কলকাতা, 31 অগস্ট : ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতো প্রকল্প চালু করার টাকা রয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে ৷ অথচ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর টাকা নেই ভাঁড়ারে ! মঙ্গলবার এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়েই হতাশা প্রকাশ করেন ডিএ মামলায় মামলাকারীদের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ৷ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্য়ের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নাকি কোনও টাকাই ডিএ বাবদ বকেয়া নেই ! আমজাদের বক্তব্য, সত্যিই যদি কোনও টাকা বকেয়া না থাকে তাহলে সেটাই লিখিত আকারে আদালতকে জানাক সরকার পক্ষ ৷ আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর দু’টোর সময় এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Dearness Allowance : কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে 28 শতাংশ, উপকৃত পেনশনভোগীরাও
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ এদিন সেই সংক্রান্ত একটি মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ৷ সওয়াল-জবাব চলাকালীন উঠে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ ৷ মামলাকারীরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কটাক্ষ না করলেও তাঁদের বক্তব্য, একের পর এক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের জন্য যদি টাকা থাকে রাজ্যের কাছে, তাহলে রাজ্য সরকারি কর্মীরাই বা কেন তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হবেন ? যদিও এই প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে ৷ কাজেই রাজ্যকেও তো আমজনতার সমস্যা মেটানোর জন্য কিছু একটা করতে হবে ৷
আরও পড়ুন : রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মীরাও পাবেন ডিএ'র সুবিধা, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নর
মামলাকারীদের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি আদালতে বলেন, ‘‘রাজ্য একাধিকবার রিভিউ অ্যাপ্লিকেশন করেছে ৷ আর কতবার রিভিউ অ্যাপ্লিকেশন করবে ? মামলায় পঞ্চম পে কমিশন নিয়ে বিচার চলছে ৷ অথচ কেন্দ্রে ষষ্ঠ পে কমিশন কার্যকর হয়ে গিয়েছে ৷ এই বিষয়টিও আদালতের দেখা উচিত ৷’’ l তবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘ রাজ্যের ক্ষমতা অনুযায়ী ধাপে ধাপে ডিএে দেওয়া হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই 125% দেওয়া হয়েছে ৷ বাকিটা নিয়ে আলোচনা চলছে । কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে রাজ্যের তুলনা করা ঠিক নয়। রাজ্য সামর্থ্য অনুযায়ী কর্মচারীদের ডিএ দিয়েছে।’’