কলকাতা, 10 অগস্ট: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আধুনিকতার জোয়ারে ভাসছে মানুষ ৷ পোশাক থেকে পেশায় এসেছে পরিবর্তন ৷ আধুনিকতার আঁচ আজ সব জায়গায় ৷ কিন্তু রুচি ভাবনা সত্যিই কি আধুনিক হয়েছে ?
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (St. Xavier's University) ঘটনা এই প্রশ্নই যেন আরও একবার তুলে ধরল । বিকিনি পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকা ৷ আর সেটাই হয়েছিল তাঁর অপরাধ ! অধ্যাপিকার অভিযোগ, এই কারণেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হল তাঁকে ।
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপিকার অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলেন । তবে এই সবই তাঁর চাকরি জীবনের আগে । কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তই অধ্যাপিকার জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়াল 2021 অক্টোবর মাসে । আচমকাই স্কুলের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়, সম্প্রতি এক ছাত্রের বাবা অভিযোগ তুলেছেন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে । এমনকী তিনি অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করারও পরিকল্পনা নেয় । আর তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপিকাকে নিজে থেকেই পদত্যাগ করতে বলেন (St Xaviers University professor alleged she terminated from job due to Bikini picture Controversy) ।
তবে এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি । অধ্যাপিকা বলেন, "আইনি লড়াই লড়ব। আমার মতে ক্লাস নেওয়ার সময় আমি কোনরকম রুচিহীন আচরণ প্রকাশ করিনি । বরং আমার ছবি কোন ছাত্র বা ছাত্রের অভিভাবক যদি ভাইরাল করে, তবে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ ।"
আরও পড়ুন: চাদরে ঋতুস্রাবের দাগ ! অধ্যাপিকাকে 'জরিমানা' হোটেলের
প্রসঙ্গত, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি চিঠি ভাইরাল হয় । চিঠিটি লিখেছেন বিকে মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি । চিঠির বয়ান বলছে, 'আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখছিল । ছবিগুলি অত্যন্ত কুরুচিকর, অশ্লীল, প্রায় নগ্ন বললেই চলে । ছবিগুলিতে শিক্ষিকা যৌন উত্তেজনামূলক পোশাক পরে রয়েছেন । শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি ছেলে দেখছে, বাবা হিসাবে আমার কাছে ভীষণ লজ্জার এই দৃশ্য । একজন 18 বছরের ছেলে তাঁর অধ্যাপিকার স্বল্পাবাসের ছবি দেখছে, তাও আবার প্রকাশ্যে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে, এটি অত্যন্ত নিকৃষ্টমাণ ও লজ্জাজনক ঘটনা ।"