ETV Bharat / city

WBBSE President Ramanuj Ganguly: তৃণমূল কার্যালয়ে সংবর্ধনা নিয়ে বিতর্কে নয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

author img

By

Published : Jul 3, 2022, 10:33 PM IST

শনিবার মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয় শাসকদলের তরফে । তৃণমূল পার্টি অফিসে দলের জেলা সভাপতির একেবারে পাশে বসে থাকতে দেখা যায় পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে (WBBSE president Ramanuj Ganguly is in controversy)।

WBBSE President is in controversy
সংবর্ধনা নিয়ে বিতর্কে নয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

কলকাতা, 3 জুলাই: জুন মাসের 24 তারিখ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় আসেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় । দায়িত্বে এসেছেন এক সপ্তাহও হয়নি । তারই মধ্যে তৃণমূল পার্টি অফিসে হাজির হয়ে সংবর্ধনা নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নবনিযুক্ত সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (WBBSE president Ramanuj Ganguly is in controversy) । তাঁর সংবর্ধিত হওয়ার সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । সেই ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধিত করছেন তৃণমূলের বারাসত সংসদীয় জেলার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় । আর তা হাতজোড় করে হাসিমুখে গ্রহণ করছেন পর্ষদ সভাপতি । এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে । শুরু হয়েছে হইচই । বিষয়টিতে শাসকদল আমল দিতে না চাইলেও বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না ।

জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয় শাসকদলের তরফে । তৃণমূল পার্টি অফিসে দলের জেলা সভাপতির একেবারে পাশে বসে থাকতে দেখা যায় পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে । সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়,তিনি যখন সংবর্ধনা নিচ্ছেন জেলা সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে, তখন তাঁর ঠিক পিছনেই জ্বলজ্বল করছে 21 জুলাইয়ের সমাবেশের ব‍্যানার । স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ।

শিক্ষা মহলের একাংশ-ও বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না । অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন,স্বশাসিত সংস্থার পদে থেকেও এভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে হাজির হয়ে সংবর্ধনা নেওয়া যায় কি না? এই ধরনের বিতর্ক মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইতিহাসে দেখা যায়নি বলেই ধারণা শিক্ষা মহলের একাংশের । একে নজিরবিহীন বলেও আখ্যা দিচ্ছেন কেউ কেউ । এদিকে,ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির । এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তাঁরা । সিপিএমের উত্তর 24 পরগনা জেলা কমিটির সদস্য দেবব্রত বসু বলেন,"সরকার একদিকে বলছে প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্বশাসিত সংস্থা । অন্যদিকে সেই স্বশাসিত সংস্থার পদে থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে সংবর্ধনা নিচ্ছেন । এটা খুবই নিন্দনীয় বিষয়"। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্রও । তাঁর কথায়,"আমরা আগেই বলেছি সরকার ও দল বলে এখানে আলাদা কিছু নেই । সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে । এটা তারই অঙ্গ"।

যদিও এর মধ্যে বিতর্কের কিছু দেখছেন না তৃণমূলের বারাসত সংসদীয় জেলার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় । তাঁর দাবি,"আগে উনি একজন অধ্যাপক । তারপর সরকারি পদ । উনি সরকারি পদে থেকে কোনও সংবর্ধনা গ্রহণ করেননি । তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন সহকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করতে" ।

সংবর্ধনা নিয়ে বিতর্কে নয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

আরও পড়ুন: দায়িত্বে এসেই পর্ষদকে দুর্নীতিমুক্ত করার বার্তা নয়া সভাপতির

এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন,"বিষয়টির অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে । আমার সতীর্থ শিক্ষক বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । আমি সেটি গ্রহণ করেছি । শনিবার সন্ধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে আমি গিয়েছিলাম । সেখানে আমার বন্ধুদের সঙ্গেই ছিলাম । তারপর সেখান থেকে বাড়ি চলে এসেছি । এর সঙ্গে বোর্ড বা বোর্ডের কার্যকারিতা বা দায়িত্ব কিংবা পদের গুরুত্ব, কোনওটিই যুক্ত নয় । এটি একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয় । এই নিয়ে অযথা অপব্যাখ্যা করে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে । আমি অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আবেদন করছি, বোর্ডের উপর আস্থা রাখুন, খুব ভালোভাবে চলবে সব কিছু ।”

কলকাতা, 3 জুলাই: জুন মাসের 24 তারিখ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় আসেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় । দায়িত্বে এসেছেন এক সপ্তাহও হয়নি । তারই মধ্যে তৃণমূল পার্টি অফিসে হাজির হয়ে সংবর্ধনা নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নবনিযুক্ত সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (WBBSE president Ramanuj Ganguly is in controversy) । তাঁর সংবর্ধিত হওয়ার সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । সেই ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধিত করছেন তৃণমূলের বারাসত সংসদীয় জেলার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় । আর তা হাতজোড় করে হাসিমুখে গ্রহণ করছেন পর্ষদ সভাপতি । এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে । শুরু হয়েছে হইচই । বিষয়টিতে শাসকদল আমল দিতে না চাইলেও বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না ।

জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয় শাসকদলের তরফে । তৃণমূল পার্টি অফিসে দলের জেলা সভাপতির একেবারে পাশে বসে থাকতে দেখা যায় পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে । সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়,তিনি যখন সংবর্ধনা নিচ্ছেন জেলা সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে, তখন তাঁর ঠিক পিছনেই জ্বলজ্বল করছে 21 জুলাইয়ের সমাবেশের ব‍্যানার । স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ।

শিক্ষা মহলের একাংশ-ও বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না । অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন,স্বশাসিত সংস্থার পদে থেকেও এভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে হাজির হয়ে সংবর্ধনা নেওয়া যায় কি না? এই ধরনের বিতর্ক মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইতিহাসে দেখা যায়নি বলেই ধারণা শিক্ষা মহলের একাংশের । একে নজিরবিহীন বলেও আখ্যা দিচ্ছেন কেউ কেউ । এদিকে,ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির । এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তাঁরা । সিপিএমের উত্তর 24 পরগনা জেলা কমিটির সদস্য দেবব্রত বসু বলেন,"সরকার একদিকে বলছে প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্বশাসিত সংস্থা । অন্যদিকে সেই স্বশাসিত সংস্থার পদে থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে সংবর্ধনা নিচ্ছেন । এটা খুবই নিন্দনীয় বিষয়"। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্রও । তাঁর কথায়,"আমরা আগেই বলেছি সরকার ও দল বলে এখানে আলাদা কিছু নেই । সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে । এটা তারই অঙ্গ"।

যদিও এর মধ্যে বিতর্কের কিছু দেখছেন না তৃণমূলের বারাসত সংসদীয় জেলার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় । তাঁর দাবি,"আগে উনি একজন অধ্যাপক । তারপর সরকারি পদ । উনি সরকারি পদে থেকে কোনও সংবর্ধনা গ্রহণ করেননি । তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন সহকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করতে" ।

সংবর্ধনা নিয়ে বিতর্কে নয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

আরও পড়ুন: দায়িত্বে এসেই পর্ষদকে দুর্নীতিমুক্ত করার বার্তা নয়া সভাপতির

এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন,"বিষয়টির অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে । আমার সতীর্থ শিক্ষক বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । আমি সেটি গ্রহণ করেছি । শনিবার সন্ধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে আমি গিয়েছিলাম । সেখানে আমার বন্ধুদের সঙ্গেই ছিলাম । তারপর সেখান থেকে বাড়ি চলে এসেছি । এর সঙ্গে বোর্ড বা বোর্ডের কার্যকারিতা বা দায়িত্ব কিংবা পদের গুরুত্ব, কোনওটিই যুক্ত নয় । এটি একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয় । এই নিয়ে অযথা অপব্যাখ্যা করে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে । আমি অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আবেদন করছি, বোর্ডের উপর আস্থা রাখুন, খুব ভালোভাবে চলবে সব কিছু ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.