ETV Bharat / city

নার্সিং ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, ইংরেজিতে পাঠ্যক্রম বুঝতে না পেরে ভুগছিলেন অবসাদে

নার্সিংয়ের এক ছাত্রীর শনিবার ভোরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । কলেজের হস্টেলে ডরমিটরিতে আজ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ।ওই ছাত্রীর নাম সমাপ্তি রুইদাস (17)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদের জেরে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে । ঘটনাস্থান থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে । ​​​​​​​

নার্সিং-পড়ুয়ার আত্মহত্যা
author img

By

Published : Nov 16, 2019, 10:24 PM IST

কলকাতা, 16 নভেম্বর: কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নার্সিংয়ের এক ছাত্রীর শনিবার ভোরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । কলেজের হস্টেলে ডরমিটরিতে আজ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ।ওই ছাত্রীর নাম সমাপ্তি রুইদাস (17)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদের জেরে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে । ঘটনাস্থান থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে ।

বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা ছিলেন সমাপ্তি । নার্সিংয়ের জন্য GNM কোর্সে ভরতি হয়েছিলেন তিনি । সূত্রের খবর, নার্সিংয়ের পেশায় সমাপ্তি আসতে চাননি । তাঁর পড়াশোনার জন্য না কি পরিবারকে প্রায় 5 লাখ টাকা ধার করতে হয়েছিল । তা ছাড়া বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী সমাপ্তির নার্সিংয়ের ইংরেজি পাঠ্যক্রম বুঝতেও না কি সমস্যা হচ্ছিল । তাই সমাপ্তি বাড়ি ফিরে যেতে চাইছিলেন ।

কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাক্তার বিমলবন্ধু সাহা বলেন, "সমাপ্তি রুইদাস GNM-এর পড়ুয়া ছিলেন । বেঙ্গলি মিডিয়াম থেকে আসার জন্য ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে তিনি সমস্যায় পড়েছিলেন । এই জন্য তিনি বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলেন । এই সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁর কাউন্সেলিংও করানো হয়েছিল ।"

সুপার বলেন, "আমরা বুঝতে পারছি না কোথা থেকে এই 5 লাখ টাকার বিষয়টি এল ? সরকারি কলেজে পড়াশোনার জন্য কোনও টাকা লাগে না ।"এদিকে, সমাপ্তির আত্মহত্যার জেরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ নার্সিংয়ের পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন । এই বিষয়ে সুপার বলেন, "বেঙ্গলি মিডিয়াম থেকে আসা নার্সিংয়ের যে কোনও পড়ুয়ার ক্ষেত্রে প্রথমদিকে ইংরেজির জন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে । এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক । আগামীতে আমরা নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি ।"

কলকাতা, 16 নভেম্বর: কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নার্সিংয়ের এক ছাত্রীর শনিবার ভোরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । কলেজের হস্টেলে ডরমিটরিতে আজ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ।ওই ছাত্রীর নাম সমাপ্তি রুইদাস (17)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদের জেরে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে । ঘটনাস্থান থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে ।

বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা ছিলেন সমাপ্তি । নার্সিংয়ের জন্য GNM কোর্সে ভরতি হয়েছিলেন তিনি । সূত্রের খবর, নার্সিংয়ের পেশায় সমাপ্তি আসতে চাননি । তাঁর পড়াশোনার জন্য না কি পরিবারকে প্রায় 5 লাখ টাকা ধার করতে হয়েছিল । তা ছাড়া বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী সমাপ্তির নার্সিংয়ের ইংরেজি পাঠ্যক্রম বুঝতেও না কি সমস্যা হচ্ছিল । তাই সমাপ্তি বাড়ি ফিরে যেতে চাইছিলেন ।

কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাক্তার বিমলবন্ধু সাহা বলেন, "সমাপ্তি রুইদাস GNM-এর পড়ুয়া ছিলেন । বেঙ্গলি মিডিয়াম থেকে আসার জন্য ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে তিনি সমস্যায় পড়েছিলেন । এই জন্য তিনি বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলেন । এই সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁর কাউন্সেলিংও করানো হয়েছিল ।"

সুপার বলেন, "আমরা বুঝতে পারছি না কোথা থেকে এই 5 লাখ টাকার বিষয়টি এল ? সরকারি কলেজে পড়াশোনার জন্য কোনও টাকা লাগে না ।"এদিকে, সমাপ্তির আত্মহত্যার জেরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ নার্সিংয়ের পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন । এই বিষয়ে সুপার বলেন, "বেঙ্গলি মিডিয়াম থেকে আসা নার্সিংয়ের যে কোনও পড়ুয়ার ক্ষেত্রে প্রথমদিকে ইংরেজির জন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে । এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক । আগামীতে আমরা নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি ।"

Intro:কলকাতা, ১৬ নভেম্বর: একদিকে, বেঙ্গলি মিডিয়ামের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকার কারণে ইংরেজি ভাষা বুঝতে না পারার অক্ষমতা। যার জেরে পড়াশোনার প্রতি অনীহা। এবং, অন্যদিকে, পড়াশোনার জন্য পরিবারের উপর ৫ লক্ষ টাকা ধারের বোঝা। এই ধরনের পরিস্থিতিতে নার্সিংয়ের কোর্সের সঙ্গে নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারছিলেন না সমাপ্তি রুইদাস (১৭)। অথচ, পরিবারের ইচ্ছা, এই কোর্স করে নার্সিংয়ের পেশায় তিনি যেন ভবিষ্যতে নিজেকে দাঁড় করাতে পারেন। তবে, শেষ রক্ষা হল না। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নার্সিংয়ের এই ছাত্রী শনিবার ভোররাতে আত্মহত্যা করেন। এদিকে, এই ধরনের ঘটনা আগামী দিনে এড়ানোর লক্ষ্যে নার্সিংয়ের পড়ুয়াদের জন্য এবার নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Body:বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা ছিলেন সমাপ্তি রুইদাস। বাড়িতে রয়েছেন মা, বাবা, এক বোন এবং এক ভাই। বাবা কাঠের মিস্ত্রি। নার্সিংয়ের GNM কোর্সে ভরতি হয়েছিলেন তিনি। ভরতির পরে পুজোর ছুটি, তার পরে আবার কয়েকদিন দিন ক্লাসের পরে কালীপুজো-ভাইফোঁটা জন্য ছুটি। এর পর আবার ক্লাস করার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন সমাপ্তি রুইদাস। তাঁর মৃত্যুর কথা জানার পরে, কেন এই ধরনের অঘটনের সম্মুখীন হতে হল, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন নার্সেস ইউনিটির প্রতিনিধিরা। সমাপ্তির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতেও এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন। নার্সদের এই সংগঠনের সেক্রেটারি পার্বতী পাল বলেন, "সব মিলিয়ে ১৮-২০ দিনের মতো ক্লাস করেছেন সমাপ্তি রুইদাস। এই অল্প সময়ের মধ্যে টিচারদের সঙ্গে তাঁর সেভাবে সম্পর্ক গড়ে ওঠার সুযোগ হয়নি।" তিনি বলেন, "সমাপ্তি বড় হতে এসেছিলেন। এই ঘটনা দুঃখজনক।" পার্বতী পাল বলেন, "সমাপ্তি রুইদাসকে নার্সিংয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া এখনই বলা যায় না। এই অবস্থাকে বলে প্রিলিমিনারি ট্রেনিং স্টুডেন্ট (PTS)।"

কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সমাপ্তি রুইদাস, তা সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই সুইসাইড-নোট তাঁর বালিশের নিচে রয়েছে, সেটা তিনি তাঁর হাতে লিখে রেখেছিলেন। এই লেখা দেখে সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। কী লেখা রয়েছে ওই সুইসাইড নোটে? সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে সমাপ্তি রুইদাস জানিয়েছেন, নার্সিংয়ের পেশায় তিনি আসতে চাননি। তার উপর পড়াশোনার জন্য অনেক টাকা তাঁর বাবাকে ধার করতে হয়েছে। এখানে ভালো লাগছিল না তাঁর। তিনি বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু, তাঁর মা-বাবা বলতেন, নার্সিংয়ের এই কোর্স সম্পূর্ণ করে তিনি যেন নিজের পায়ে দাঁড়ান। শুধুমাত্র এমনও নয়। সূত্রের খবর, নার্সিংয়ের পড়াশোনা বুঝতে পারছিলেন না সমাপ্তি রুইদাস। বাবা কীভাবে ৬০ লক্ষ টাকা ধার শোধ করবেন, তা নিয়েও তিনি চিন্তায় ছিলেন। এদিকে, বেঙ্গলি মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছেন তিনি। নার্সিংয়ের কোর্সে তাঁকে ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে হচ্ছে‌। ভাষাগত এই সমস্যার কারণেও এই কোর্সের প্রতি তাঁর অনীহা জন্মেছিল।

জানা গিয়েছে, হস্টেলের রুমটিতে সংস্কারের কাজ চলছে বলে শুক্রবার রাতে সমাপ্তি রুইদাস সহ নার্সিংয়ের ১১ পড়ুয়া একটি ডরমিটরিতে শুয়েছিলেন। সকলের নজর এড়িয়ে শনিবার ভোরে এই ডরমিটরির সামনের রেলিং থেকে চোখে-মুখে এবং গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ঝুলে পড়েন সমাপ্তি রুইদাস। পৌনে ছটা নাগাদ এই ঘটনা অন্যদের নজরে পড়ে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট, ডাক্তার বিমলবন্ধু সাহার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সমাপ্তি রুইদাস GNM-এর পড়ুয়া ছিলেন। বেঙ্গলি মিডিয়াম থেকে আসার জন্য ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে তিনি সমস্যায় পড়েছিলেন। এই জন্য তিনি বাড়িতে চলে যেতে চেয়েছিলেন। এই সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁর কাউন্সেলিং করানো হয়েছিল।"
Conclusion:পড়াশোনার জন্য ৫ লক্ষ টাকা ধারের কথা বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, "আমরা বুঝতে পারছি না কোথা থেকে এই ৫ লক্ষ টাকার বিষয়টি এল। সরকারি কলেজে পড়াশোনার জন্য টাকা লাগে না।" তিনি বলেন, "কোথায় এত বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করা হয়েছে, কেন ধার নেওয়া হয়েছে, এই বিষয়গুলি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। হয়তো এমন হয়েছিল, গরিবের পরিবারে এর আগে পড়াশোনার জন্য টাকা ধার করতে হয়েছে।" এদিকে, সমাপ্তি রুইদাসের আত্মহত্যার জেরে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নার্সিংয়ের পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এই বিষয়ে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, "বেঙ্গলি মিডিয়াম থেকে আসা নার্সিংয়ের কোনও পড়ুয়ার ক্ষেত্রে প্রথমদিকে ইংরেজির জন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আগামী দিনে আমরা নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।" এই কাউন্সেলিং যেমন টিচারদের তরফে করানো হবে। তেমনই, এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রশাসনের তরফে করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের সময় থাকবেন মনোবিদ। শুধুমাত্র তাই নয়। নার্সিংয়ের টিচাররা যখন পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং করবেন, সেই সময় এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রশাসনকে তা জানাতে হবে বলেও জানা গিয়েছে।
_____
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.