কলকাতা, 15 জুন : রাস্তার ধারে 'মুক্ত লাইব্রেরি' ৷ উদ্যোক্তা উত্তর কলকাতার বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবী মহম্মদ তৌসিফ রহমান ৷ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুখে বাসস্টপের একধারে এই মুক্ত লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন তিনি ৷ এর আগে কলকাতা পৌরনিগমের পার্কের নিরাপত্তাকর্মী ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন মুক্ত লাইব্রেরি তৈরি করেছিলেন ৷ মুক্ত লাইব্রেরি খুব দ্রুত পথচলতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে (Road Side Open Library in Alimuddin Street) ৷
মহম্মদ তৌসিফ রহমান সপ্তাহখানেক আগে রাস্তার পাশে মুক্ত লাইব্রেরি খোলেন ৷ বাসস্টপের ধারে হওয়ায় পথচলতি মানুষের পাশাপাশি বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদেরও নজর এড়ায়নি এই গ্রন্থাগার ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মতো, কলকাতায় বেশ কয়েক বছরে সরকারি ও বেসরকারি বহু লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ দোসর ডিজিটাল কনটেন্ট ৷ দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং মাল্টি-মিডিয়ার যুগে লাইব্রেরি দূরস্ত, সাধারণ বইয়ের পাতা উল্টানোর অভ্যেসও চলে গিয়েছে মানুষের ৷
উদ্যোক্তা তৌসিফ রহমান জানান, বই পড়ার সেই অভ্যেস ফিরিয়ে আনতে কিছুটা হলেও সাহায্য করেছে রাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা এই মুক্ত বইঘর ৷ তাঁর মতে, বই পড়া বাঙালির সংস্কৃতি ৷ ডিজিটাল যুগে ধীরে ধীরে তা ভুলতে বসেছে সবাই ৷ তাঁর এই উদ্যোগ যদি কিছু মানুষকে আবারও বইমুখী করতে পারে, সেই কথা ভেবে এই 'রোড সাইড ওপেন লাইব্রেরি' খুলেছেন তিনি ৷ আগামী দিনে শহরের বিভিন্ন বাসস্টপে তিনি এই মুক্ত লাইব্রেরি খুলতে চান ৷ যেখানে বাসের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীরা ওই সময়ে বই পড়বেন ৷ এর জন্য কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমে সঙ্গে কথা বলে এমন আরও গ্রন্থাগার খোলার অনুমতি চাইবেন বলে ই-টিভি ভারতকে জানিয়েছেন তৌসিফ ৷
আরও পড়ুন: Drinking Water for Labours : গরমে পথচলতি মানুষের তেষ্টা মেটাতে জলসত্রের ব্যবস্থা তৌসিফ রহমানের
এই লাইব্রেরিতে ছোটদের পত্রিকা, গল্প ও ছড়ার বই রয়েছে ৷ পাশাপাশি রয়েছে বড়দের জন্য বই ৷ এ ছাড়া আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, আব্দুল কালাম আজাদের বইও ৷ আছে আধুনিক লেখক এবং কবিদের বই-উপন্যাস ৷ ভাষার ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য রেখেছেন তৌসিফ ৷ বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু ভাষার বই পাওয়া যাবে রাস্তার ধারের খোলামেলা বইঘরে ৷
বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রীকে আহমেদ জানান, তিনি প্রথমবার এই মুক্ত লাইব্রেরি দেখলেন ৷ প্রথমদিন এখানে রাখা বইগুলি খুঁটিয়ে দেখেছেন তিনি ৷ এরপর এই বাসস্টপে এলে বইগুলি পড়বেন বলে জানালেন আহমেদ ৷ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন যাত্রী ৷