কলকাতা, ২৩ মার্চ : "এখন আগ্নেয়াস্ত্র ধরা পরল। এর আগে RDX ধরা পড়েছে। ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র ধরা পড়ছে নির্বাচনের আগে। ওরা মানুষের বুদ্ধি বিবেচনা নীতি-আদর্শের উপর নয় বরং অর্থবল এবং বাহুবলের উপর নির্ভর করে নির্বাচন করতে চাইছে। ওদের কাছে অস্ত্রবল এবং বাহুবলই সম্বল। তবে অস্ত্র শেষ কথা বলে না। মানুষ শেষ কথা বলে। মানুষ সমবেত হলে সব অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যাবে।" ETV ভারতের প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তরে এই প্রতিক্রিয়া দিলেন CPI(M) নেতা রবিন দেব।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভার কংগ্রেসের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "ডেঞ্জারাস ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনকে আমরা এখনই জানাব। অবিলম্বে কমিশনের বাজেয়াপ্ত করা উচিত এই অস্ত্র। CRPF এবং সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে কম্বিং অপারেশন করা হোক। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অতীতে এ রাজ্যে নির্বাচনের আগে অস্ত্রের এমন ব্যাপক হারে আমদানি ছিল না। এর অনুসন্ধান করা উচিত। শুধুমাত্র কালো টাকা উদ্ধার নয় অস্ত্র উদ্ধার করাটাও নির্বাচন কমিশনের কাজ। CRPF ও গোয়েন্দা বিভাগকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক। অবিলম্বে এই হিংসাত্মক বিষয় বন্ধ করা দরকার।"
লোকসভা ভোটের আগে ধরা পড়ছে অস্ত্রশস্ত্র। এই খবর প্রকাশিত হয়েছে ETV ভারতে। বিহারের সীমান্তবর্তী এলাকা মুঙ্গের এবং কিষাণগঞ্জ থেকে উত্তরবঙ্গে ঢুকছে পাইপ গান, 9mm ও তাজা কার্তুজ। 'সামান' বললেই আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। বিকোচ্ছেও চড়া দামে। মূলত, কোচবিহার থেকে মালদার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র। মিলছে কম্বো অফার, পাইপগান বা 9mm কিনলে কার্তুজ ফ্রি। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আরও বেশি নজরদারির প্রয়োজনে নাকা তল্লাশির পরামর্শ দিয়েছেন বাম এবং কংগ্রেসের এই দুই প্রবীণ নেতা।