নিচু তলার পুলিশ কর্মীদের ? পুলিশের তরফে কোনও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়েছিল কি না, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা ৷
আরও পড়ুন: একাধিক অজানা তথ্য, পার্থ-অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে ইডি
সেই সব তথ্য রিপোর্ট আকারে রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে জমা দেওয়া হবে ৷ ভবানী ভবন (Bhabani Bhawan) সূত্রের খবর, প্রয়োজন পড়লে এই সব নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন এই বিশেষ তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা ৷