কলকাতা, 22 জুলাই: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মী এবং নেতাদের বার্তা দিয়েছিলেন, ইডির কর্তারা (ED raid in SSC Recruitment Scam) বাড়িতে এলে তাঁদের মুড়ি দিয়ে অভ্যর্থনা করুন (Paresh-Firhad on ED Raid)। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই দেখা গেল আজ সক্রিয় হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । একইসঙ্গে একই দিনে 13 টি জায়গায় তারা অভিযান চালাচ্ছে । আর সেখানেই বড় হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর সেই উপদেশ দেওয়া মুড়ির প্রসঙ্গ ।
এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী-সহ যে প্রথম সারির তৃণমূল নেতৃত্বের বাড়িতে ইডি গিয়েছে, তারা কি আধিকারিকদের মুড়ি দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ? পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অন্যান্য নেতারা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Chandra Adhikary) জানিয়েছেন, আপাতত তিনি কলকাতাতেই রয়েছেন । তাঁর বাড়িতে কি ঘটছে তা তিনি জানতে পারছেন না । বাড়ির লোকেদের সঙ্গেও এই মুহূর্তে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না । তবে তাঁর বক্তব্য, তিনি যদি বাড়িতে উপস্থিত থাকতেন - সে ক্ষেত্রে দলনেত্রীর দেখানো পথেই মুড়ি দিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের অভ্যর্থনা জানাতেন তিনি ।
এ দিন পরেশ অধিকারী এই ইডির অভিযান নিয়ে সেভাবে কোনও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একুশে জুলাইয়ের পরের দিনই ইডির সক্রিয়তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসাবে দেখছেন তিনি । এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "হাইকোর্টের নির্দেশকে কেন্দ্রীয় সরকার অপব্যহার করছে । হাইকোর্ট অকারণে মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করতে বলেনি । হাইকোর্ট সিবিআইয়ের কথা বলেছে । এর মধ্যে আর্থিক দুর্নীতিতে ইডিকে ময়দানে নামানো হয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেসকে বেইজ্জত করার জন্য এ সব করা হচ্ছে । ইডির এ ভাবে তৎপরতা আগে দেখিনি । বিজেপি আসার পরে ইডিকে দিয়ে রাজনৈতিক মানুষজনকে হ্যারাস করা হচ্ছে । এমনিতে বাংলায় তো বিজেপির কোনও শক্তি নেই । তাই বাংলায় বিজেপির শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইডি ।"
আরও পড়ুন: সাতসকালে পার্থ-পরেশ-শান্তি প্রসাদের বাড়িতে ইডি, রাজ্যের 13 জায়গায় তল্লাশি
এখানেই শেষ নয়, ফিরহাদ মনে করেন, "যেহেতু গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বৈরাচারী বলা হয়েছে, 24-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দেশ থেকে বিদায় হবে বলা হয়েছে, তাই আজ থেকেই আবার ইডি সক্রিয় হয়েছে । শুরু হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ।"
যদিও এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি একটি কথাও বলবেন না ।