কলকাতা, 22 অগস্ট: আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতাদের ছবি-সহ ব্যানার (TMC Banner)। এ বার এই ব্যানার দেখা গেল মধ্য কলকাতা অর্থাৎ ধর্মতলা, নিউ মার্কেট ও পার্ক স্ট্রিট চত্বরে (TMC Banner in Dharmatala)।
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে তথা বিভিন্ন জেলায় 'নতুন তৃণমূল' হোর্ডিং ও ব্যানার আলোচনায় থেকেছে । দক্ষিণ কলকাতা থেকে এই পরম্পরা শুরু হলেও এই মুহূর্তে জেলা থেকে শুরু করে উত্তর কলকাতা এমনকী মধ্য কলকাতাতেও একেক সময় একেক ব্যানার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে । সোমবার সেই বিতর্কে সংযোজন হল একটি নতুন ব্যানার । যেখানে কোনও অরাজনৈতিক মঞ্চ নয়, ব্যানারটি দিয়েছেন স্বয়ং কাউন্সিলর । তারই ছবি এ দিন এই ব্যানারে ধরা পড়েছে । যদিও এরপরও তৃণমূল কংগ্রেস বলছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের কোনও ব্যানার বা প্রচারকেই দল অনুমোদন দেয় না । এ ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী তৃণমূল কর্মী সমার্থকরাই একের পর এক জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে । এখন দেখে নেওয়া যাক কী আছে এ দিনের এই ব্যানারে ।
আজ ধর্মতলা বা তার লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় যে ব্যানারটি চোখে পড়েছে সেখানে রয়েছে 'CBI-এর ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রোখা যাবে না'। এই ব্যানারের এক পাশে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি । অন্যদিকে আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের ছবি । ব্যানারের নীচের অংশে রয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা সাহা এবং হকার ইউনিয়নের নেতা মহম্মদ শাহনওয়াজের ছবি এবং নাম ।
আরও পড়ুন: 6 মাসে নতুন তৃণমূলের চেহারা কেমন হবে, যা বলছে রাজনৈতিক মহল
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক এবং কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে এই ব্যানার দেওয়া দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে এটি দলের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কাউন্সিলর এবং ওই শ্রমিক নেতাকে জিজ্ঞাসা করলে জানা যায় দল নয়, ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই এই ব্যানার দিয়েছেন তাঁরা । তবে এক্ষেত্রে তিনি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন, যেহেতু তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক ও কর্মী তাই এই বক্তব্য দলেরই ঘোষিত । সেখানে কোনও বিতর্কেরই অবকাশ নেই ।
প্রসঙ্গত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর থেকেই নজরে এসেছে একের পর এক ব্যানার বা হোর্ডিং । ইতিমধ্যেই এই হোডিংগুলো রাজনৈতিক মহলের চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ালেও এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে শীর্ষ নেতৃত্ব । তবে এ সমস্ত কিছুই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াস হিসেবেই দেখছে । তাদের বক্তব্য, এভাবে আর যাই হোক রাজ্যের শাসকদলের ভাবমূর্তি তলানিতে যাওয়া থেকে কোনও ভাবেই বাঁচানো যাবে না ।