ETV Bharat / city

জুলাই থেকে পূর্ব রেলে বাড়ছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা, পালটাচ্ছে সময়সূচি - Howrah

1 জুলাই থেকে কার্যকর হবে পূর্ব রেলের নতুন সময়সূচি । যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কিছু স্পেশাল ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল ।

ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jun 30, 2019, 10:44 AM IST

কলকাতা, 30 জুন: যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কিছু স্পেশাল ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল । এছাড়া বাড়ানো হয়েছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা । সেই সঙ্গে 1 জুলাই থেকে কার্যকর হবে পূর্ব রেলের নতুন সময়সূচি ।

পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের লক্ষ্মীকান্তপুর ও ক্যানিং শাখায় 6টি নতুন EMU চালানো হবে । সেগুলি হল লক্ষ্মীকান্তপুর-সোনারপুর (34333), সোনারপুর-ক্যানিং (34362), ক্যানিং-সোনারপুর (34357), সোনারপুর-ডায়মন্ড হারবার (34884), ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদা (34861), শিয়ালদা-সোনারপুর (34438) । পাশাপাশি 5টি লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হয়েছে । বর্ধমান-ব্লগনা-বর্ধমান লোকালটি 1 জুলাই থেকে কাটোয়া পর্যন্ত পরিষেবা দেবে । শিয়ালদা-সোনারপুর (34422) লোকাল লক্ষ্মীকান্তপুর পর্যন্ত যাবে । হাসনাবাদ-প্রিন্সেপ ঘাট (30324) লোকাল মাঝেরহাট পর্যন্ত যাবে ও BBD বাগ-শিয়ালদা লোকাল (30451) বারুইপুর পর্যন্ত যাবে ।

আরও পড়ুন : চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পিষ্ট কিশোরী, দু'ঘণ্টা রেল অবরোধ নুঙ্গিতে

নতুন একটি হল্ট স্টেশন চালু করা হয়েছে । ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় বাঁশবেড়িয়া ও ত্রিবেণীর মধ্যে ইসলামপাড়া হল্ট স্টেশন দেওয়া হয়েছে । হাওড়া-কাটোয়া লোকাল (37923) ও কাটোয়া-হাওড়া লোকাল (37916) এই হল্ট স্টেশনে থামবে । পাশাপাশি হাওড়া ডিভিশনে রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট স্পেশাল MEMU চালানো হবে । এছাড়া হাওড়া-তারকেশ্বর, তারকেশ্বর-শেওড়াফুলি, আরামবাগ-তারকেশ্বর স্টেশনের মধ্যে 10টি EMU স্পেশাল চালানো হবে । শিয়ালদা ডিভিশনে বারাসাত-হাসনাবাদ, ঘুঁটিয়ারি শরিফ-সোনারপুর, রানাঘাট-বনগাঁ, রানাঘাট-লালগোলা, রানাঘাট-গেদে, শিয়ালদা-বারুইপুর এবং সোনারপুর-চাম্পাহাটি স্টেশনের মধ্যে মোট 12 টি EMU স্পেশাল নিয়মিত চলাচল করবে।

আরও পড়ুন : একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ারের

কিছু ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে পূর্ব রেল । 12307 হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে রাত 11টা 35 মিনিটের বদলে 11টা 40 মিনিটে ছাড়বে । 22309 হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক) রাত 11টা 05 মিনিটে ছাড়ার পরিবর্তে রাত 11টায় ছাড়বে । 15959 হাওড়া-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে বিকেল 5টা 35 মিনিটের বদলে সন্ধে 6টা ছাড়বে । 13104 লালগোলা-শিয়ালদা-ভাগীরথী এক্সপ্রেস লালগোলা থেকে সকাল 5টা 35 মিনিটের বদলে 5টা 40 মিনিটে ছাড়বে । 13118 লালগোলা-কলকাতা এক্সপ্রেস লালগোলা থেকে সকাল 6টা 45 মিনিটে ছাড়ার বদলে সকাল 7 টায় ছাড়বে। এছাড়া শিয়ালদা বিভাগের তিনটি প্যাসেঞ্জার, হাওড়া ডিভিশনের পাঁচটি প্যাসেঞ্জার, মালদা ডিভিশনের দুটি ট্রেন এবং আসানসোল ডিভিশনের একটি ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হবে । পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

কলকাতা, 30 জুন: যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কিছু স্পেশাল ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল । এছাড়া বাড়ানো হয়েছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা । সেই সঙ্গে 1 জুলাই থেকে কার্যকর হবে পূর্ব রেলের নতুন সময়সূচি ।

পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের লক্ষ্মীকান্তপুর ও ক্যানিং শাখায় 6টি নতুন EMU চালানো হবে । সেগুলি হল লক্ষ্মীকান্তপুর-সোনারপুর (34333), সোনারপুর-ক্যানিং (34362), ক্যানিং-সোনারপুর (34357), সোনারপুর-ডায়মন্ড হারবার (34884), ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদা (34861), শিয়ালদা-সোনারপুর (34438) । পাশাপাশি 5টি লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হয়েছে । বর্ধমান-ব্লগনা-বর্ধমান লোকালটি 1 জুলাই থেকে কাটোয়া পর্যন্ত পরিষেবা দেবে । শিয়ালদা-সোনারপুর (34422) লোকাল লক্ষ্মীকান্তপুর পর্যন্ত যাবে । হাসনাবাদ-প্রিন্সেপ ঘাট (30324) লোকাল মাঝেরহাট পর্যন্ত যাবে ও BBD বাগ-শিয়ালদা লোকাল (30451) বারুইপুর পর্যন্ত যাবে ।

আরও পড়ুন : চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পিষ্ট কিশোরী, দু'ঘণ্টা রেল অবরোধ নুঙ্গিতে

নতুন একটি হল্ট স্টেশন চালু করা হয়েছে । ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় বাঁশবেড়িয়া ও ত্রিবেণীর মধ্যে ইসলামপাড়া হল্ট স্টেশন দেওয়া হয়েছে । হাওড়া-কাটোয়া লোকাল (37923) ও কাটোয়া-হাওড়া লোকাল (37916) এই হল্ট স্টেশনে থামবে । পাশাপাশি হাওড়া ডিভিশনে রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট স্পেশাল MEMU চালানো হবে । এছাড়া হাওড়া-তারকেশ্বর, তারকেশ্বর-শেওড়াফুলি, আরামবাগ-তারকেশ্বর স্টেশনের মধ্যে 10টি EMU স্পেশাল চালানো হবে । শিয়ালদা ডিভিশনে বারাসাত-হাসনাবাদ, ঘুঁটিয়ারি শরিফ-সোনারপুর, রানাঘাট-বনগাঁ, রানাঘাট-লালগোলা, রানাঘাট-গেদে, শিয়ালদা-বারুইপুর এবং সোনারপুর-চাম্পাহাটি স্টেশনের মধ্যে মোট 12 টি EMU স্পেশাল নিয়মিত চলাচল করবে।

আরও পড়ুন : একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ারের

কিছু ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে পূর্ব রেল । 12307 হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে রাত 11টা 35 মিনিটের বদলে 11টা 40 মিনিটে ছাড়বে । 22309 হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক) রাত 11টা 05 মিনিটে ছাড়ার পরিবর্তে রাত 11টায় ছাড়বে । 15959 হাওড়া-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে বিকেল 5টা 35 মিনিটের বদলে সন্ধে 6টা ছাড়বে । 13104 লালগোলা-শিয়ালদা-ভাগীরথী এক্সপ্রেস লালগোলা থেকে সকাল 5টা 35 মিনিটের বদলে 5টা 40 মিনিটে ছাড়বে । 13118 লালগোলা-কলকাতা এক্সপ্রেস লালগোলা থেকে সকাল 6টা 45 মিনিটে ছাড়ার বদলে সকাল 7 টায় ছাড়বে। এছাড়া শিয়ালদা বিভাগের তিনটি প্যাসেঞ্জার, হাওড়া ডিভিশনের পাঁচটি প্যাসেঞ্জার, মালদা ডিভিশনের দুটি ট্রেন এবং আসানসোল ডিভিশনের একটি ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হবে । পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

Intro:পশ্চিমবঙ্গের ভূগর্ভস্থ জল বা মাটির নিচে জলের যে অবস্থা তার সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় নীতি আয়োগের প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে ভারতে 2020 সালের মধ্যেই বহু শহরে ভূগর্ভস্থ জলের সংকট দেখা দেবে এবং 2030 সালের মধ্যে বহু শহরে ব্যাপক পানীয় জলের অভাব দেখা দেবে।




Body:হাইড্রোজিওলজিস্ট সুজিত চৌধুরী বলেন, "গোটা চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যত পরিমানে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করে থাকে তার দ্বিগুণ জল গোটা ভারতবর্ষ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে।" নিঃসন্দেহে পরিসংখ্যানটি যথেষ্ট চিন্তার উদ্রেক ঘটায়।

সুজিত চৌধুরী বলেন শুধু একটি ঘটনাকে এর জন্য দায়ী করলে চলবে না, অনেকগুলি ঘটনার মিশেলে ভূগর্ভস্থ জলের অভাবের সৃষ্টি করছে। তবে বঙ্গবাসীদের জন্য সুখবর হল বিভিন্ন গবেষকের মতে দিল্লী, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই বা বেঙ্গালুরুতে জলের অভাব প্রকটভাবে দেখা দিলেও সে অবস্থায় পৌঁছতে পশ্চিমবঙ্গে এখনও অনেকটা দেরি। এখানে একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হল ভারত মহাদেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতা অনেকটাই নবীন। অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়মে পলি মাটির স্তর পরে সবথেকে শেষে গড়ে উঠেছে এই অঞ্চলটি। পাশাপাশি এখানে যেহেতু পলিমাটির স্তরটি বেশ মোটা তাই জলের অভাব এখনও আমরা তেমনভাবে নেই। তবে এও মনে রাখতে হবে যে পোলিমাটি থাকলেই যে তা জল ধারণ কোর্টেড পারবে তেমনটা নয় কারণ সবরকমের পোলি বা বেলে মাটির জল ধারণ ক্ষমতা থাকে না।

বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে সারা বিশ্বে ভূগর্ভস্থ স্বচ্ছ জলের মাত্রা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। অতিরিক্ত জলের ব্যবহারের ফলে মাটির নিচের জল যেমন কমছে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানারকম রাসায়নিক বিষক্রিয়া, বিশেষ করে আর্সেনিক, ইউরেনিয়াম ও ক্লোরাইড।

পশ্চিমবঙ্গে আর্সেনিকের বিষক্রিয়া একটি বড় ভাবনার বিষয়। সবচেয়ে বেশি বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গের 24-পরগনা এলাকায় যেসব অঞ্চলে। যেসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে অগভীর নলকূপ রয়েছে সেসব এলাকায় জলে আর্সেনিকের পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে।
মাটির নিচে 300 ফুট পর্যন্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে যেসব জায়গায় মোটা মাটির আস্তর নেই সেইসব এলাকায় মাটির ওপরের থাকা জলের আর্সেনিক শুষে অনেক নিচ অব্দি পৌঁছে যায়।

পাশাপাশি শহরের বহু অঞ্চলে আবার ভূগর্ভস্থ জলে কোথাও নুন বা কোথাও আয়রনের আধিক্য রয়েছে।

সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ডের সদস্য ড.এস পি সিনহা রায় বলেন, " ভূগর্ভস্থ জল তুলে ব্যবহার করা বেশ সহজ বলে আমাদের শহরের বেশিরভাগ বাড়িতে ও বিল্ডিং-গুলিতে ব্যাপক পরিমানে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে মাটির নিচের জলে টান পড়ছে ধীরে ধীরে কমে আসছে মাটির নিচে জল।" পরিসংখ্যান বলছে 1988 সালে ভূগর্ভস্থ জলের যা লেভেল ছিল সেই লেভেল বেশ কয়েকটি অঞ্চলে যেমন পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস ও ই এম বাইপাসের সংলগ্ন এলাকার মাটির নিচের জল এখন 8 থেকে 10 মিটার নীচে নেমে গেছে।" তিনি বলেন তাই এই সব বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কম করে গঙ্গার জল ব্যবহার করা হবে তার জায়গায়। মাটির নিচের জলের ব্যবহার কম করে বিকল্প জল ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে। মনে রাখতে হবে ভূগর্ভস্থ জল আমরা ঠিক যতটা ব্যবহার করছি সেটাকে আবার ভড়তেও সাহায্য করতে হবে ঠিক যেমনভাবে আমরা ব্যাংকে টাকা জমাই।

দক্ষিণবঙ্গে নদী বাঁচাও বা রিভার ঋজুভিনেশনের প্রকল্প অরু হয়েছে। প্রকল্পটির নাম ঊষর মুক্তি প্রোগ্রাম। তবে দক্ষিণবঙ্গে জল সংরক্ষনের তেমনভাবে সচেতনতা বা প্রজেক্ট শুরু হয়নি। তবে একটা কথা খুব সহজেই বলা যায় যে মাটির তলার জল টেনে তুলে তা ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে এবং বিকল্প জলের ব্যবস্থাকে আরো বাড়াতে হবে।

শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রেই নয় ভূগর্ভস্থ জল আমাদের পানীয় জল থেকে শুরু করে চাষবাসের সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ফলে আমরা যে শাকসবজি ফলমূল খাই তাও সম্পূর্ণভাবে আর্সেনিক মুক্ত নয়।

বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন মাটির তলা থেকে যত বেশি পরিমাণে জল তুলে নেওয়া হবে মাটির উপরের স্তরের স্থিতাবস্থা ব্যালেন্স ততো দ্রুত নষ্ট হতে থাকবে এবং এমনটা যদি চলতে থাকে তাহলে মাটি এবং তার ওপরে নির্মিত ঘরবাড়ি সবকিছুই ধসে পড়বে একদিন


Conclusion:তাই সময় থাকতেই জলের যথেচ্ছ অপচয় বন্ধ করতে হবে, কারণ ভূপৃষ্ঠে যত পরিমানে জল থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি জল খরচ হচ্ছে।

আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জল ব্যবহারের ব্যাপারে আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ দেখাতে হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.