কলকাতা, 23 অগাস্ট : প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ আগেই করা হয়েছিল । তার ভিত্তিতে অনুসন্ধানও চালানো হচ্ছে । কিন্তু তারপরও থেকে গিয়েছিল বেশ কিছু প্রশ্ন । তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, গাড়ি চালানোর সময় আদৌ কি মাদকাসক্ত ছিলেন রাঘিব? আজ এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাঘিবের সল্টলেকের ওই বন্ধুকে । তাঁকে নিয়েই চলল ঘটনার পুনর্নির্মাণ । পুলিশ সূত্রে খবর, এই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য । তবে সেসব এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না গোয়েন্দারা ।
ওই গাড়িতে একা ছিলেন না রাঘিব পারভেজ । ছিলেন তাঁর এক বন্ধুও । ওই বন্ধুর বাড়ি সল্টলেকে । ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী তিনি । যদিও এই দুর্ঘটনায় রাঘিবের ওই বন্ধুর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না এখনও পর্যন্ত জানতে পারেননি তদন্তকারীরা । জানা গেছে, দুর্ঘটনার আগে একটি জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন দু'জনে । মধ্য কলকাতার একটি নামী স্কুলের প্রিন্সিপালের ছেলের জন্মদিন ছিল সেদিন । সেই পার্টিতে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ যান রাঘিব । সেখানেই সল্টলেকের ওই বন্ধুকে বলেন বাড়ি ছেড়ে দেবেন । যদিও ওই বন্ধু জানিয়েছিলেন, তাঁকে মল্লিক বাজার ছেড়ে দিলেই হবে । সেখান থেকে তিনি অ্যাপ ক্যাবে বাড়ি চলে যাবেন । সেই কথা মতই তাঁরা জাগুয়ার চড়ে রওনা দিয়েছিলেন ৷ তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই দু'জনের এক কমন ফ্রেন্ডের ফোন আসে । তিনি ডাকেন দু'জনকেই । সেই কারণেই তাঁরা পার্ক স্ট্রিটের দিকে গিয়েছিলেন । কিন্তু সেই বন্ধুর সঙ্গে আর দেখা হয়নি । তখন গাড়িতে থাকা বন্ধুকে সল্টলেক নামিয়ে দিয়ে আসবেন বলে রওনা দেন লাউডন স্ট্রিট ধরে । আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাঘিব জেরায় জানিয়েছেন এমন তথ্যই । রাঘিবের বন্ধুও একই ধরনের কথা জানিয়েছে পুলিশকে ।
গাড়িতে থাকা এয়ার ব্যাগ যদি চালককে বাঁচায় তবে তারও চিহ্ন থাকে । বেশ কিছুক্ষণ ধরে রোদে পোড়ার মত মুখ লাল হয়ে যায় । মুখমণ্ডলের চারপাশে স্প্লিনটার ইনজুরির মতো দাগ হয়ে যায় ৷ গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সেটি সিলিকনের দাগ । রাঘিবের বন্ধুর মুখেও ওই দাগ পেয়েছে পুলিশ । তাঁর মেডিকেল টেস্টও করা হয়েছে ।