ETV Bharat / city

রাজ্য ভুল তথ্য দিচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকদের - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে রাজ্য সরকার ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ৷ একই অভিযোগ শোনা গেল প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকদের গলাতেও ৷

Non resident doctors sent letter to CM over misreporting of corona data
মমতাকে চিঠি
author img

By

Published : Apr 23, 2020, 2:25 PM IST

Updated : Apr 24, 2020, 12:34 PM IST

কলকাতা, 23 এপ্রিল : COVID-19-এর মোট পরীক্ষার পরিসংখ্যান সঠিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না ৷ এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা ৷ কোরোনা সংক্রান্ত তথ্যের ভুল রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে বলেও চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা ৷

সারা দেশে কোরোনার পরীক্ষা যথেষ্ট পরিমাণে হচ্ছে না ৷ বিশেষত, পশ্চিবঙ্গে এই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক ৷ চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকরা ৷ লেখা হয়েছে, ‘‘গত এক সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে COVID-19 এর পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি ৷ এতে দু’টি বিষয় উদ্বেগজনক ৷ 1) রাজ্যে সঠিকভাবে পরীক্ষা হচ্ছে না ৷ 2) COVID-19 এ মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান ৷’’ চিঠিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা আরও জানিয়েছেন যে, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন ৷ তাই তাঁরা রাজ্যের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত ৷

মুখ্যমন্ত্রীকে যে সকল প্রবাসী ভারতীয় চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিদেশে থাকলেও বড় হয়েছি কলকাতায় ৷ গত দেড়-দু’সপ্তাহ ধরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের COVID-19 সংক্রান্ত যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন ৷ সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখা ৷ আমাদের বক্তব্য দু’টি ৷ এক, রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণে COVID-19 পরীক্ষা করা হচ্ছে না ৷ 14 এপ্রিলের রয়টারের রিপোর্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে COVID-19 পরীক্ষার হার প্রতি 10 লাখে 34 , অথচ ভারতে এই গড় প্রতি 10 লাখে 157 ৷ অর্থাৎ প্রায় পাঁচগুণ ৷ দুই, COVID-19 রোগীদের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না ৷ বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমরা জানি COVID আক্রান্তদের মৃত্যু হচ্ছে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর বা লিভার ফেলিওর থেকে ৷ কিন্তু, রিপোর্টে যদি মৃত্যুর কারণে কোথাও COVID-19 এর উল্লেখ না থাকে, তাহলে সেটা আংশিক সত্য বললেও কম বলা হয় ৷ জনস হপকিন্স কোরোনা ভাইরাস ট্র্যাকারের পরিসংখ্যান হিসাবে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা 456 ও মৃতের সংখ্যা 18 ৷ আমাদের আবেদন দু’টি ৷ এক রাজ্যে পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে এবং পরিসংখ্যান সঠিকভাবে করতে হবে ও সামনে আনতে হবে ৷’’

পরিসংখ্যানবিদ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য...

সঠিকভাবে পরীক্ষা হলে তবেই কোরোনা সংক্রমণের আসল পরিমাণ জানা যাবে বলে চিঠিতে লিখেছেন প্রবাসী বাঙালি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা ৷ তাঁরা আরও জানান, কোরোনাকে সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই রাজ্যে ৷ কোরোনা সংক্রমিত ব্যক্তিকে যদি চিহ্নিত না করা যায়, তাহলে এর সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয় ৷ বহু ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ কোরোনা না দেখানো নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তার উল্লেখও রয়েছে চিঠিতে ৷

letter
এই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

রাজ্য সরকারকে প্রবাসী বাঙালিদের চিঠি পাঠানোর পর এই নিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ৷ টুইটে তিনি কোরোনা পরীক্ষার মোট পরিসংখ্যান ও COVID-19 এর কারণে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল তথ্যের বিষয়টি তুলে ধরেন ৷ রাজ্যপাল লেখেন, কোরোনা যুদ্ধে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে এই চিঠিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদেশে থাকা বাঙালি চিকিৎসকরা ৷

  • Recognised Non Resident Bengali Doctors have in an eye opener representation flagged concern ⁦@MamataOfficial⁩ in COVID 19 battle.

    Worrisome issues flagged

    1. Gross under-testing in West Bengal, and
    2. Misreporting of data on the cause of death in COVID-19 patients. pic.twitter.com/Untjq9fxgm

    — Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 23, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকদের তরফে অনুরোধ করা হয়, কোরোনার পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হোক ৷ COVID-19 সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করা হোক ৷ বিজ্ঞান ও মানবতাকে সঙ্গে নিয়ে যেন এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়, তার জন্য আবেদন জানানো হয় চিঠিতে ৷

কলকাতা, 23 এপ্রিল : COVID-19-এর মোট পরীক্ষার পরিসংখ্যান সঠিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না ৷ এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা ৷ কোরোনা সংক্রান্ত তথ্যের ভুল রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে বলেও চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা ৷

সারা দেশে কোরোনার পরীক্ষা যথেষ্ট পরিমাণে হচ্ছে না ৷ বিশেষত, পশ্চিবঙ্গে এই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক ৷ চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকরা ৷ লেখা হয়েছে, ‘‘গত এক সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে COVID-19 এর পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি ৷ এতে দু’টি বিষয় উদ্বেগজনক ৷ 1) রাজ্যে সঠিকভাবে পরীক্ষা হচ্ছে না ৷ 2) COVID-19 এ মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান ৷’’ চিঠিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা আরও জানিয়েছেন যে, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন ৷ তাই তাঁরা রাজ্যের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত ৷

মুখ্যমন্ত্রীকে যে সকল প্রবাসী ভারতীয় চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিদেশে থাকলেও বড় হয়েছি কলকাতায় ৷ গত দেড়-দু’সপ্তাহ ধরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের COVID-19 সংক্রান্ত যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন ৷ সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখা ৷ আমাদের বক্তব্য দু’টি ৷ এক, রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণে COVID-19 পরীক্ষা করা হচ্ছে না ৷ 14 এপ্রিলের রয়টারের রিপোর্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে COVID-19 পরীক্ষার হার প্রতি 10 লাখে 34 , অথচ ভারতে এই গড় প্রতি 10 লাখে 157 ৷ অর্থাৎ প্রায় পাঁচগুণ ৷ দুই, COVID-19 রোগীদের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না ৷ বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমরা জানি COVID আক্রান্তদের মৃত্যু হচ্ছে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর বা লিভার ফেলিওর থেকে ৷ কিন্তু, রিপোর্টে যদি মৃত্যুর কারণে কোথাও COVID-19 এর উল্লেখ না থাকে, তাহলে সেটা আংশিক সত্য বললেও কম বলা হয় ৷ জনস হপকিন্স কোরোনা ভাইরাস ট্র্যাকারের পরিসংখ্যান হিসাবে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা 456 ও মৃতের সংখ্যা 18 ৷ আমাদের আবেদন দু’টি ৷ এক রাজ্যে পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে এবং পরিসংখ্যান সঠিকভাবে করতে হবে ও সামনে আনতে হবে ৷’’

পরিসংখ্যানবিদ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য...

সঠিকভাবে পরীক্ষা হলে তবেই কোরোনা সংক্রমণের আসল পরিমাণ জানা যাবে বলে চিঠিতে লিখেছেন প্রবাসী বাঙালি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা ৷ তাঁরা আরও জানান, কোরোনাকে সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই রাজ্যে ৷ কোরোনা সংক্রমিত ব্যক্তিকে যদি চিহ্নিত না করা যায়, তাহলে এর সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয় ৷ বহু ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ কোরোনা না দেখানো নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তার উল্লেখও রয়েছে চিঠিতে ৷

letter
এই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

রাজ্য সরকারকে প্রবাসী বাঙালিদের চিঠি পাঠানোর পর এই নিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ৷ টুইটে তিনি কোরোনা পরীক্ষার মোট পরিসংখ্যান ও COVID-19 এর কারণে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল তথ্যের বিষয়টি তুলে ধরেন ৷ রাজ্যপাল লেখেন, কোরোনা যুদ্ধে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে এই চিঠিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদেশে থাকা বাঙালি চিকিৎসকরা ৷

  • Recognised Non Resident Bengali Doctors have in an eye opener representation flagged concern ⁦@MamataOfficial⁩ in COVID 19 battle.

    Worrisome issues flagged

    1. Gross under-testing in West Bengal, and
    2. Misreporting of data on the cause of death in COVID-19 patients. pic.twitter.com/Untjq9fxgm

    — Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 23, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে প্রবাসী বাঙালি চিকিৎসকদের তরফে অনুরোধ করা হয়, কোরোনার পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হোক ৷ COVID-19 সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করা হোক ৷ বিজ্ঞান ও মানবতাকে সঙ্গে নিয়ে যেন এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়, তার জন্য আবেদন জানানো হয় চিঠিতে ৷

Last Updated : Apr 24, 2020, 12:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.