কলকাতা, 13 এপ্রিল : শুধু টুইট করলে হবে না ৷ রাজ্যের মানুষ চায় রাজ্যপাল কিছু করুন ৷ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপালের করা সমালোচনামূলক টুইটে প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের ৷ রাজ্যের শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তিনি ৷ হাঁসখালি-কাণ্ডে মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্য এবং রাজ্যের দুই উপনির্বাচনে হওয়া অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ৷ দিলীপের সুরেই কথা বলতে শোনা যায়, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে ৷ তিনি বলেন, মানুষ রাজ্যপালের মতামত শুনতে চাইছেন না ৷ তাঁর টুইট দেখতে চাইছে না ৷ মানুষ চায় সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল পদক্ষেপ গ্রহণ করুন ৷
রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি, ধর্ষণ এবং রাজনৈতিক হিংসা, সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা ৷ রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপির তরফে এ নিয়ে এ বার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে ৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, আর মুখের কথা বা টুইট নয় ৷ মানুষ চায় রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন (No Tweet or Statement Governor Should Takes Positive Steps) ৷ প্রসঙ্গত, হাঁসখালিতে নাবালিকার গণধর্ষণ-কাণ্ডে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন দিলীপ ৷ অভিযোগ করেছেন, রামপুরহাটের মতো হাঁসখালিতেও তদন্তের অভিমুখ ঠিক করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তার পরে পুলিশ কখনই তাঁর গাইডলাইনের বাইরে যেতে পারে না ৷ কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগই করলেন দিলীপ ৷
আরও পড়ুন : HC Orders CBI Probe in Hanskhali Case : হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
এসএসসি দুর্নীতি নিয়েও এ দিন সরব হন দিলীপ ঘোষ ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতের সিবিআই এর সামনে হাজিরার নির্দেশের পরেও, ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে স্থগিতাদেশ চাওয়ার ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর সমালোচনা করেন তিনি ৷ বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হন, তাহলে তাঁর উচিত সিবিআই এর মুখোমুখি হওয়া ৷ বাঙালির ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তাঁর সত্যটা তুলে ধরা উচিত বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ৷ তাঁর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ? রাজনৈতিকমহলের মতে, মূলত কালীঘাটকেই এর জন্য দায়ী করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷ যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিমিত্ত মাত্র ৷ হয়তো এটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Suvendu Slams Mamata : হাঁসখালি নিয়ে মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত, সমালোচনা শুভেন্দুর
আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠ ও সন্ত্রাসের অভিযোগও করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷ এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য একটি ভিডিয়ো বার্তায় শাসকদলের সমালোচনা করেছেন ৷ এমনকি দিলীপ ঘোষের সুরেই রাজ্যপালের টুইট ও মতামত প্রকাশের বিরোধিতা করেছেন শমীক ৷ তাঁরও দাবি, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এই অরাজকতা থেকে বাংলার মানুষকে বাঁচানো রাজ্যপালের কর্তব্য ৷ মানুষ তাঁর মতামত শুনতে বা টুইট দেখতে চায় না ৷ মানুষ চায় এই নৈরাজ্যের শাসন থেকে মুক্তি পেতে ৷ আর তা একমাত্র রাজ্যপালই করতে পারেন বলে দাবি করেছেন শমীক ভট্টাচার্য ৷