কলকাতা, 4 জানুয়ারি : পৌর আইন অনুযায়ী যে কোনও ব্যক্তিকে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার। মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের। কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে কেন তাঁকে সরানো হল, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করেছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী, সেই মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি অরিন্দম সিনহা এই মন্তব্য করলেন।
মামলার শুনানিতে মামলাকারী সৌমেন্দু অধিকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "কেন পরিবর্তন করা হল একজন ইলেক্টেড কাউন্সিলর কে? নির্দিষ্ট প্রশাসনিক কারণ ছাড়া কাউকে পদচ্যুত করা যায় না। এখানে আদৌ কোনও প্রশাসনিক কারণ আছে কি না সেটাই আসল প্রশ্ন। পাশাপাশি তাঁকে পদচ্যুত করে বর্তমানে যাকে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তিনি একজন নির্বাচিত কাউন্সিলর পর্যন্ত নন।"
এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যালিটি আইন অনুযায়ী, রাজ্য সরকার যে কোনও ব্যক্তিকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিয়োগ করতে পারে।" তিনি সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের একাধিক জাজমেন্ট উল্লেখ করেন।
এরপরই বিচারপতি অরিন্দম সিনহা মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে আইনগত দিক থেকে যদি কিছু বলার থাকে তা বলতে বলেছেন। আগামীকাল, মঙ্গলবার বেলা 2টোর সময় ফের এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে সৌমেন্দু
19 মে, 2020 মামলাকারী সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পৌরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। এরপর হঠাৎ করে গত 30 ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, তাঁকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 31 ডিসেম্বর সৌমেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কোনও আইনগত কারণ ছাড়াই তাঁকে পদচ্যুত করা হয়েছে এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।