কলকাতা, 14 জুন : পাট শিল্প নিয়ে দেরিতে হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হুঁঁশ ফিরেছে । তবে নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্প নিয়ে গঠনমূলক ভাবনা-চিন্তার কথা বললেন । নাকি আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি পাট শিল্পের উন্নতি চান তা দেখতে হবে । মন্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর।
এক সময় এ রাজ্যে পাট শিল্প অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাট রপ্তানি করা হত । পাটের উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল পশ্চিমবঙ্গের । ধীরে ধীরে পাট শিল্প রুগ্ন হতে শুরু করে। বন্ধ হতে থাকে দেশ এবং রাজ্যের বিভিন্ন চটকল ।
প্রধানমন্ত্রীকে এরাজ্যের পাট শিল্প সম্পর্কে গঠনমূলক চিন্তাভাবনা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি । একইসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘ ছ'বছর বাদে বাংলার কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী । চটকলগুলি বন্ধ হয়ে শ্রমিকরা বেকার হয়ে গিয়েছেন । বহু শ্রমিক BJP-র শাসনকালে দেশজুড়ে আত্মহত্যা করেছে । এখন প্রধানমন্ত্রীর হুঁঁশ ফিরেছে । তিনি পশ্চিমবঙ্গের ছোটো শিল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেন সোমেন মিত্র । তিনি বলেন, “ নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্প নিয়ে গঠনমূলক ভাবনা-চিন্তার কথা বললেন । নাকি আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি পাট শিল্পের উন্নতি চান তা দেখতে হবে । বন্ধ চটকল খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী পদক্ষেপ কী, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ । একদা বাংলায় চট শিল্পের উজ্জ্বল অধ্যায় ছিল । পাট চাষিদের উৎসাহ ভাতা দিন প্রধানমন্ত্রী । তাহলে ফের পশ্চিমবঙ্গ পাট চাষে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে । বন্ধ চটকলগুলি খোলার ব্যবস্থা করুন । কৃষিমন্ত্রকের উচিত, উন্নত মানের পাট বীজ কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা । তাহলে পাট চাষে পশ্চিমবঙ্গ উল্লেখযোগ্য স্থান ফিরে পাবে । উৎসাহিত হবেন পাট চাষিরা । রাজ্যের শিল্পাঞ্চলগুলির চেহারা ফিরে যাবে, যদি চটকলগুলি পুনরুজ্জীবিত হয় ।”
তিনি আরও বলেন, " প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যি বাংলার মৃতপ্রায় চটশিল্পের পুনরুজ্জীবন চান । তবে সর্বাগ্রে শ্রমিক সমস্যা মিটিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বন্ধ চটকলগুলি খোলার ব্যবস্থা করতে হবে । সরকারি উদ্যোগে পাট চাষিদের পাশে দাঁড়াতে হবে । যদি এগুলি প্রধানমন্ত্রী না করেন, তবে স্রেফ নির্বাচনী প্রচার হয়ে থেমে থাকবে । বাংলার আদৌ কোনও উপকার হবে না ।"